সাকিবরা এবার ফুটবলার
বেলা তখন সাড়ে বারোটা। ড্রেসিং রুম থেকে বেরিয়ে এলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান… একে একে সবাই। সঙ্গে একটা ফুটবল। মৌসুমটাই তো ফুটবলের। কর্দমাক্ত মাঠে দাপিয়ে ফুটবল খেলার দুরন্ত সেই শৈশবগুলো যেন ফিরে এল বৃষ্টিঝরা এ দুপুরে। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অবশ্য কাদার খোঁজ মিলবে না। তবে বৃষ্টিভেজা সবুজ আচ্ছাদনেই রোজকার জিম-ট্রেনিং শেষে ফুটবলটা জমে ভালো।
২২ গজের মতো এখানেও কম যান না সাকিব। মুগ্ধ হয়ে দেখতে হয় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের ড্রিবলিং, পাসিং আর ফিনিশিং। বেশ কবার সতীর্থদের সঙ্গে ওয়ান-টু খেলেই ঢুকে পড়েন প্রতিপক্ষের আক্রমণভাগে। এরপর দুর্দান্ত এক ফিনিশিং। বার্সেলোনার ‘টিকিটাকা’র ছোট্ট এক প্রদর্শনী! ক্রিকেট তারকাদের ভিড়ে সাকিবের ফুটবল প্রতিভা আলাদা করে নজরে পড়েই।
ব্যাট-বল হাতে যিনি বিশ্বসেরা, সেই সাকিবের দুরন্ত ফুটবল প্রতিভায় অবশ্য অবাক হওয়ার কিছু নেই। ছোটবেলায় কিন্তু ফুটবলটাই বেশি খেলতেন। কখনো কখনো ক্রিকেটের চেয়ে ফুটবলটাই ছিল তাঁর বেশি পছন্দের। ২০১০ ফুটবল বিশ্বকাপের সময় বলেছিলেন, ‘যদি টিভিতে দুটি খেলা একসঙ্গে চলে এবং ক্রিকেটে বাংলাদেশের খেলা না থাকে, কোনো চান্স নেই ক্রিকেট খেলা দেখার। মোটামুটি মানের হলেও ফুটবলই দেখব।’
ফুটবল তাঁর রক্তেই। বাবা মাশরুর রেজা ছিলেন ফুটবলার। নিজে জাতীয় ফুটবল দলে খেলতে পারেননি, তবে তাঁর হাতেই গড়া ভাগনে উজ্জ্বল খেলেছেন বাংলাদেশ ফুটবল দলে। মাশরুরও চেয়েছিলেন, ছেলে বড় হয়ে ফুটবলারই হোক। কিন্তু সাকিবের চাওয়া ছিল অন্য রকম। তিনিও জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখেছেন। তবে ফুটবল নয়; ক্রিকেটে। স্বপ্ন পূরণের সিঁড়ির দেখা পেলেন বিকেএসপিতে ভর্তি হয়ে। এরপর বয়সভিত্তিক ক্রিকেট পেরিয়ে জাতীয় দলে।
প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভেঙে ছুটছেন সাকিব, আজ অনুশীলনে। তবে ফুটবলের প্রতি ভালোবাসাটা সাকিবের রক্তেই। আর্জেন্টিনা তাঁর প্রিয় দল। সাকিব মেসি বলতে পাগল। সময় পেলেই বসে যান মেসির খেলা দেখতে। রাত জেগে দেখেন বার্সেলোনার খেলাও। অনুশীলনে শখের ফুটবলে সাকিবের ভেতরের ফুটবলারটা হাজির হয় মাঝে মধ্যেই।
সাকিবকে ক্রিকেট থেকে নিরস্ত করতে ব্যাট-বল দা-কুড়োল দিয়ে কেটেছেন তাঁর বাবা। একটা জেদ তো ছিলই। তবে ছেলেকে ফুটবলার বানাতে না পেরে এখন আর কোনো আক্ষেপ নেই মাশরুর রেজার। গত ক্রিকেট বিশ্বকাপের আগে বলেছিলেন, ‘সাকিব ফুটবলার হয়নি এ নিয়ে কোনো অপূর্ণতা নেই। এখন বরং মনে হয়, ফুটবলার হলে সে আজ এ অবস্থায় আসতে পারত না। ক্রিকেটে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলতে পারে।
ফুটবলে পারে না। সাকিব ফুটবল খেললে আজকের সাকিব হতে পারত না। যদিও ছোটবেলায় ফুটবলটাও সে দারুণ খেলত। তাতেও হয়তো জাতীয় দলে সুযোগ পেত। কিন্তু বিশ্বমঞ্চে নিজেকে তুলে ধরার সুযোগ পেত না বা আজকের অবস্থানে আসতে পারত না। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে নিজেকে নাম্বার ওয়ান করতে পারত না।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেবিস্তারিত পড়ুন

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচে আজ ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।বিস্তারিত পড়ুন

বিপিএলে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বরিশাল
বিপিএলের ফাইনালে শুরুতে ব্যাটিং করে রেকর্ড রান সংগ্রহ করে প্রথমবিস্তারিত পড়ুন