সাকার পক্ষে সাক্ষ্য দিতে চায় ৫ পাকিস্তানি নাগরিক!
১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে চেয়েছেন পাকিস্তানের পাঁচ নাগরিক। বুধবার কাতারভিত্তিক বার্তা সংস্থা আল-জাজিরায় সাকা চৌধুরীর পক্ষে সাফাই পেশ করে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
‘পাকিস্তানিস আস্ক টু টেস্টিফাই ইন বাংলাদেশ ওয়ার ক্রাইমস কেস’ শিরোনামে ওই প্রতিবেদনে পাঁচ পাকিস্তানি জানিয়েছেন, সাকার মামলায় তারা সা্ক্ষ্য দিতে পারলে মামলার রায় পাল্টে যেত। এই পাঁচ পাকিস্তানি নাগরিক হলেন- ২০০৭ সালে তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মিয়া সোমরু, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সাবেক সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইসহাক খান খাকানি ও ডন মিডিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আম্বার হারুন । বাকি দুইজন পেশায় ব্যবসায়ী।
এই পাঁচ পাকিস্তানির মতে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী করাচিতে ছিলেন। যেসব অপরাধের জন্য তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে সেসময় তিনি সাবেক পূর্ব পাকিস্তানে ছিলেনই না।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত ২৩ অপরাধের মধ্যে ৯টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। সাকার পক্ষে আপিল আবেদনের পর গত ২৯ জুলাই মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তবে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে বুধবার রিভিউ পিটিশন করেছেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবীরা।
পাকিস্তানের ওই পাঁচ নাগরিক বলেছেন, তারা যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে চেয়েছিলেন। আদালত প্রসিকিউসনকে ৪১ জন সাক্ষী হাজির করার অনুমতি দেন। কিন্তু সালাউদ্দিন কাদেরের আইনজীবীদের সব মিলিয়ে পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের অনুমতি দেয়। তারা শপথ হলফনামার একটি খসড়া আদালতে উপস্থাপনও করেছিলেন । কিন্তু ট্রাইব্যুনাল ও আপিল বিভাগ তাদের সাক্ষ্য অগ্রহণযোগ্য বলে বাতিল করে দেয়।
পাঁচজনের মধ্যে মুনিব আরজমান্দ নামে এক পোশাক ব্যবসায়ী দাবি করেছেন, তার সাক্ষ্য আদালতের পুরো রায়কে পরিবর্তন করে দিতে পারবে।
তিনি বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী তার পুরনো বন্ধু। ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ করাচি বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থণা জানান তিনি। সেখান থেকে তাকে হারুন নামে একজনের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সালাউদ্দিন কাদের সেখানে তিন সপ্তাহ অবস্থান করেন। পরে পড়াশোনা করার জন্য বিমানে করে তিনি লাহোর চলে যান।
ওই পাঁচজনের মধ্যে রয়েছেন আম্বার হারুন সাইগল। ১৯৭১ সালে তার বয়স ছিল ২০ বছর । তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের মার্চের শেষ নাগাদ থেকে মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত সালাউদ্দিন কাদের করাচিতে তাদের বাড়িতে ছিলেন। ওই সময় রাতের খাবারের সময় তার সাথে আমি, আমার বোন ও বাবা-মা আলোচনা করতাম।’
২০০৭ সালে পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন মোহম্মদ মিয়ান সোমরু বলেন। তিনি বলেন, করাচি যে তিন সপ্তাহ সালাউদ্দিন পাকিস্তানে ছিলেন, সে তার সঙ্গে নিয়মিত আমার সাক্ষাৎ হতো।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন