মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

শিশুরা ভাইরাসজনিত জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে

গ্রীষ্মের দাবদাহে অন্যান্য রোগের সঙ্গে শিশুরা ভাইরাসজনিত জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে। সাধারণত, ঋতু পরিবর্তনের সময় এ জ্বর হয়ে থাকে। আর্দ্র আবহাওয়ায় এর প্রকোপ বাড়ে। সাধারণভাবে ভাইরাস জ্বর বলতে ফ্লুকেই বোঝায়।

এ জন্য প্রধানত দায়ী ইনফ্লুয়েঞ্জা ‘টাইপ বি’ এবং ‘টাইপ এ’-এর দুটো ভাইরাস। আইইডিসিআরবির গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশে প্রতিবছর এপ্রিল থেকে শুরু হয় ফ্লুয়ের প্রকোপ, আর তা কয়েক মাস থাকে।

লক্ষণ: ভাইরাস আক্রমণের দুই থেকে সাত দিন পর জ্বর হয়। শীত শীত ভাব, মাথাব্যথা, শরীর ও গিরায় ব্যথা, অরুচি, ক্লান্তি, দুর্বলতা, নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হওয়া, চুলকানি, কাশি, অস্থিরতা ও ঘুম কম হতে পারে। অনেকের পেটের সমস্যা, বমি ও ডায়রিয়া হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে ভাইরাসের সংক্রমণে পেটব্যথাও হতে পারে।

ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস অনবরত চরিত্র বদলায়, তাই উল্লিখিত লক্ষণগুলোর প্রতিটি সব রোগীর মধ্যে না-ও থাকতে পারে। আবার একেক রোগীর ক্ষেত্রে ভাইরাসটির তীব্রতাও একেক রকম হতে পারে। কারও হয়তো তিন দিনেই জ্বর ভালো হয়ে গেল, কারও আবার ৭ থেকে ১৪ দিনও লাগতে পারে। ভাইরাস জ্বর বাতাসের মাধ্যমে এবং আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি থেকে ছড়ায়। অনেকের ক্ষেত্রে ঠান্ডা লেগে কিংবা বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর হয়। তাই এ সময় সতর্ক থাকাই উচিত।

চিকিৎসা: ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হলে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। কোনো অ্যান্টিবায়োটিকেরও প্রয়োজন হয় না। জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল খেলেই হয়। তবে প্রচুর পানি পান করতে হবে এবং সেই সঙ্গে নিতে হবে বিশ্রাম। যেসব শিশু বুকের দুধ পান করছে, তাদের বারবার তা দিতে হবে। অনেকে মনে করেন, ভাইরাস জ্বর হলে গোসল করা যাবে না। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। গোসল করতে বাধা নেই।

খুব ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে শরীর মুছে দেওয়া ভালো। দরজা, জানালা ও ফ্যান বন্ধ করে ঘরকে গুমোট করে রাখবেন না। জানালা খুলে হালকা গতিতে ফ্যান ছেড়ে দেওয়া ভালো। সাধারণত কয়েক দিনেই ভাইরাস জ্বর ভালো হয়ে গেলেও এর ফলে শরীরে যে ক্লান্তি ও অবসাদ আসে, তা দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তাই রোগ ভালো হয়ে যাওয়ার পরও কয়েক সপ্তাহ অবশ্যই শিশুকে পুষ্টিকর খাবার ও তরল খাবার দিতে হবে।

জ্বর তিন দিনের বেশি স্থায়ী হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো। এ ছাড়া খুব ছোট শিশুদের ক্ষেত্রেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বা যারা অন্য কোনো জটিল রোগে ভুগছে, তাদের প্রতিবছর ফ্লু-এর প্রতিষেধক টিকা নেওয়া উচিত।
শিশু বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী

কুড়িগ্রামে টানা ৬ দিন বন্যায়  ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।  মানুষজনবিস্তারিত পড়ুন

এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন এমডি আনোয়ার হোসেন চৌধুরী

এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে যোগ দিয়েছেন সাবেকবিস্তারিত পড়ুন

কক্সবাজারে পাহাড় ধসে প্রাণ গেল মসজিদের মোয়াজ্জেম ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর

কক্সবাজারে পাহাড় ধসে মারা গেলেন মসজিদের এক মুয়াজ্জিন এবং তারবিস্তারিত পড়ুন

  • গুরুতর অসুস্থ কে এম সফিউল্লাহ
  • সৌদি আরবে হজ পালনের সময় অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু
  • ঈদযাত্রায় মহাসড়কে  চলছে ধীরগতিতে গাড়ি
  • রাজধানীর পান্হপথে ৮০ কোটি টাকার খাসজমি উদ্ধার
  • বুয়েট পাচ্ছে ১০০ কোটি টাকার ন্যানো ল্যাব  
  • বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এক বাসার রান্নাঘরে বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৪
  • বাজেট হয় কাগজে কলমে, প্রতিফলন নেই সমাজে
  • রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
  • ভেঙে যাচ্ছে সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকা
  • ঢাকার প্রাকৃতিক জলাশয় রক্ষায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে: বিভাগীয় কমিশনার
  • রাজধানীতে পিস্তল লোড-ডাউনলোডের সময় অস্ত্রের দোকানের কর্মচারী গুলিবিদ্ধ
  • গাজীপুরে ট্রাকের পেছনে পিকআপের ধাক্কায় নিহত ২
  • Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *