রেল ক্রসিংয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া যাত্রীবাহী লেগুনাকে ট্রেনের ধাক্কায় নারায়ণগঞ্জের পাগলায় অন্তত ৫ জন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাগলার রসুলপুরের খাজার টেক নামক স্থানে একটি দিয়াশলাই তৈরির কারখানা সংলগ্ন রেলক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে ১০ জনেরই অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। ঘটনার পর পরই তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই দুই পুরুষ যাত্রীর মৃত্যু হয়। গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে ১০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানে মৃত ঘোষণা করা হয় আরও এক শিশু, এক নারী ও এক পুরুষ যাত্রীকে। ট্রেনের লাইনে ওঠার পর বন্ধ হয়ে গেলে যাত্রীবাহী লেগুনাটি প্রচণ্ড গতিতে এসে ট্রেনটি ধাক্কা দেয়। আর এতেই দুমড়ে-মুচড়ে যায় ট্রেনটি। এতে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

অন্যসময় ওই রেলক্রসিংয়ে কোন একজন সিগন্যাল ম্যান থাকলেও ঘটনার সময় তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না বলে গণমাধ্যমকে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। তবে তিনি রেলওয়ের নিয়োগকৃত কেউ নন বলে জানা গেছে। এই ক্রসিং দিয়ে যেসব গাড়ি পার হয়, সেসব গাড়ি থেকে নেয়া নিয়মিত মাসোহারার বিনিময়ে তিনি এ কাজ করেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদও এ রেলক্রসিংটাকে অবৈধ বলে দাবি করেন গণমাধ্যমকে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এই ‘অবৈধ’ ক্রসংটি তড়িঘড়ি পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয় ১৬ যাত্রীবাহী লেগুনাটি। রেলের পাতে উঠে লেগুনাটির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেলে মুহূর্তেই ছুটে এসে সেটিকে দুমড়ে-মুচড়ে দেয় দ্রুতগামী ট্রেন।

ফতুল্লা মডেল থানার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. শরফুদ্দিন গণমাধ্যমকে এ দুর্ঘটনার কথা নিশ্চিত করেন। রেলক্রসিংটি অবৈধ জেনেও কেন দীর্ঘ দিন এ পথে যান চলাচল করতে দিলও এ নিয়ে ঘটনার পর রেলওয়ের প্রতি স্থানীয়দের প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন।