শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

লেখালেখির টেবিল আমার প্রার্থনার জায়গা : আমার প্রার্থনার জায়গা

ষাটের প্রতি ভীষণ ভয় কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের। কারণ ষাটে জন্মজয়ন্তী উদযাপন করেই প্রয়াত হয়েছেন তার বন্ধু অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদী। ‘ইমদাদুল হক মিলন হীরক জয়ন্তী উৎসব’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে লেখক, প্রকাশক, ভক্ত-সুহৃদেও ভালবাসায় সিক্ত হয়ে অনুভূতি প্রকাশের শুরুতেই এমন কথা বলেন তিনি। নিজের লেখালেখির বিষয়ে ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ‘লেখার টেবিল আমার কাছে প্রার্থনার জায়গা। ঘুম থেকে ওঠে আমি সেখানে বসি। এটা আমার ভালবাসার জায়গা। এ ভালবাসার জন্যই লিখছি হয়তো লিখে যাব।’

এরপর জীবনের নানা সময়ের অর্জন, বিসর্জন, সঙ্কট ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন তিনি। শুক্রবার শরতের সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে মিলকে কেন্দ্র করে বসে এ মিলনমেলা। ইমদাদুলকে শুভেচ্ছা জানাতে জড়ো হন নানা অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা। জড়ো হন এ লেখকের ভক্ত-অনুরাগী ও সুহৃদরা। নবীন-প্রবীণ লেখকরাও আসেন তাকে শুভেচ্ছা জানাতে। তাদের শ্রদ্ধা ও ফুলেল ভালোবাসায় অভিনন্দন জানান এ লেখককে।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশনা। শিল্পী অনিমা রায় গেয়ে শোনান ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর’ ও ‘এদিন আজি কোন ঘরে গো খুলে দিল দ্বার’ শীর্ষক দুটি গান। সুরের আবেশ ছড়িয়ে পড়ে গোটা মিলনায়তনে। তারপর ছিল আলোচনা পর্ব। ফাঁকে ফাঁকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন। এরপর কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন সেলিনা হোসেন, ক্রেস্ট প্রদান করেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।

আলোচনা পর্বের শুরুতে সূচনা বক্তব্য রাখেন ইমদাদুল হক মিলন হীরক জয়ন্তী পর্ষদের আহ্বায়ক কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। মিলনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংস্কৃতি, সাহিত্য ও সাংবাদিকতা মিলনের হাতে পূর্ণতা পেয়েছে। সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে যাদের ওপর ভরসা করা যায়, মিলন তাদের মধ্যে অন্যতম।’

এরপর শুভেচ্ছা পর্ব। এতে ইমদাদুল হক মিলনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। এদের মধ্যে রয়েছে জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি, জাতীয় কবিতা পরিষদ, বাংলাদেশ শিশুসাহিত্যিক ফোরাম, নদী পরিব্রাজক, বঙ্গবন্ধু গবেষণা কেন্দ্র, চাঁদের হাঁট, শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজ ইত্যাদি। এ ছাড়াও ব্যক্তিগতভাবে ফুল দিয়ে শুচ্ছো জানান প্রবীণ সাংবাদিক সালেহ চৌধুরী, শিল্পী হাশেম খান, ছড়াকার আমিরুল ইসলাম, অভিনেতা নাদের চৌধুরী, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরন প্রমুখ।

শুভেচ্ছা জানিয়ে অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, ‘জীবনকে অন্তরঙ্গভাবে অনুভব করেছেন তিনি। জীবনের মানে এর উত্থান-পতন গঠন পুরোপুরি তার লেখায় স্থান পেয়েছে। এ কারণেই তার লেখা এত পাঠকপ্রিয়।’ চিত্রশিল্পী হাশেম খান বলেন, ‘নূরজাহান উপন্যাসের মাধ্যমে দেশের অনেক নূরজাহানের কথা আছে। আশা করব, বর্তমানে যারা সমাজের নানাবিধ অবহেলা সহ্য করে জবীন অতিবাহিত করছে তাদেরও জীবনকথা তার লেখায় স্থান পাবে।’

রাজনীতিক ও লেখক হায়দার আকবর খান রনো বলেন, ‘মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে যারা লেখালেখি করেন মিলন তাদের অন্যতম।’ আলোচনায় অংশ নিয়ে কথাসাহিত্যিক রশীদ হায়দার বলেন, ‘লেখালেখির ভুবনে তার উত্থান শুরু হয়েছিল উত্তরাধিকার পত্রিকার মাধ্যমে। কালের পরিক্রমায় তার সে যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। অর্জন করেছে নানা সাফল্য।’

সাংবাদিক সালেহ চৌধুরী বলেন, ‘বয়স বিবেচনায় সে আমার পনের বছরের ছোট কিন্তু লেখালেখির বিবেচনায় আমি তার থেকে অনেক পিছিয়ে। আমি তার অনুরাগী পাঠক।’ কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, ‘মানুষকে দেখার ও বোঝার অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে মিলনের। লেখাও এর ছাপ স্পষ্ট। জীবনঘনিষ্ঠ লেখায় তার যে মুনশিয়ানা, তা অতুলনীয়। ’

কথাসাহিত্যক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘মিলনের হাসি যেমন তরুণ তেমনই ভাবে সদা তরুণ তিনি। তারুণই তার গুরুত্বপূর্ণ শক্তি। তার আরেকটি শক্তিশালী দিক, দেখার তারুণ্য ও দেখবার তারুণ্য। আমাদের দেশে প্রচলিত যে জনপ্রিয় লেখকই মানে দুর্বল লেখক। কিন্তু এটা ঠিক নয়। জীবনের সঙ্গে শিল্পের রসায়ন না মিশলে রচনা জনপ্রিয় হয় না।’

কবি কামাল চৌধুরী বলেন, ‘কথাসাহিত্যের দীর্ঘ ইতিহাসে আছে। সত্তরের সে স্থানটিতে দাঁড়িয়ে যারা কথাসাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন তাদের মধ্যে আমার বন্ধু ইমদাদুল হক মিলন অন্যতম।’ কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহিত উল আলম বলেন, ‘মিলন আমার কাছে এক বিস্ময়ের নাম। এত অল্প সময়ে তিনি এত লিখেছেন, তা এক কথায় অকল্পনীয়। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় একসঙ্গে জনপ্রিয় ও ভালো গায়ক, মিলনও তেমনভাবে জনপ্রিয় ও উৎকৃষ্ট লেখক।

অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘আমাদের তরুণদের গ্রন্থমুখী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন ইমদাদুল হক মিলন। তরুণ যে নিয়মিত বই পড়ছে, শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে ভাবছে, তাদেরও অনুপ্রেরণা মিলন। সাহিত্যে ভাষা ব্যবহারের তার রয়েছে সাহসী প্রদক্ষেপ। আমাদের আঞ্চলিক ভাষা যে গৌরব, তার সৌন্দর্য আবিষ্কার করে নান্দনিক প্রয়োগ করেছেন তিনি।’

কবি মুহম্মদ সামাদ বলেন, ‘বাংলা ভাষায় এমন লেখক বিরল যিনি কবিতা পড়ে কথাসাহিত্য চর্চা করেন। যে কারণে তার লেখায় শব্দ প্রয়োগের নান্দনিকতা লক্ষ্য করি। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ছাড়া এমন প্রবণত কারও মধ্যে দেখিনা।’ কবি হাসান মাহমুদের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদা, কালি ও কলম আবুল হাসনাত, ছড়াকার আমিরুল ইসলাম, প্রকাশক ওসমান গনি প্রমুখ। সবশেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কথাসাহিত্যিক ও কালের কণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক মোস্তফা কামাল।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

আহা চিকুনগুনিয়া !

ঈদের দিন ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে মেঝেতে পা দিয়ে আমিবিস্তারিত পড়ুন

‘দৃষ্টিশক্তি থাকা, কিন্তু জীবনে লক্ষ্য না থাকা অন্ধত্বের চেয়েও খারাপ’

চক্ষু, কর্ন, জিহবা, নাসিকা, ত্বক – মানুষের এই পাঁচটি ইন্দ্রিয়েরবিস্তারিত পড়ুন

ধর্ষিতা মেয়েটির গল্প

পারিনি সেদিন নিজেকে শোষকদের হাত থেকে রক্ষা করতে, পারিনি সেদিনবিস্তারিত পড়ুন

  • যা হবে কবিতা লিখে…!
  • কাটাপ্পা বাহুবলির পর এইবার হিরো আলম ড্রেস?
  • দর্শক যেভাবে বুঝলেন যে মাশরাফির স্ত্রী ক্রিকেট খেলেন না!
  • ‘‘আজকাল আইসিসির সহযোগিতা ছাড়া মাশরাফি-তামিমদের বিপক্ষে জেতা যায় নাকি’’
  • গরু খোঁজা (একটি গল্প)
  • যেসব খাতে ভ্যাট বসানো অতি জরুরি
  • ভাড়া ১০০ টাকা, ভ্যাট-ট্যাক্স মিলে ২৪০!
  • দুদকের হয়ে কেস লড়তে চান কেডি পাঠক
  • শততম টেস্টে আম্পায়ার কেন ওই রকম করলেন?
  • রিক্সা চালাই বিয়ে করেছিলাম, আমার মতই এক গরীবের মেয়েকে বউ করে এনেছিলাম —
  • নারীর দাস জীবন এবং একজন সাদিয়া নাসরিন
  • আজকের এ দিনে রক্তে রঞ্জিত হয়েছিলো ঢাকার রাজপথ