মৃত্যুর আগে রাজ্জাককে শাসিয়ে গিয়েছিলেন দিতি, কিন্তু কেন?

মানুষের মৃত্যু অবধারিত। আজ কিংবা কাল, প্রতিটি মানুষকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতেই হবে। যেমন বাংলাদেশের অত্যন্ত গুণী অভিনেত্রী ও নির্মাতা পারভীন সুলতানা দিতি সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
দিতি নেই। তিনি চলে গেছেন। কিন্তু পৃথিবীতে রেখে গেছেন তার অজস্র স্মৃতি। যা থেকে থেকে তার আপনজনদের অন্তরে সব সময়ই কথা বলবে। হয় তো কেউ ভুলে যাবেন। কিন্তু অনেকে আবার ভুলতেও পারবেন না। যা মর্ম ব্যথা হয়েই জেগে থাকবে অনেকদিন।
যাদের অন্তরে থেকে থেকে দিতির স্মৃতি কথা বলবে, তাদের মধ্যে অন্যতম বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাক। প্রথমত দিতি ছিলেন তার মেয়ে। অর্থাৎ রাজ্জাককে বাবা বলেই ডাকতেন দিতি। মেয়ের মতোই বাবাকে ভালোবাসতেন আবার শাসনও করতেন।
যেমন মৃত্যু বছর দুই আগে আগেও রাজ্জাককে শাসিয়ে গিয়েছিলেন দিতি। একেবারে কড়া শাসানো। মেয়ে তো মায়ের মতোই শাসন করে। দিতিও করেছেন তেমন। আর বাধ্যগত সন্তানের মতো সেই শাসানি হজম করেছেন নায়করাজ।
সেই স্মৃতি স্মরণ করে রাজ্জাক জানালেন, আমার সঙ্গে দিতির শেষ দেখা হয় যখন আমি প্রথমবার অসুস্থ হয়ে পড়ি। সময়টা ছিল ২০১৩ সাল। তখন সে হাসপাতালে গিয়ে আমাকে সিগারেট ছাড়তে বকা দিয়েছিল। এরপর আর আমাদের দেখা হয়নি। তবে দিতি অসুস্থ হওয়ার পর আমার পরিবারের সবাই হাসপাতালে তার খবর নিয়েছে।
এদিকে দিতির মৃত্যুটা রাজ্জাকের কাছে স্বপ্নের মতোই লাগছে। তিনি কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেন না দিতি নেই। দিতি আর তাকে বাবা বলে ডাকবেন না।
রাজ্জাক জানান, দিতির মৃত্যুর খবরটা শুনে আমি অসুস্থ হয়ে গেছি। কিছুতেই কোনো কিছু মনে করতে পারছি না। দিতি আমাকে বাবা বলে ডাকত। দিতির স্বামী সোহেল চৌধুরী ও আমার ছেলে বাপ্পা একসঙ্গে পড়ালেখা করেছে। সেই হিসেবে দিতি আমাদের পরিবারের সবার খুব আপন।
রাজ্জাক বলেন, দেশবাসীর কাছে অনুরোধ, সবাই দিতি ও তার পরিবারের সবার জন্য দোয়া করবেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

‘বাজি’ দিয়ে ফিরলো কোক স্টুডিও বাংলা
“বাজি” গান দিয়ে এক বছরেরও বেশি সময়ের বিরতি কাটিয়ে অবশেষেবিস্তারিত পড়ুন

বর্ষার পর এবার সিনেমা ছাড়ার সিদ্ধান্ত অনন্ত জলিলের, কারণ জানালেন নিজেই
ব্যবসায়ী থেকে একসময় সিনেমায় অভিনয় করা শুরু করেন অনন্ত জলিল।বিস্তারিত পড়ুন

শাহরুখ-দীপিকার বিরুদ্ধে থানায় এজাহার
প্রতারণার অভিযোগে বলিউড কিং শাহরুখ খান ও অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনেরবিস্তারিত পড়ুন