শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

‌‘আমাদের সাথে এতকিছু করলো বিচার চামু না?’

বাংলাদেশের শিল্প ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা রানা প্লাজা ধসের তিন বছর পূর্তিতে বেঁচে যাওয়া শ্রমিক ও নিহতদের স্বজনেরা বলছেন, এতদিন পার হলেও এই ঘটনার কোন বিচার না হওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ ও হতাশ।

ঢাকার কাছে সাভারের সেই দুর্ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে আজ তারা বিচারের দাবি তুলেছেন। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ভবনটি ধসে এগারোশরও বেশি শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচারকাজ এখনো শুরু হয়নি।

মেয়ে নাসিমা আক্তারের মরদেহ পাননি রাশেদা বেগম। ডিএনএ পরীক্ষার পর শুধু কবরটুকু পেয়েছেন। যেখানে মেয়ের মৃত্যু হয়েছে আজ সেই জায়গাটুকু একটিবারের মতো দেখে গেলেন।

সকাল থেকে তার মতো আরো অনেক স্বজন ও বেঁচে যাওয়া শ্রমিকেরা জড়ো হয়েছেন রানা প্লাজার সেই স্থানে। তাদের দীর্ঘশ্বাসের সাথে রয়েছে বিচারের দাবি।

আট তলায় ফিনিশিং-এর কাজ করতেন খোদেজা বেগম। তিনি বলছেন, “এতগুলো জীবন গেলো। ছয়তলা বিল্ডিংরে নয়তলা বানাইল। আমাদের সাথে এতকিছু করলো আমরা বিচার চামু না?”

ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে ঘটনার

৪৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া স্ত্রী শিউলি খাতুনকে নিয়ে এখনো চিকিৎসা করাচ্ছেন মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানি। তার মতে এই ঘটনার বিচার হওয়া প্রয়োজন একটি দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করার জন্য। তিনি বলেছেন, “বিচার হলে অন্য মালিকদেরও বিষয়টা মাথায় থাকবে যে এরকম কিছু করলে তাদেরও বিচার হবে।”

রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ১১শ শ্রমিকের মৃত্যুর সাথে সাথে অঙ্গহানি হয়েছে আরো বহু শ্রমিকের। টানা ২১ দিন ধরে চলেছিল উদ্ধার কাজ।

এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। রয়েছে ইমারত আইন ভঙ্গ করার মামলাও। তদন্ত শেষে দু’টিতেই অভিযোগ-পত্র দেয়া হয়েছে কিন্তু মামলার বিচার এখনো শুরু হয়নি।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির প্রেসিডেন্ট তাসলিমা আক্তার বলছেন, শ্রমিকদের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রধান পদক্ষেপ হবে এধরনের ঘটনার বিচার নিশ্চিত করা।

তিনি বলেছেন, “বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা ও শাস্তি না পেলে এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার সুযোগ থাকবে। পোশাক শিল্পকে যদি আমরা নিরাপদ রাখতে চাই তাহলে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রথম পদক্ষেপ হবে সব মৃত্যুর বিচার করা।”

দুটি মামলায় রানা প্লাজা ভবনের মালিক সোহেল রানা এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ মোট ৪২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে ৬জন রয়েছেন কারাগারে। বাকিরা জামিনে রয়েছেন অথবা পলাতক। এই ঘটনার পর লম্বা সময় ধরে চলেছে তদন্ত কাজ। বিচারের বিলম্বের জন্য সেটিকেও দায়ী করছেন অনেকে।

দেরি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে বাংলাদেশের শ্রম মন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, “রানা প্লাজা ছিল অনেক বড় দুর্ঘটনা। এটি কি কারণে হয়েছে, কাদের অবহেলা ছিলো সেসব নির্ধারণ করতে সিআইডি হয়তো একটু সময় নিয়েছে। সিআইডি তদন্ত করার জন্য সাধারণ পুলিশের থেকে একটু বেশি সময় নেয়। কিন্তু তারা চার্জশীট দিয়েছে। মামলা এখন ট্রায়ালে আছে। এর বিচার হবে।”

মন্ত্রী বলেন, যতো শীঘ্রই সম্ভব এই ঘটনার বিচার তিনিও দেখতে চান। তবে সরকারের এই প্রতিশ্রুতিতে আশ্বস্ত হতে পারছেন না রানা প্লাজা ধসে নিহত শ্রমিকদের স্বজন ও বেঁচে যাওয়া শ্রমিকেরা। -বিবিসি

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী

কুড়িগ্রামে টানা ৬ দিন বন্যায়  ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।  মানুষজনবিস্তারিত পড়ুন

সিলেটে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

দ্বিতীয় দফার বন্যায় সিলেট অঞ্চলে সাত লক্ষাধিক মানুষ এখনও পানিবন্দি।বিস্তারিত পড়ুন

চালু হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট

প্রায় সাড়ে চার বছর পর আগামী ২৯ জুলাই থেকে চালুবিস্তারিত পড়ুন

  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • সিলেটে ৯ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
  • সকাল থেকে ঢাকায় বৃষ্টি
  • রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই নারীর আত্মহত্যা
  • ছুটি শেষে কর্মচঞ্চল আখাউড়া স্থলবন্দর
  • নোয়াখালীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ
  • নান্দাইলে চাচাতো ভাইয়ের হাতে চাচাতো ভাই খুন
  • সিলেট বিভাগের বন্যা ভয়ঙ্কর রুপ নিচ্ছে
  • সবুজবাগে পরিবেশমন্ত্রীর সেলাই মেশিন বিতরণ
  • ঈদযাত্রায় মহাসড়কে  চলছে ধীরগতিতে গাড়ি
  • হরিজনদের উচ্ছেদ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার প্রতিবাদ
  • দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস