‘বালিকা বধূ’ অভিনেত্রী প্রত্যুষা ব্যানার্জি গত ১ এপ্রিল নিজের বাসার সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। তার আকস্মিক মৃত্যুর পেছনে নানান তত্ত্ব বেরিয়ে আসছে। এর মধ্যে প্রেমিক রাহুল রাজ সিংয়ের সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি ও অন্য মেয়ের সঙ্গে প্রাক্তন প্রেমিকের সম্পর্ক গড়ার বিষয়টিকে মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

অনেক বন্ধুবান্ধব ও মা-বাবার দাবি, প্রত্যুষা আত্মহত্যা করেননি। রাহুলই তাকে খুন করেছেন। যদিও ময়নাতদন্তে জানা গেছে, দম বন্ধ হয়েই মৃত্যু হয়েছে তার। এতে আত্মহত্যার ইঙ্গিতই মিলেছে। তবে রাহুল রাজ সিং আপাতত স্বস্তি পাচ্ছেন না, কারণ প্রত্যুষার আত্মহত্যার ঘটনার পেছনে তাকেই দায়ী করা হচ্ছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি আগাম জামিনে থাকায় তা করা যাচ্ছে না।

এদিকে নতুন তথ্য রাহুল রাজের জন্য কিছুটা হলেও আশার সঞ্চার করতে পারে। ভারতের শীর্ষ একটি অনলাইন পোর্টাল চূড়ান্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট ২৩ এপ্রিল বিকেলে ফাঁস করে দিয়েছে। অবশ্য এর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। যদি এ খবর সত্যি হয়, তাহলে নির্দোষ প্রমাণিত হতে রাহুলের জন্য সহায়ক হতে পারে।

মেডিক্যাল রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রত্যুষার রক্তে ১৩৫ মিলিগ্রাম অ্যালকোহল পাওয়া গেছে। একজন মানুষ সচরাচর যে মাত্রার অ্যালকোহল পান করতে পারেন তার চেয়ে এটা অনেক বেশি। এতো বিপুল পরিমাণ অ্যালকোহল পান করলে মানুষ মানসিক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। তখন যে কোনো কিছু করতে পারে মানুষ। সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে প্রত্যুষার আত্মহত্যা করার বিষয়টিও রিপোর্টে নিশ্চিত করা হয়েছে। যদিও নেশাগ্রস্ত হয়ে তার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ জানাতে ব্যর্থ হয়েছে মেডিক্যাল রিপোর্ট।

অন্যদিকে কয়েকদিন আগে জানা যায়, মৃত্যুর আগে সন্তানসম্ভবা ছিলেন প্রত্যুষা। তার গর্ভে রাহুল রা সিংয়ের সন্তানই ছিলো। তারা যৌথভাবে আলোচনা করে গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে দাবি রাহুলের। তিনি বলেছেন, ‘বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত আমরা সন্তান চাইনি। আগামী নভেম্বরে আমাদের বিয়ের পরিকল্পনা ছিলো। যেদিন গর্ভপাত করানো হয় সেদিন ওর সঙ্গেই ছিলাম। কিন্তু অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছিলো বলে আমাকে চলে যেতে বলে ও।’