শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

মোদির সঙ্গে দেখা করে কাঠগড়ায় খালেদা

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বৈঠক নিয়ে একটি বিশেষ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ভারতের জনপ্রিয় দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা। ‘নিজে যেচে মোদির সঙ্গে দেখা করে কাঠগড়ায় খালেদা’ শিরোনামে প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বৈঠকটির নানা দিক নিয়ে বিশ্লেষণে বাংলাদেশের রাজনীতিতে খালেদার অবস্থানটি নিরুপণের প্রয়াস চালানো হয়। রিপোর্টে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলা হয়, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করার জন্য নিজেই উদ্যোগী হয়ে সময় চেয়েছিলেন খালেদা জিয়া। কিন্তু তাঁর ক্ষণিকের সেই বৈঠকে লাভ কী হল? রিপোর্টে বলা হয়, মোদি ফিরে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরে বাংলাদেশের সর্বত্র আলাপ-আলোচনায় এখন এটাই প্রধান মুখরোচক বিষয়। সাধারণ মানুষ তো বটেই, বিএনপি নেতাদের একাংশও মনে করছেন- মোদির সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মুখ পুড়িয়েছেন খালেদা জিয়া এবং এর জন্য তাঁর একগুঁয়ে মনোভাবই দায়ী।

রিপোর্টে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে বলা হয়, গত সাধারণ নির্বাচনে দলকে অংশগ্রহণ করতে না-দিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় এখন কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে বিএনপি। সংসদে কোনও প্রতিনিধি না-থাকায় সফরে আসা বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে বিএনপি ও তাঁর নেত্রী খালেদা জিয়ার কূটনৈতিক গুরুত্ব তলানিতে ঠেকেছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সেই অসহায় অবস্থাটিই হাটে হাঁড়ি ভাঙা হয়ে গিয়েছে মোদির সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে। আরো বলা হয়, প্রোটোকল মেনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে খালেদার আগে সময় পেয়েছেন জাতীয় পার্টির নেত্রী রওশন এরশাদ, জাসদ-এর হাসানুল হক ইনু এবং ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন। রওশন সংসদে বিরোধী নেত্রী, ইনু ও মেনন হাসিনা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। সরকারের শরিক হিসেবে সংসদে তাঁদের বেশ কয়েক জন করে প্রতিনিধি রয়েছেন। তাই খালেদাকে বসিয়ে রেখে তাঁর সামনেই ইনু-মেননদের ডাক পড়ে মোদির সঙ্গে আলোচনার জন্য। সবার শেষে খালেদার জন্য তখন মিনিট দশেক সময় হাতে ছিল মোদির।

রিপোর্টে আরো বলা হয়, সময় পাবেন না বুঝেই নিজের বক্তব্য একটি কাগজে নোট করে নিয়ে গিয়েছিলেন খালেদা। কিন্তু সেগুলির সব ক’টি তিনি পড়েও উঠতে পারেননি। কিন্তু যে ভাবে সরকারের বিরুদ্ধে তিনি বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে নালিশ করেছেন, দেশে গণতন্ত্র নেই বলে অভিযোগ করেছেন, তাতেও প্রশ্ন উঠেছে। এ প্রসঙ্গে ড. মঈন খানের বক্তব্যকে কোড করে রিপোর্টে বলা হয়, বিএনপি নেতা মইন খান অবশ্য যুক্তি দিয়েছেন, ‘মোদি নিজে গণতান্ত্রিক মানুষ। গণতান্ত্রিক পথেই তিনি সমাজের সাধারণ স্তর থেকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে উঠে এসেছেন। সে জন্যই তাঁর কাছে বাংলাদেশে গণতন্ত্র না-থাকার অভিযোগটি তুলেছেন বিএনপি নেত্রী। এতে অন্যায়ের কিছু নেই।’ নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসন থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন সব সংস্থাকে হাসিনা সরকার কুক্ষিগত করে নিজের হাতিয়ার করেছে বলেও খালেদা মোদির কাছে নালিশ করেছেন।

কূটনৈতিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে রিপোর্টে আরো বলা হয়, শুধু নিজের দেশের সরকারই নয়, দিল্লিতে আগের মনমোহন সরকারের বিরুদ্ধেও খালেদা অনুযোগ করেছেন নরেন্দ্র মোদির কাছে। বিএনপি নেত্রীর অভিযোগ, মনমোহন সরকারের প্রশ্রয়েই ভোটের ‘প্রহসন করে’ শেখ হাসিনা ক্ষমতা দখল করেছেন। তিনি আশা করেন, মোদির সরকার এই নীতি পুনর্বিবেচনা করবে। মোদি তাঁকে পাল্টা প্রশ্ন করেন, কেন তিনি হাসিনার সঙ্গে আলোচনায় বসে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করছেন না?

জবাবে খালেদা বলেন, তাঁরা বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েও সরকারের আচরণে পিছিয়ে আসেন। মোদি তখন তাঁকে বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে এড়িয়ে অন্য কোনও পথে হাঁটার সুযোগ সংসদীয় ব্যবস্থায় নেই। আলোচনায় না-বসলে কোনও সমস্যার সমাধানও মেলে না। কূটনীতিকদের ব্যাখ্যা, এই কথা বলে আসলে খালেদাকে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার পরামর্শই দিয়েছেন মোদি। নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনও পথে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা যে ভারত মেনে নেবে না, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। মনমোহন সরকারের বাংলাদেশ নীতি মেনেই মোদির সরকার চলছে। তাই আগের সরকারের বিরুদ্ধে তোলা খালেদার অভিযোগকেও আমল দেননি মোদি।

রিপোর্টে আরো হয়, ‘বৈঠকে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যাত্রী ও পণ্য যোগাযোগের বিষয়টিকে সমর্থন জানিয়ে মোদির মন পেতে চেয়েছেন খালেদা। কিন্তু বৈঠকের ২৪ ঘণ্টা আগেই সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর দলের নেতা হান্নান শাহ এই যোগাযোগ ব্যবস্থার সমালোচনা করে বলেছেন, এটা আদতে ভারতের দাবির কাছে মাথা নুইয়ে করিডরের সুবিধা দেওয়া ছাড়া কিছুই নয়। এর ফলে বাংলাদেশ বিন্দুমাত্র উপকৃত হবে না। ঢাকা কোনও রাজস্বও পাবে না। তাঁর দাবি অনুযায়ী, যা লাভ হবে সবই ভারতের। একই কথা বলে ভারতের সঙ্গে হওয়া সব চুক্তির বিরোধিতা করেছে খালেদা জিয়ার জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলামিও।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

বিএনপি ও সমমনা দলের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গতকাল মঙ্গলবার নিহতবিস্তারিত পড়ুন

বিকেলে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়াবিস্তারিত পড়ুন

খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে : এ্যানী

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেছেন, দেশনেত্রী বেগমবিস্তারিত পড়ুন

  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • বিএনপির আন্দোলন ভুয়া, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আতঙ্কিত: ওবায়দুল কাদের
  • খালেদা জিয়ার ৩ রোগ বড় সংকট : চিকিৎসকরা
  • মুক্তিযুদ্ধের নামে বিএনপি ভাওতাবাজি করে : ওবায়দুল কাদের
  • দেশের মানুষ ঈদ করতে পারেননি
  • বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে রদবদল
  • বিএনপির টপ টু বটম দুর্নীতিতে জড়িত: কাদের
  • চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস
  • চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস
  • আদালতে লোহার খাঁচায় থাকা অপমানজনক: ড. ইউনূস
  • বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশাকে মর্যাদা দেবে ভারতের নতুন সরকার : ফখরুল 
  • ৫৩ বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ১০৬ জনকে সম্মাননা দিল ‘আমরা একাত্তর’