অতিরিক্ত মাসিক খরচ বাচানোর ২০টি অসাধারন কৌশল
হুট করে চাকরি চলে গিয়েছে, কোন কারণে বেতন পান নি, ব্যবসায়ে মন্দা চলছে, ধার শোধ করতে হবে, কিংবা অন্য কোন খাতে ব্যয় করতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। এসব কত কিছুই তো ঘটে প্রতিনিয়ত আমাদের জীবনে আর এটার ফলাফল হচ্ছে আর্থিক টানাটানি। এছাড়াও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্ব গতি তো আছেই। তাই এমন সময়ে সবচাইতে উচিত কাজ হচ্ছে খরচ কমিয়ে ফেলা। কিন্তু কীভাবে নিজের প্রয়োজনীয় খরচগুলো কমিয়ে ফেলবেন? একটু বুদ্ধি করে চললেই সম্ভব। জেনে নিন ২০ টি কৌশল। একটু কষ্ট করে মেনে চলুন, মাস শেষে অনেক গুলো টাকা বাঁচাতে পারবেন প্রতিমাসেই।
১) ইলেক্ট্রিসিটি বিল থেকে চাইলেই একটা বড় অংক বাঁচাতে পারেন আপনি। অপ্রয়োজনীয় কোন ইলেকট্রনিক গ্যাজেট চালাবেন না। মেশিনে নয়, হাতে কাপড় পরিষ্কার করুন। ভ্যাকুয়াম ক্লিনার বাদ দিয়ে ঝাড়ু দিন। অপ্রয়োজনীয় কোন বাতি জ্বালাবেন না, অকারণে ফ্যান চালিয়ে রাখবেন না, ওভেন বাদ দিয়ে চুলা ব্যবহার করুন। আস্তে আস্তে এনার্জি বাল্ব লাগিয়ে ফেলুন বাড়ি জুড়ে। প্রচুর টাকা বিল বাঁচবে।
২) পয়সা খরচ করে জিমে যান? জিমে যাওয়া বাদ দিয়ে ঘরের কাজ করুন, ওজন এমনিতেই কমবে। প্রয়োজনে ঘরে ব্যায়াম করুন বা পার্কে হাঁটতে যান।
৩) লন্ড্রিতে কাপড় ইস্ত্রি না করিয়ে বাসায় করুন, অনেকটা টাকা বাঁচবে।
৪) সুপার মার্কেটে শপিং করা বাদ দিয়ে বাজারে যান, দরদাম করে কেনাকাটা করুন।
৫) বাচ্চাদের টিফিনে হাতে তৈরি খাবার দিন টাকা দেয়ার বদলে।
৬) অফিসের লাঞ্চে হাতে তৈরি খাবার দেয়াটা ঝামেলা মনে হলেও খরচ বাঁচাতে এই কাজটি করুন।
৭) অতিরিক্ত দামী কেনা খাবারগুলো বাদ দিন। যেমন ধরুন বিদেশী ফল, নাস্তার জন্য কর্ণফ্লেক্স বা নুটেলা। এইসব খাবারের বদলে স্বাস্থ্যকর বিকল্প তৈরি করে নিন বাড়িতেই।
৮) খাবার অপচয়ের অভ্যাস একদমই বাদ দিন। সেটুকুই রাঁধবেন যেটুকু খাবেন। বেশী রেঁধে ফেলে দেয়ার মানে নেই।
৯) কিছুদিনের জন্য রেস্তরাঁয় খাওয়া-দাওয়া এড়িয়ে চলুন।
১০) সিনজি বা ট্যাক্সি চড়ার অভ্যাস বাদ দিয়ে কিছুদিন রিকশা বা বাসে চলাচল করুন। প্রয়োজনে পায়ে হেঁটে জাতায়ত করুন। এতে শরীরও ভালো থাকবে।
১১) বিদেশী পণ্য কেনা বাদ দিয়ে দেশী পণ্য কিনুন, সেটা যাই হোক না কেন।
১২) কোমল পানীয় ও পান খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিন। প্রতিদিন কত টাকা বাঁচবে চিন্তাও করতে পারবেন না।
১৩) ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে সেটাও বাদ দিন।
১৪) কিছুদিনের জন্য এখানে সেখানে ঘুরতে যাওয়া, হলে সিনেমা দেখা ইত্যাদি বিলাসিতা ছেড়ে দিন। কিচ্ছু হয় না এসব না করলে।
১৫) প্রাইভেট হাসপাতালে যাওয়ার বদলে সরকারী হাসপাতালে যান চিকিৎসার জন্য। একটু কষ্ট হলেও যান।
১৬) বাসায় ল্যান্ড লাইন থেকে থাকলে ছেড়ে দিন।
১৭) প্রিয়জনদের সাথে ফোনে কথা বলা বাদ দিয়ে স্কাই পি বা ভাইবারে কথা বলুন।
১৮) রাতের বেলা একটু জলদি ঘুমিয়ে যাওয়া অভ্যাস করুন। অনেকটা পাওয়ার সেভ হবে।
১৯) কোথাও ছাড় পেলে প্রয়োজনীয় দ্রব্য ছাড়ে কিনে ফেলুন।
২০) সাপ্তাহিক বাজার খরচ একটি তালিকার মাঝে সীমাবদ্ধ করে ফেলুন। রোজ রোজ মাছ মাংস রান্না না করে সপ্তাহে দুদিন মাছ, দুদিন মাংস, একদিন সবজি, একদিন ডিম ও আরেকদিন অন্য কিছুর ব্যবস্থা করুন। এতে খরচ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন