রাজনৈতিক পরিস্থিতি উন্নতির শর্ত দিল ইইউ
আগামীতে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে ইউরোপে বাণিজ্যিক বিশেষ সুবিধা পেতে শর্ত হিসেবে দেশের রাজনৈতিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নতির শর্ত দিয়েছে সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পার্লামেন্টের বাণিজ্যবিষয়ক প্রতিনিধিদল।
তবে প্রতিনিধিদলটি পরবর্তী নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যা হবে সংবিধান অনুযায়ী হবে।
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি পরবর্তী বাংলাদেশের কারখানাগুলোর পরিস্থিতি কি, তা দেখা এবং বোঝার জন্য এসেছে ইইউ পার্লামেন্টের আন্তর্জাতিক ট্রেড কমিটির প্রতিনিধিদল, যাদের প্রতিবেদনের ওপর ইউরোপে বাংলাদেশের রপ্তানির অনেক কিছুই নির্ভর করে। তবে ওই প্রতিনিধিদল আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে আলোচনা করলেন ইউরোপের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা (জিএসপি প্লাস) নিয়ে।
বাংলাদেশ যখন ২০২১ সালে স্বল্প উন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হবে, তখন ইউরোপে পণ্যের শুল্ক মুক্ত রপ্তানি সুবিধা অর্থাৎ জিএসপি সুবিধা আর পাবে না। তখন এ ধরনের সুবিধা পেতে হলে জিএসপি প্লাস নামের আরেক ধরনের সুবিধা আদায় করে নিতে হবে কিছু শর্ত পূরণের মধ্য দিয়ে।
এ ব্যাপারে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘জিএসপি প্লাস পেলে আমরা এখন যে সুবিধা পাই সেটার মতোই সুবিধা পাব। কিন্তু তাদের উত্তর হলো, জিএসপি সুবিধা পেতে হলে কতগুলো শর্ত পূরণ করতে হবে। তার উত্তরে আমি বলেছি, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যে আমরা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারি।’
তবে জিএসপি প্লাস সুবিধা আদায়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে বাংলাদেশকে এমন ২৭টি শর্ত পূরণ করতে হবে, যার অনেক কিছু দেশের রাজনীতি, মানবাধিকার ও নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
ইইউ পার্লামেন্টের আন্তর্জাতিক ট্রেড কমিটির চেয়ারম্যান বার্ন্ড ল্যাং বলেন, ‘ইইউ পার্লামেন্টের একটি স্পষ্ট দিকনির্দেশনা বাণিজ্যকে কেবল বাণিজ্য হিসেবে দেখলে চলবে না। এটাকে দেখতে হবে নিজেদের এবং যাদের সঙ্গে বাণিজ্য করা হচ্ছে উভয় সমাজের মানুষের জীবনযাত্রার মানকে উন্নত করার হাতিয়ার হিসেবে। সে বিষয়টি প্রতিফলিত হচ্ছে জিএসপি প্লাসে। জিএসপি প্লাসের ২৭টি শর্তে জোর দেওয়া হয়েছে উন্নত গণতন্ত্র, শ্রমিক অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তার মতো বিষয়টি। খুবই দুঃখজনক ব্যাপার যে বাংলাদেশে কিছুদিন আগে সন্ত্রাসী হামলায় ইউরোপের অনেক মানুষও নিহত হয়। এসব ব্যাপারে অবশ্যই কাজ করতে হবে জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে। আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি যে, জিএসপি প্লাসের শর্তের ব্যাপারে কাজ করা হবে দ্রুততার সঙ্গে।’
আর এসব আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ইইউ প্রতিনিধিদল বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে বুঝতে চাইলেন পরবর্তী নির্বাচন কমিশন নিয়ে সরকার কী ভাবছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ আমাদের সংবিধান অনুসারেই আমাদের নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। সুতরাং সংবিধানে যা আছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সেই সংবিধান অনুসারেই নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে।’
তবে সংবিধান অনুযায়ী গঠিত নির্বাচন কমিশন দেশে কার্যকর গণতন্ত্র আনতে কতটা ভূমিকা রাখবে তা জানা না থাকলেও বাংলাদেশকে আগামীতে জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে অন্যতম শর্ত হিসেবে কার্যকর গণতন্ত্র নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এটাই স্পষ্ট হলো প্রতিনিধিদলের বক্তব্য থেকে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন
হাসিনার পতনে জাতির মনোজগত পরিবর্তন হয়েছে, নতুন রাজনীতি হতে হবে স্বচ্ছ: আমীর খসরু
দেশের মানুষের মনোবাসনা বুঝে স্বচ্ছ রাজনীতির আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ীবিস্তারিত পড়ুন
বগুড়ায় হাসিনা-কাদেরের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা
বগুড়ায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৭ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাতে বগুড়া সদর থানায় গাবতলীর নিহত বিএনপি নেতা জিল্লুর রহমানের স্ত্রী খাদিজা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে গিয়ে সংঘর্ষের সময় শহরের ঝাউতলা এলাকায় নিহত হনবিস্তারিত পড়ুন