যখন সব সফল মানুষের সঙ্গে আপনি বন্ধুত্ব গড়ে তুলবেন, তখন ভবিষ্যতটাও উজ্জ্বল মনে হবে। মূলত নেটওয়ার্কিং বৃদ্ধির সুবিধা একটাই। তা হলো, আপনার অনেক সুযোগ বেরিয়ে আসবে। আইডিয়া ছড়িয়ে দিতে পারবেন। বহু রথীর নজরে আসবেন। বহু বিশেষজ্ঞের মতে, বিশাল নেটওয়ার্ক দিয়ে আসলে তেমন সুবিধা পাওয়া যায় না। এদের মধ্যে গুটিকয়েক কাছের বন্ধুর মাধ্যমেই সত্যিকার উপকার হয়। আসল মানুষদের সঙ্গে কিভাবে সম্পর্ক করবেন তা এখানে তুলে ধরেছে বিজনেস ইনসাইডার।

১. একটা বিষয় খেয়াল করে দেখবেন, সফল মানুষরা একে অপরকে চেনেন। এটা অনেকটা এলিট সোসাইটির মতো। ইন্টারনেট ও সোশাল মিডিয়ার যুগে এ বিষয়টি আরো সহজ হয়েছে। একই পেশা বা ভিন্ন পেশার সমমনা মানুষরা গ্রুপ তৈরি করছেন এবং একে অন্যের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন। এসব গ্রুপে অন্যের প্রবেশাধিকার নেই। তবে অনেকেই চেষ্টা করলে সদস্য হতে পারেন। এভাবে নিজের প্রয়োজন যে সকল মানুষের সঙ্গে তাদের গ্রুপে সদস্য হোন। পরিচিত হতে পালে উদ্দেশ্য সফল হবে। গ্রুপে অপরিচিতি একজন সদস্যকে কেউক প্রথমে গ্রহণ করে নিতে চাইবে না। তবে তাদের কাছে পাঠানো আপনার মেসেজ এবং তার ভাষা সবার মন জয় করতে পারেন। নিজের নাম, পরিচয়, এখানে সদস্য হওয়ার ইচ্ছার কারণ ইত্যাদি দিয়ে একটি সুন্দর বক্তব্য লিখে ফেলুন। তবে এ ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে সঠিক মানুষটির কাছে মেসেজ করবেন। তবে মূল বক্তব্য হবে তাদের বন্ধুত্ব কামনা।

২. মূল্যবান যোগাযোগ সৃষ্টি করুন। অনেক সময় এই মূল্য নির্ধারণে হিমশিম খাবেন। যাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চান তা যেন আপনার জন্যে গুরুত্বপূর্ণ হয়। আবার এ সম্পর্কে লেনদেনের বিষয় চলে আসতে পারে। আবার নতুন বন্ধুদের উপহার দিতে দিতে হতাশ হবেন না। আপনার লক্ষ্য ঠিক থাকলে ভালো খবর আসবেই। অপর পক্ষ থেকে আপনি কি পেলেন তা হিসাব করতে যাবেন না। এটা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হতে পারে। তাই এদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে চাইলে দেনা-পাওনার হিসাব করবেন না।

৩. মনে রাখবেন, বন্ধুত্ব যার বা যাদের সঙ্গে স্থাপন করতে চাইছেন তা যেন সত্যিকার বন্ধুত্ব হয়। এ সম্পর্ককে কাছের বন্ধুত্বে নিয়ে যান। সত্যিকার বন্ধুত্বের মূল্য কোনকিছু দিয়ে নির্ণয় করতে পারবেন না। কাজেই সত্যিকার বন্ধু পাওয়াটাই অনেক মূল্যবান। যদি কোনো ব্লগের সদস্য হয়ে থাকেন, তবে সবার সঙ্গে আন্তরিকতার সঙ্গে চিন্তা-ভাবনার লেন-দেন করুন। এভাবে সমমনাদের সঙ্গে আজীবনের সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে আপনার।