রবিবার, অক্টোবর ১৩, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

সবুজ অঙ্কুর যেভাবে আপনাকে অসুস্থ করবে

সবুজ অঙ্কুর শুনতে কিউট লাগে। কিন্তু এই ক্ষুদ্র সবুজগুলো গত দুই দশকে ২,৫০০ লোককে অসুস্থ করেছে যাদের মধ্যে ১৮৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। এতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে তিনটি।

যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) এক প্রতিবেদন থেকে এমনটাই জানা গেছে। এফডিএ এর গবেষকরা তাদের প্রতিবেদনে লিখেছেন, “অঙ্কুর দূষণ গণস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে।”

গবেষণাটি করা হয় এর প্রকোপ অনুসন্ধান এবং তা প্রতিরোধের উপায় খুঁজে বের করার জন্য। গত ২৮ অক্টোবর নিউ অর্লিন্সে অনুষ্ঠিত সংক্রামক রোগ নিয়ে কাজ করে এমন কয়েকটি সংগঠনের বৈঠক আইডি উইকে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৯৬ সাল থেকে আগস্ট, ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৪৮টি রোগের মহামারি ছিল অঙ্কুর সংশ্লিষ্ট।

৩০টি রোগের মহামারির ঘটনার পেছনেই মূলত দায়ী ছিল ত্রিপত্রোৎপাদী বৃক্ষ অঙ্কুর। সাতটি মহামারির ঘটনা ছিল ত্রিপত্র গুল্মলতা সংশ্লিষ্ট, ছয়টি মহামারির পেছনে ছিল মুগ ডাল অঙ্কুর আর দুটি মহামারির পেছনে ছিল অচেনা অঙ্কুর, আর দুটি মহামারির পেছনে ছিল বহুমুখী ধরনের অঙ্কুর এবং একটি মহামারির পেছনে অঙ্কুরিত চিয়া গুড়া।

অঙ্কুরে থাকে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া। তবে ৩৫টি মহামারির পেছনে খাদ্যে বিষক্রিয়ার জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া স্যালমোনেলার ভুমিকাই মুখ্য ছিল প্রমাণিত হয় গবেষণায়। তিনটি মৃত্যুর দুটিই ঘটে স্যালমোনেলার কারণে। আর একটি মৃত্যু ঘটে লিস্টারিয়া ব্যাকটেরিয়ার কারণে।

অঙ্কুর গজোনোর আগেই যদি কোনো বীজ ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে দূষিত হয় তাহলে অঙ্কুরোদগম প্রক্রিয়ার সময় সমস্যাটি আরো প্রকট রুপ ধারণ করে। কারণ ব্যাকটেরিয়া বহুগুনে বাড়বে। আর প্রকৃত পক্ষে বেশিরভাগ অঙ্কুর মহামারির ক্ষেত্রেই দেখা গেছে মহামারিটি শুরু হয় অঙ্কুরোদগম প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে আক্রান্ত বীজ থেকে। বীজ সংগ্রহের সময় তাতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটতে পারে এবং শুষ্ক অবস্থায়ও বেশ কয়েকমাস ধরে তা বেঁচে থাকতে পারে।

বেশিরভাগ মহামারির পেছনে দায়ী ত্রিপত্রোৎপাদী বৃক্ষ অঙ্কুরই কাঁচা অবস্থায় খাওয়ার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয়। কাঁচা খাওয়া হয় এমন অঙ্কুরই বেশিরভাগ মহামারির পেছনে দায়ী থাকে। আর মুগ ডাল এবং সয়াবিন অঙ্কুর এর মতো যেসব অঙ্কুর রান্না করে খাওয়া হয় সেসবের কারণে মহামারির ঘটনা খু্ব কমই ঘটে।

যুক্তরাষ্ট্র সরকার বলছে, যারা সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন বেশি তাদের উচিৎ কাঁচা বা হালকা রান্না করা অঙ্কুর এড়িয়ে চলা। এদের মধ্যে রয়েছেন শিশু, বৃদ্ধ, গর্ভবতী নারী এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন লোকেরা।
সূত্র: ফক্স নিউজ

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

মানবদেহে আদার অনেক উপকার

আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন

হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?

বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন

ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ

চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন

  • ওজন কমাতে যা খাওয়া যেতে পারে
  • প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রসুন
  • আমলকি কখনো স্বাস্থ্যের জন্য ‘বিপজ্জনক’ হয়ে ওঠে
  • বাসি দই ও পান্তা ভাতের আশ্চর্যজনক উপকারিতা
  • স্বাদে ও পুষ্টিগুণে ভরপুর সবজি হলো লাউ
  • মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রার পারদ উঠল ৪৩ ডিগ্রিতে
  • যেসব অঞ্চলে টানা ৩ দিন ঝড়বৃষ্টি
  • ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ফের কমলো স্বর্ণের দাম
  • গরমে চুলের যত্ন নেবেন কীভাবে?
  • একলাফে সোনার দাম ভ‌রিতে কমলো ৩১৩৮ টাকা
  • কত দিন পর পর টুথব্রাশ বদলাবেন?
  • ত্বকের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়