রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

যে ৭ ধরনের সহকর্মীকে কখনোই বিশ্বাস করবেন না

আপনি যদি স্বল্প বিশ্বস্ত কর্ম পরিবেশে কাজ করে থাকেন তাহলে বুঝে নিবেন যে আপনি ঝুঁকিতে রয়েছেন। এই ধরনের পরিবেশের কয়েকটি বৈশিষ্ট হলো- কর্মীদের মাঝে উচ্চ প্রতিযোগীতা, প্রিয়ভাজনদের প্রতি বসদের আনুকুল্য প্রদর্শন প্রবণতা, বিস্তর পরচর্চা, এবং সহযোগিতার অভাব, আর ব্রেকরুম ফ্রিজ থেকে অহরহ খাবার চুরির ঘটনা!

এর একটির সঙ্গেও কি আপনার পরিচয় ঘটেছে? যাইহোক এখানে আপনি যে ধরনের সহকর্মীদের বিশ্বাস করতে পারেন না তাদের কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট এবং এদের কীভাবে সামলাবেন সে সম্পর্কেও পরামর্শ রইল:

১. ইর্ষাকাতর
এই ধরনের সহকর্মীরা তাদের অন্য সফল সহকর্মীদের মতোই হতে চায়। পরিণতিতে অসন্তোষ, অদূরদর্শীতা এবং কর্মীদের পারস্পরিক সম্পর্ক বিষাক্ত হয়ে ওঠার মতো ঘটনা ঘটে।

যারা আপনার সাফল্য দেখে ঈর্ষাকাতর হয়ে উঠতে পারে তাদের প্রতি সহানুভুতি ও সহযোগীতা প্রদর্শন করুন। এতে হয়তো তারা কিছুটা শান্ত হবে। তবে যেসব সহকর্মী সবসময়ই অন্যের সাফল্য দেখে পেট কামড়ায় তাদের কাছ থেকে একশ হাত দুরত্ব বজায় রাখুন। কারণ আপনার সাফল্য দেখেও এদের চোখ ছানাবড় হয়ে যাবে।

২. অসৎ
আপনার যদি এমন কোনো সহকর্মী থাকে যে সবসময়ই মিথ্যা কথা বলে বা আপনার কাজের কৃতিত্ব চুরি করে তাহলে ধরে নিবেন তারা অসৎ। মনে রাখবেন যদিও তাদের মিথ্যাচার সরাসরি আপনার ক্ষতি করছে না তথাপি কোনো বিষয়েই আপনি তাদের উপর নির্ভর করতে পারবেন না।
এ ক্ষেত্রে আপনি অসৎ সহকর্মীর মিথ্যাচারের কারণে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বা তার আচার-ব্যবহারের বিষয়ে অভিযোগ করুন। সরাসরি ব্যক্তি মানুষকে অভিযুক্ত করতে যাবেন না যেন।

৩. গুজব রটায়
কর্মক্ষেত্রে বন্ধুদের মাঝে সামান্য কিছু গুজব ছড়ানোটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু কোনো সহকর্মী যদি সারাক্ষণই গুজব রটানোয় ব্যস্ত থাকে তাহলে তা খুবই খারাপ লক্ষণ। গুজব অন্যদের সম্মান এবং অনুভুতির ক্ষতি করতে পারে। সূতরাং সাবধান থাকুন। কেউ যদি আপনার সামনে অন্যের কুৎসা রটায় তাহলে ধরে নিবেন সে আপনার পেছনে অন্যদের সামনে আপনার ব্যাপারেও কুৎসা রটায়।

কখনোই কোনো সহকর্মীর গুজবে কান দিতে যাবেন না। যদি তাকে এড়ানো একেবারেই অসম্ভব হয় তাহলে সে যে গুজবটি ছড়াচ্ছে সে ব্যাপারে সরাসরি দ্বিমত পোষণ করুন। আর যেসব সহকর্মীর গুজব ছড়ানোর অভ্যাস রয়েছে তাদেরকে পুরোপুরি এড়িয়ে চলাটাই উত্তম।

৪. অন্যকে হেয় করে
অন্যকে হেয় প্রতিপন্নকারী বা উপেক্ষাকারী সহকর্মীদের ব্যাপারে সবসময়ই সতর্ক থাকুন। এরা আপনার আইডিয়া চুরি করে নিজের বলে চালিয়ে দিবে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের সময় আপনাকে ইমেইল করতে ভুলে যাওয়ার ভান করবে।

প্রথমেই জেনে রাখুন তারা আপনার সঙ্গে এই ধরনের আচরণ করছে কারণ তারা আপনার সাফল্য দেখে ভীত। আপনি সত্যিই তাদের জন্য হুমকি স্বরুপ। এদের সঙ্গ এড়িয়ে চলুন এবং এদের সঙ্গে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করবেন না। আর এদের যে কোনো ধরনের অসদাচরণ সম্পর্কে বসকে অবহিত করুন।

৫. চাটুকার
যেসব সহকর্মী কাজের মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জনের বদলে বরং বসদের মনোরঞ্জন বা চাটুকারীতা করে টিকে থাকতে চায় এদের ব্যাপারেও সাবধান থাকুন। এদের কখনোই বিশ্বাস করবেন না। এরা নিজেদের অবস্থান ধরে রাখার জন্য যে কোনো হীন কাজ করতে প্রস্তুত। এমনকি আপনার নিজের অবস্থার উন্নতির লোভেও এদের সঙ্গে জোট বাধতে যাবেন না। এসব পা চাটা লোকদেরকে উপেক্ষা করার জন্য নিজেকে প্রতিনিয়ত প্রশিক্ষিত করে তুলুন।

৬. অতিনাটুকে
কর্মক্ষেত্রে আপনি এমন কিছু সহকর্মীর দেখা পাবেন যারা সব সময়ই এমন ভান করবে যেন তারা এইমাত্র কোনো টিভি রিয়েলিটি শো’র সেট থেকে বের হয়ে এসেছে। ব্যক্তিগত জীবনে হয়তো এরা আপনার জন্য কিছুটা উপভোগ্য হতে পারে কিন্তু কর্মক্ষেত্রে এরা খুবই বিষাক্ত। এদের নাটুকেপনায় না জড়িয়ে এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম।

অতিনাটুকেপনারা সবসময়ই এই হীনমন্যতায় ভোগেন যে তাদেরকে বুঝি কেউ খেয়াল করছেনা বা গুরুত্বপূর্ণ ভাবছে না। আর এ কারণেই নাটুকেপনা করে তারা নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে চায়। অতি নাটুকেপনার মাধ্যমে এরা আপনাকে সন্তুষ্ট করার মাধ্যমে নিজেকেই এই প্রবোধ দিতে চায় যে তারাও বুঝি গুরুত্বপূর্ণ। এরা আসলে অন্যের অনুভুতির ব্যাপারে কোনো তোয়াক্কাই করে না এবং প্রাপ্তবয়স্ক জীবন যাপনের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনেও ব্যর্থ হয়।

দূরত্বের কঠিন দেয়াল তৈরি করে এদের এড়িয়ে চলুন এবং অন্য কেউ এদের খপ্পরে পড়ার আগ পর্যন্ত এদের সঙ্গে নির্লিপ্ত ভাব বজায় রাখুন।

৭. আপনার কাজ ও ব্যাক্তিগত জীবনের ভারসাম্য রক্ষায় উদাসীন

এই ধরনের সহকর্মী বা বস সবসময়ই এই আশা করেন যে কাজের জন্য আপনি আপনার ব্যক্তিগত জীবনের সবকিছুই ত্যাগ করবেন। তবে কাজের জন্য আপনাকে মাঝেমধ্যে অবশ্যই ব্যক্তিগত জীবনের কিছু না কিছু বিসর্জন দিতে হবে। কিন্তু যারা আপনার কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য রক্ষার ব্যাপারে একদমই চিন্তিত নন তারা কখনোই আপনার ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবনের উন্নতি চায় না।

যে প্রতিষ্ঠান বা বস আপানাকে সবসময় অতিরিক্ত কাজের চাপে রাখতে চায় অবসরে তাদেরকে বিষয়টি ঠাণ্ডা মাথায় বুঝিয়ে বলুন। তাদেরকে যুক্তিসহকারে এটা বুঝিয়ে বলুন যে আপনি আর পারছেন না। আপনার যে একটি ব্যক্তিগত জীবন আছে সেটিও তাদেরকে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করুন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

মানবদেহে আদার অনেক উপকার

আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন

হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?

বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন

ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ

চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন

  • ওজন কমাতে যা খাওয়া যেতে পারে
  • প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রসুন
  • আমলকি কখনো স্বাস্থ্যের জন্য ‘বিপজ্জনক’ হয়ে ওঠে
  • বাসি দই ও পান্তা ভাতের আশ্চর্যজনক উপকারিতা
  • স্বাদে ও পুষ্টিগুণে ভরপুর সবজি হলো লাউ
  • মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রার পারদ উঠল ৪৩ ডিগ্রিতে
  • যেসব অঞ্চলে টানা ৩ দিন ঝড়বৃষ্টি
  • ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ফের কমলো স্বর্ণের দাম
  • গরমে চুলের যত্ন নেবেন কীভাবে?
  • একলাফে সোনার দাম ভ‌রিতে কমলো ৩১৩৮ টাকা
  • কত দিন পর পর টুথব্রাশ বদলাবেন?
  • ত্বকের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়