‘অনেক তরুণী মুস্তাফিজের নম্বর চায়, চিঠিও পাঠায়’
মাত্র এক বছর আগে অভিষেকের পর থেকেই বিশ্ব ক্রিকেটে ঝড় তুলছেন বাংলাদেশের পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পর এখন নিয়মিতই আলো ছড়াচ্ছেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল)। তাবৎ ভারতীয় মিডিয়াসহ আন্তর্জাতিক মিডিয়ারও গবেষণার অংশ হয়ে গেছেন তিনি। এবার কাটার মাস্টারকে নিয়ে এক বিশাল প্রতিবেদন করেছে ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম এনডিটিভি। যেখানে স্বল্পভাষী মুস্তাফিজকে ‘গুপ্তঘাতক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। খবর চ্যানেল আই অনলাইন’র।
মুস্তাফিজ, তার সেজো ভাই মোখলেছুর রহমান ও বাবা আবুল কাশেম গাজির সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকার নিয়ে ‘আইপিএল: শিশুমুখের বাংলাদেশী গুপ্তঘাতক মুস্তাফিজুর রহমান টুর্নামেন্টে এলেন ঝড় হয়ে’- শিরোনামের প্রতিবেদনটি এএফপি’র বরাতে প্রকাশিত।
এতে বলা হয়, মুখচোরা স্বভাবের মুস্তাফিজুর রহমান। কথা বলেন খুবই কম। মুখ দিয়ে অনুচ্চ স্বরের ছোট ছোট বাক্য বের করেন। স্বল্পভাষী হলেও তিনি চিন্তা করেন অনেক বেশি। সত্যিই মুস্তাফিজুর মুখের সারল্যমাখা নির্মল হাসি দেখে বোঝা যায় না, বল হাতে তিনি কতটা ভয়ঙ্কর। ব্যাটসম্যানদের জন্য এক ‘গুপ্তঘাতক’-ই বটে।
প্রতিবেদনের শুরুতেই মুস্তাফিজের অভিষেক, ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং, এশিয়া কাপে বাংলাদেশকে ফাইনালে তোলা ও টি২০ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২২ রানে ৫ উইকেট নেওয়ার বিবরণ দিয়েছে। অভিষেকের এক বছরের মধ্যে কিভাবে বিশ্বের ‘মোস্ট ওয়ানটেড’ ক্রিকেটারে পরিণত হয়ে উঠেছেন সেটাও বলেছে তারা। আইপিএলের পর ইংলিশ কাউন্টি দল সাসেক্সের হয়ে যে খেলতে যাবে তাও উল্লেখ করতে ভুলে সংবাদ সংস্থাটি।
মুস্তাফিজ টি২০ গত এক বছরে সবচেয়ে কিপটে বোলার সেটার একটা পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে। এছাড়া সাতক্ষীরার তেতুলিয়া থেকে কিভাবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উঠে এসেছেন সেটা লিখেছে। আর মুস্তাফিজের সাক্ষাৎকারের সামান্য অংশ তুলে ধরেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মুস্তাফিজ বলেন, ‘আমি সব সময় আমার দেশের মাথা উঁচু দেখতে চাই। শুধু ক্রিকেটে নয় বরং সব ধরণের খেলায় মাথা মাথা উঁচু দেখতে চাই’।
সাতক্ষীরায় নিজের গ্রামে ফিরলে কেমন লাগে- এমন প্রশ্নের জবাবে কাটার মাস্টার বলেন, ‘খুবই ভাল লাগে। বাড়ি গেলে মানুষ এসে আমাকে বলে, তোমার খেলা টিভিতে নিয়মিত দেখি। আজ তোমার খেলা দেখতে যাবো। সবার ভালবাসায় আমি মুগ্ধ।’
মুস্তাফিজের বাবা আবুল কাশেম গাজি সাক্ষাতকারে বলেনে, প্রতিদিন অনেক অপরিচিত মানুষ তাদের বাড়িতে যান। সবাই তাদের শুভকামনা করেন। কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে অন্যখানে। অনেক তরুণী তার কাছে মুস্তাফিজের ফোন নম্বর চান। কিন্তু তিনি সেটা দেন না। প্রতিদিন তাদের ঠিকানায় অনেক চিঠি যায়।
গাজি বলেন, ‘প্রতিদিন আমাদের ঠিকানায় অনেক চিঠি আসে। আমি পোস্ট অফিসে গিয়ে বলে এসেছি, তারা যেন আমাদের ঠিকানার কোনো চিঠি বাড়িতে না পাঠায়। মুস্তাফিজ এখন অনেক ছোট। খেলায় মনযোগ দেয়ার সময় এখন।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন