শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

হিজরা কি সত্যিই হিজরা ? (দেখুন চমকপ্রদ একটি ভিডিও)

আমরা যারা সভ্যসমাজের মানুষ, তারা এই অবহেলিত শ্রেণীটিকে ‘হিজড়া’ বলে ডাকি। হিজড়া নারী আর পুরুষের মত নয়, হিজড়াদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হিজড়া শব্দকে তারা অভিশাপ বা গালি হিসেবে মনে করেন। আসলে তারা হচ্ছেন, ট্রানজেন্ডার। প্রকৃতির নিয়তিতেই এরা স্বাভাবিক মানুষের পরিবর্তে হিজড়ায় রূপান্তরিত হয়। ঠিক যেমনটি ঘটে থাকে একজন প্রতিবন্ধীর ক্ষেত্রে। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হলো, প্রতিবন্ধীদের জন্যে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে এবং তাদেরকে সমাজের মূলস্রোতের অন্তর্ভূক্ত করতে নানারকম সরকারি-বেসরকারি আন্দোলন ও পদক্ষেপ দৃষ্টিগোচর হলেও হিজড়াদের কল্যাণে এরকম কোনো কর্মসূচি চোখে পড়ে না আমাদের দেশে। সভ্যসমাজ থেকে একপ্রকার নির্বাসিত এই শ্রেণীটি তাই বিকৃত মানসিকতা নিয়ে গড়ে ওঠে। পেটের তাগিদে জড়িয়ে পড়ে নানারকম অপরাধমূলক কার্যক্রমে। অথচ ‘মানুষ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে এসব হিজড়াদের সামাজিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করতে পারলে তারাও সমাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।

‘কোথা কবে রই ঘর জন ছেড়ে ঘুরি পথ পানে। খুঁজে ফিরি ধুঁকে ধুঁকে জীবনের মানে। তোমাদের মত আমরা যদিও নই, তবুও মানুষ। এই কথাগুলো হিজড়াদের মুখের ভাষা।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৃথিবীতে দুই ধরনের হিজড়া রয়েছে। পুরুষের মতো শারীরিক গঠন আর মানসিকভাবে নারীর স্বভাব, তাদেরকে অকুয়া বলা হয়। এছাড়া, অন্য প্রকৃতির যারা তাদেরকে জেনেনা বলা হয়। অকুয়া ও জেনেনা জাতির হিজড়া হচ্ছে প্রকৃতির সৃষ্টি।

চিকিৎসকরা জানান, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টি বা চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ডিম্বাণূু ও শুক্রাণু এক্স-এক্স প্যাট্ার্নে কণ্যা শিশু আর এক্স-ওয়াই প্যাটার্নে পুত্র শিশুর জন্ম গ্রহণ করে। জরায়ূতে ভ্রুনের বিকাশ হওয়ার সময় মায়েদের বিভিন্ন প্রকার শারীরিক ও মানুষিক সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। আর এক্স- এক্স- ওয়াই, আবার এক্স-ওয়াই-ওয়াই এর প্যার্টার্নে ছেলে বা মেয়ে হয়ে থাকে। এরপর জেনেটিক পরির্বতনের কারণে হিজড়ায় পরিণত হয়।

হিজড়া এর প্রকারভেদ :
শারীরিক ও মানসিক গঠনের উপর নির্ভর করে এদেরকে ৬ ভাগে ভাগ করা যায়। শারীরিক ভাবে পুরুষ কিন্তু মানষিক ভাবে নারী বৈশীষ্ট্য এর অধীকারী হিজড়াদের বলা হয় অকুয়া, অন্য হিজড়াদের ভরা হয় জেনানা, আর মানুষের হাতে সৃষ্ট বা ক্যাসট্রেড পুরুষদের বলা হয় চিন্নি।

হিজড়ার বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা : এক্স এক্স প্যাটার্ন ডিম্বানুর সমন্বয়ে কন্যা শিশু আর এক্স ওয়াই প্যাটার্ন থেকে সৃষ্ট হয় ছেলে শিশু। ভ্রুনের পূর্ণতার স্তর গুলোতে ক্রোমোজোম প্যাটার্নের প্রভাবে ছেলে শিশুর মধ্যে অন্ডকোষ আর কন্যা শিশুর মধ্য ডিম্ব কোষ জন্ম নেয়। অন্ডকোষ থেকে নিসৃত হয় পুরুষ হরমোন এন্ড্রোজেন এবং ডিম্ব কোষ থেকে নিসৃত হয় এস্ট্রোজেন। ভ্রুনের বিকাশকালে নিষিক্তকরন ও বিভাজনের ফলে বেশকিছু অস্বাভাবিক প্যাটার্নের সৃষ্টি হয় যেমন এক্স এক্স ওয়াই অথবা এক্স ওয়াই ওয়াই। এর ফলে বিভিন্ন গঠনের হিজড়া শিশুর জন্ম হয়।

অধিকাংশই হিজড়াই স্বাভাবিক পরিবারের সাথে সংসার করতে পারবে। অনেকের স্ত্রী ও সন্তান থাকার পরও চিকিৎসার মাধ্যমে শারীরিক গঠন পরিবর্তন করে সমাজে হিজড়া হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছে। এ পরিচয়ের সুবাধে অনেকেই চাঁদাবাজী, সন্ত্রাসী ও অসামাজিক কাজকর্মে লিপ্ত হচ্ছে।

ঢাকার হিজড়া সম্প্রদায়: সারা বিশ্বেই হিজড়ারা একটি কমিউনিটি মেইনটেইন করে এবং নকণ কমিউনিটি এর মধ্য তারা আবার যোগাযোগ রক্ষা করে। ঢাকাতেও তার বিকল্প নয়। ঢাকাতে হিজড়ারা মূলত পাঁচটি দলে বিভক্ত এক দলের হিজড়ারা অন্য দলের এলাকায় গিযে তোলা তুলতে পারবে না। তাদের এই পাঁচটি দলের প্রত্যেকটিতে আছে একজন করে গুরু। এসব এলাকা আর তাদের গুরু হচ্ছে।

* ১. শ্যামপুর, ডেমড়া ও ফতুল্লা, গুরু- লায়লা হিজড়া।
* ২. শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, গুরু- হামিদা হিজড়া।
* ৩. সাভার, ধামরাই, গুরু- মনু হিজড়া।
* ৪. নয়াবাজার ও কোতোয়ালী, গুরু- সাধু হিজড়া।
* ৫. পুরোনো ঢাকা,গুরু- দিপালী হিজড়া।

হিজড়া কথাটার শাব্দিক অর্থ ওসঢ়ড়: বহপব- অর্থাৎ একজন অক্ষম ক্লীব, নপুংশক বা ধ্বজভঙ্গ। বাংলাদেশ তথা বিভিন্ন দেশের হিজড়াদের মতে তারা জন্মগতভাবেই একাধারে স্ত্রী ও পুংলিঙ্গ সংবলিত (বা উভয় লিঙ্গ) প্রাণী। তবে প্রতিটি লিঙ্গেই অস্পষ্ট ও অনির্দিষ্ট। এদের ভেতর কেউ কেউ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে স্ত্রী অথবা পুরুষ রূপে আত্মপ্রকাশ করে। এভাবে আমাদের দেশের অনেকেই স্ত্রী অথবা পুরুষ লিঙ্গ ধারণ করে বসবাস করছে।

একটি চক্র সরল সুন্দর সপ্তম-অষ্টম শ্রেণীর বারো-তেরো বছরের ছেলেদের ফুসলিয়ে প্রতারণায় ফেলে নিয়ে যায়। হাসপাতাল ক্লিনিকে শিক্ষিত ডিগ্রিধারী ডাক্তারের মাধ্যমে পুরুষাঙ্গ কেটে, ওষুধ খাইয়ে আকৃতি বিকৃত করে, ইনজেকশন দিয়ে বা অপারেশন করে স্তন বড় করে এদের হিজড়ার খাতায় নাম লেখায়। পরে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, পতিতাবৃত্তির মতো জঘন্য অপরাধে জড়িত হয় এরা। ইচ্ছে করলেও বাড়ি ঘরে ফিরে যেতে পারে না। ফ্যামিলি এবং সমাজ থেকে দূরে থেকে যাচ্ছেতাই করে বেড়ায়। সামাজিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হিজড়াদের দাবি সাধারণ মানুষের মতো কবর না দিয়ে পানিতে ভাসিয়ে বা মাটির গর্তে পুঁতে রাখা হয় তাদের। কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে নিয়োগ পায় না তারা।

https://youtu.be/3cL72q3BWzY

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

হত্যাকাণ্ডসহ সব অনভিপ্রেত ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল।বিস্তারিত পড়ুন

রাজধানীর শনির আখড়া ও ধনিয়ায় গুলিবিদ্ধ ৬

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শনিআখড়া ও ধনিয়া এলাকায় ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন

বিমানের লাগেজ থেকে সাড়ে ৪ কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার

 ৪ কেজি ৪২০ গ্রাম স্বর্ণের বার হযরত শাহজালাল আন্তর্জা‌তিক বিমানবন্দরবিস্তারিত পড়ুন

  • মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্রের ছবি তোলায় শিক্ষকের কারাদণ্ড
  • বেনজীরের ঢাবি’র পিএইচডি ডিগ্রি বাতিলের প্রস্তাব
  • মতিউর গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে দেশেই আছেন 
  • কারাগারের ছাদ ফুটো করে পালানোর সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ কয়েদি গ্রেফতার
  • রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই নারীর আত্মহত্যা
  • চাঁদা তুলে পরিবার চালানোর অধিকার রাজনীতিবিদদের নেই: ওবায়দুল কাদের
  • চাঁদপুরে যৌথ অভিযানে ১১ মণ জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ
  • কুড়িগ্রামে অবৈধ জাল বিক্রি ও মজুদের দায়ে তিনজনকে কারাদণ্ড
  • নোয়াখালীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ
  • নান্দাইলে চাচাতো ভাইয়ের হাতে চাচাতো ভাই খুন
  • আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তেমন অভিযোগ আসেনি, হলে বিচার হবে: ওবায়দুল কাদেরের
  • সাবেক কমিশনার ওয়াহিদা রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা