অক্টোবর থেকে ৩ ফেরি ঘাটে ডিজিটাল টিকেট
অক্টোবর থেকে পাটুরিয়া, দৌলতদিয়া ও কাজীরহাট ফেরিঘাটে কাগজের টিকেটের পরিবর্তে র্যাপিড পাস সিস্টেম চালু করছে সরকার। পরীক্ষামূলক এ ডিজিটাল ব্যবস্থা পরবর্তী সময়ে সব ফেরি ঘাটে চালু করা হবে।
র্যাপিড পাস সিস্টেম চালু করতে মঙ্গলবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়। ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) পরিচালক (কারিগরি) সুধাকর দত্ত, জাইকার প্রতিনিধি কোজি মিতো মোরি ও ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম।
এ সময় নৌপরিবহন সচিব শফিক আলম মেহেদী ও ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক কায়কোবাদ হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সচিব বলেন, ‘র্যাপিড পাস সিস্টেম চালু হলে হাতে লেখা টিকেট দেওয়ার প্রয়োজন হবে না এবং যাত্রীদের টিকেটের জন্য কাউন্টারে অপেক্ষা করতে হবে না। এ পাইলট প্রকল্পের মেয়াদ হবে এক বছর। এরপর সকল ফেরিঘাটে এ ব্যবস্থা চালু করা হবে।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিআইডব্লিউটিসি’র ফেরিঘাটে এ ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করতে প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনা ও অপারেটরদের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যয় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) বহন করবে। বিআইডব্লিউটিসি তিনটি ফেরিঘাটে সাতটি টিকেট কাউন্টার নির্মাণ করবে।
পাইলট প্রকল্পটি ডিটিসিএ’র ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব ক্লিয়ারিং হাউস ফর ইন্টিগ্রেটিং ট্রান্সপোর্ট টিকেটিং সিস্টেম ইন ঢাকা সিটি’ এর অংশ হিসেবে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নিয়মিত ফেরি পারাপার হওয়া যানবাহনগুলো একবার র্যাপিড পাস নিয়ে বার বার রিচার্জ করে ব্যবহার করতে পারবে। যেগুলো অনিয়মিত পারাপার হয় সেগুলো নির্ধারিত টাকা দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে র্যাপিড পাস টিকেট সংগ্রহ করতে পারবে।
প্রতি সেকেন্ডে ১০ জন যাত্রী বিভিন্ন কাউন্টারে এ পাস ব্যবহার করতে পারবে। ৩০ সেন্টিমিটার দূর থেকে এটি ব্যবহার করা যাবে। কার্ডটির কোনো নকল তৈরি করা যাবে না।
ডিটিসিএ’র অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কার্ড নিতে প্রাথমিকভাবে আমরা ২০০ টাকা নির্ধারণ করেছি। কার্ড রিচার্জ করা যাবে।’
ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (টিআরটিসি) র্যাপিড পাস চালু করেছে। একটি র্যাপিড পাসের মাধ্যমে ভবিষ্যতে যে কোনো যানবাহনে ভ্রমণ করা যাবে। র্যাপিড কার্ডের স্লোগান হচ্ছে ‘ওয়ান কার্ড ফর অল পাবলিক ট্রান্সপোর্ট’। মেট্রোরেল ও বাস র্যাপিড ট্রান্সজিটের ক্ষেত্রেও আমরা র্যাপিড পাস চালু করব।’
র্যাপিড পাস ব্যবহারকারীরা বিআইডব্লিউটিসি ও বিআরটিসির সকল কাউন্টার থেকে কার্ড রিচার্জ করতে পারবে। ভবিষ্যতে বিভিন্ন এটিএম বুথ থেকেও কার্ড রিচার্জ করা যাবে বলেও জানান কায়কোবাদ হোসাইন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন