বিবাদের জেরে বন্ধ ইদের কুরবানি, বন্ধ দুর্গাপূজোও। ঘটনা ভারতের বীরভূমের নলহাটির একটি গ্রামের। স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আপত্তিতে কুরবানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, পুজো হতে দিতে আপত্তি জানান ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা। প্রশাসন জানিয়েছে, দুপক্ষ ঐকমত্য হলে তবেই পুজো ও কুরবানি দুইয়েরই অনুমতি দেওয়া হবে।

প্রশাসনের কাছে পূজার অনুমতি চাইতে গেলে আপত্তি জানান স্থানীয় ইসলাম ধর্মালম্বীরা। কারণ, তার আগেই এ গ্রামে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল ঈদের কোরবানি। মুসলিমরা শর্ত রাখে, পূজা হলে তাদের কোরবানিও করতে দিতে হবে। কিন্তু হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা রাজি না হওয়ায় শেষপর্যন্ত পূজা ও কোরবানি দুটোই বন্ধ হয়ে যায়।

ঘটনার সূত্রপাত বছর তিনেক আগে। ২০১২ সালে গ্রামে প্রথমবার পুজো করতে উদ্যোগী হন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন। তৈরি হয় পুজো কমিটি। মূর্তির গায়ে মাটিও পড়ে। প্রশাসনের কাছে পুজোর অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু, আপত্তি জানান স্থানীয় ইসলাম ধর্মালম্বীরা। কারণ, তার আগেই এই গ্রামে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ইদের কুরবানি। মুসলিমরা শর্ত রাখে, পুজো হলে তাদের কুরবানিও করতে দিতে হবে। কিন্তু, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা রাজি না হওয়ায়, শেষপর্যন্ত পুজোও বন্ধ হয়ে যায়, বন্ধ থাকে কুরবানিও।

এই চাপানউতোরের জেরে ২০১২ সাল থেকেই গ্রামের মন্দিরে পড়ে রয়েছে অর্ধনির্মিত দুর্গা প্রতিমা। সদ্য শেষ হওয়া শারদোৎসবে পাশের গ্রামে গিয়ে উৎসবের আনন্দে সামিল হয়েছেন হিন্দু ধর্মের লোকজন। স্কুলে পুজোর ছুটি পড়ায়, বড়দের পথেই হাঁটতে হয়েছে পড়ুয়াদের একাংশকেও।

অন্যদিকে, কাংলাপাহাড়ির মসজিদে নিয়মিত প্রার্থনা হলেও, কুরবানি আজও হয় না। সব মিলিয়ে উৎসবের আনন্দ থেকে বঞ্চিত গ্রামের দুই সম্প্রদায়ের মানুষই। প্রতিবছরই দুর্গাপুজোর জন্য প্রশাসনের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু, প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, গোটা বিষয়ে হিন্দু, মুসলিম উভয়পক্ষ সহমত হলে, তবেই গ্রামে পুজো এবং কুরবানি দুইয়েরই অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে।