সোমবার, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেন পাবনার তিন বীরাঙ্গনা

দেশ স্বাধীনের দীর্ঘ ৪৫ বছর পর অবশেষে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেনন পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার তিন বীরাঙ্গনা। চলতি বছরের ১৭ নভেম্বর জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে তাদের এ স্বীকৃতি দেয়া হয়। গেলো বছরের অক্টোবরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এনিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়ে প্রশাসনের। তারই প্রেক্ষিতে তাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হলো।

যে তিনজন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেন তারা হলেন; পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার খিদিরপুর গুচ্ছগ্রামের মৃত নুনে সরকারের স্ত্রী সোনা বালা, শ্রী আশুপদ’র স্ত্রী মায়া রানী, একই উপজেলার কন্দর্পপুর গ্রামের মৃত বেলায়েত প্রামানিকের মেয়ে জামেলা খাতুন। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে দ্রুত তাদের সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা চালুর জোর দাবী জানিয়েছেন এসব নারী মুক্তিযোদ্ধা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একাত্তরের ২২ অক্টোবর সন্ধ্যায় বাড়িতে রান্না করছিলেন অবিবাহিত সোনা বালা ও তার ভাবী মায়া রানী। এ সময় স্থানীয় আব্দুল মমিন রাজাকারের নেতৃত্বে ৫/৭ জন বাড়িতে হানা দিয়ে জোরর্পূবক তাদের ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালায়। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুঁটে গেলে তাদের ফেলে পালিয়ে যায় রাজাকারের দল। পরে খবর পেয়ে তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহজাহান আলী ও কমান্ডার আনোয়ার হোসেন রেনুর নেতৃত্বে রাজাকারদের উপর বেরুয়ান নামক স্থানে হামলা চালান মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারদের সম্মুখ যুদ্ধে কয়েকজন সাধারণ মানুষের পাশাপাশি মমিন রাজাকারসহ ১০ রাজাকার নিহত হয়। একইভাবে নির্যাতন চালানো হয় কন্দর্পপুর গ্রামের জামেলা খাতুনের ওপর।

এরপর একে একে কেটে গেছে প্রায় ৪৫ বছর। এতবছর একাত্তরের দূর্বিষহ যন্ত্রণা, সামাজিক নানা লাঞ্ছনা নিয়ে চলছিল পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার তিন বীরাঙ্গনা সোনা বালা, মায়া রানী ও জামেলা খাতুনের জীবন সংগ্রাম। অন্যের জমিতে বসবাস ও দিনমজুরী করে, খেয়ে না খেয়ে চলছে সংসার। প্যারালাইসিসে আক্রান্ত স্বামী বিছানায় পড়ে আছে মায়া রানীর, আর স্ট্রোক করে বর্তমানে কর্মক্ষমতা হারিয়ে অসুস্থ্য সোনা বালা। সরকার বিভিন্ন সময়ে বীরাঙ্গনা নারীদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে আসলেও কোনো তালিকায় নাম ছিলনা তাদের। অবশেষে জীবন সায়াহ্নে এসে পেলেন বীরাঙ্গনা নারী মুক্তিযোদ্ধার খেতাব।

বীরাঙ্গনা নারী মুক্তিযোদ্ধা মায়া রানী বলেন, জীবনের শেষ সময়ে এসে শেখের বেটি ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’ আমাদের যে সম্মান দেখালো। তার ভুলবার নয়। ক’দিনই বা বাঁচবো। সম্মান নিয়ে মরতে সুযোগ দেওয়ার জন্য তাকে ধন্যবাদ। ধন্যবাদ আমাদের পরবর্তী ভবিষ্যৎ উত্তরসূরীরা বলতে পারবে আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য। আর বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা সোনা বালা জীবনের সায়াহ্নে এসে আবেগে আপ্লুত। তিনি বলেন, আপনারা সাংবাদিকরা আমাদের জন্য যা করলেন, তা স্মরণীয়। আপনাদের ধন্যবাদ দেওয়ার ভাষা নেই। মৃত্যুর আগে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি নিয়ে মরতে পারছি এটাই যেন দেশের জন্য কিছু করেছি বলে গর্বিত লাগছে।

আটঘরিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার জহুরুল হক বলেন, দীর্ঘদিন পর হলেও আজ ভালো লাগছে অসহায় এই নারীদের সরকার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছেন। তাদের সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে বাকি যা কাজ আছে তা দ্রুতই করবেন বলে জানালেন এই মুক্তিযোদ্ধা।

আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলীমুন রাজীব বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর গত ১৭ জুলাই এই বীরাঙ্গনা মহিয়সী নারীদের মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভূক্ত করার জন্য কাগজপত্র মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করি। গণমাধ্যমের মাধ্যমেই জানতে পারি তাদের মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নামভূক্তসহ গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। জেনে সত্যিই আনন্দ লাগছে। তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, খুব শীঘ্রই বদলী হতে হবে এই উপজেলা থেকে। কিন্তু যাবার বেলায় একটা ভালো কাজ করে যেতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে। ইউএনও রাজীব বলেন, আগামী ১৬ ডিসেম্বর এই তিন নারী মুক্তিযোদ্ধাকে বিশেষভাবে সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি তাদের সরকারি সুযোগ সুবিধা দ্রুত নিশ্চিত করতে আমার পক্ষ থেকে যা যা করবার সব করা হবে।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান গবেষক ডক্টর এম আব্দুল আলীম বলেন, নিজস্ব ঘর বাড়ি নেই, পরের জায়গায়, পরের জমিতে কাজ করে দিনাতিপাত চলছিল এই বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা নারীদের। জীবন সায়াহ্নে এসে দাঁড়িয়েছেন আজ তারা। গণমাধ্যমের বলিষ্ঠ ভূমিকার কারণেই আজ তারা মুক্তিযোদ্ধার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়েছেন। দীর্ঘদিন পর হলেও সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনিও দাবী করলেন, মানবেতন জীবনযাপনকারী এই অসুস্থ্য এই নারীদের দ্রুত সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করে তাদের জাীবন মান স্বাভাবিক ও উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন

নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন

  • কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী
  • সিলেটে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
  • চালু হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট
  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • সিলেটে ৯ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
  • সকাল থেকে ঢাকায় বৃষ্টি
  • রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই নারীর আত্মহত্যা
  • ছুটি শেষে কর্মচঞ্চল আখাউড়া স্থলবন্দর
  • নোয়াখালীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ
  • নান্দাইলে চাচাতো ভাইয়ের হাতে চাচাতো ভাই খুন
  • সিলেট বিভাগের বন্যা ভয়ঙ্কর রুপ নিচ্ছে
  • সবুজবাগে পরিবেশমন্ত্রীর সেলাই মেশিন বিতরণ