শিশু বাজেটের পর
আগে শিশুরা খেলনা কিনতে চাইলে মা–বাবা নানা কিছু বোঝানোর পর একপর্যায়ে বলতেন, ‘টাকা নাই’। এখন আর সেটা বলতে পারবেন না। ‘টাকা নাই’ বললে শিশুরা বলতেই পারে, ‘তোমার টাকা নাই তো কী হয়েছে! আমার জন্য অর্থমন্ত্রী আংকেল যে টাকা বরাদ্দ রেখেছেন, সেটা থেকে কিনে দাও!
আগে শিশুদের চিপস, চকলেট কিনে না দিলে বাসার মুরব্বি যেমন দাদা–দাদি, নানা–নানির কাছে বিচার দিত, ‘আব্বু আমাকে চকলেট কিনে দেয়নি।’ এখন তারা বিচার দিতে পারে স্বয়ং অর্থমন্ত্রীকে, ‘হ্যালো অর্থমন্ত্রী দাদুভাই, আজ না আব্বু আমাকে চকলেট কিনে দেয়নি। তুমি আব্বুর ফেসবুকে নক করে আচ্ছা করে বকে দাও!’
আগে শিশুরা টাকা চাইলে অভিভাবকেরা শক্ত অবস্থানে থেকে বলতেন, ‘ছোটদের টাকা দিতে নেই!’ কিন্তু এখন শিশুরা বলতেই পারে, ‘বুঝেছি তো, তোমরা আমার বাজেটের টাকা ব্যাংকে রেখে দিয়েছ। টাকা না দিলে আমি আর ভাতই খাব না!’
আগে শিশুদের কিছু কিনে না দিলে তারা তাদের বড় ভাই, মামা বা চাচাকে ভয় দেখাত, ‘বাবাকে বলে দেব, মাকে বলে দেব!’ এখন তাদের মা-বাবাকেই ভয় দেখাবে, ‘আমাকে তিনটা চিপস, তিনটা গাড়ি, সাতটা চকলেট কিনে না দিলে অর্থ আংকেলকে বলে দেব, হুঁ!’
আগে পথশিশুরা রাস্তায় ভদ্রলোকদের কাছে ঝাড়ি খেত, কাগজ কুড়াত, দিন শেষে কাঁদতে কাঁদতে রাস্তায় ঘুমিয়ে যেত। এখনো তারা ঝাড়ি খাবে, কাগজ কুড়াবে, রাস্তার মোড়ে ফুল বিক্রি করবে, দিন শেষে কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়েও পড়বে। কারণ, শিশু বাজেটের খবরটা তাদের কেউ
দেয়নি যে!
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
আসিফ নজরুল: ছয় কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশ ৮ ফেব্রুয়ারি
অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন আগামী ৮ ফেব্রুয়ারিবিস্তারিত পড়ুন
ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত থাকায় বুয়েটের ৮ শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় বাংলাদেশ প্রকৌশলবিস্তারিত পড়ুন
সন্তান মোবাইল ফোনে কী করছে, সতর্ক হোন এখনই
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে বড় ধাক্কা লেগেছে দেশের আইনশৃঙ্খলারবিস্তারিত পড়ুন