শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

অন্তর্বাস খুলে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা হল ছাত্রীকে

ভারতে সদ্যসমাপ্ত জাতীয় মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষার দিন এক ছাত্রীকে অন্তর্বাস খুলে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। রবিবার হওয়া ওই পরীক্ষায় প্রায় ১১ লক্ষ ছাত্রছাত্রী বসেছিল। কানের দুল বা অন্য কোনও গয়না, পোশাকে বড় মাপের ধাতব বোতাম, পেন-পেন্সিল, জুতো, গাঢ় রঙের পোশাক, ফুল হাতা জামা এসব ওই পরীক্ষার হলে নিষিদ্ধ। বিগত বছরগুলোতে মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষায় ব্যাপক হারে টোকাটুকির ঘটনার পর থেকে গত দুবছর এই নিষেধাজ্ঞা চালু হয়েছে। খবর বিবিসির।

আর ওই নিয়ম কার্যকর করতে গিয়ে এবছর সারা দেশ থেকেই অনেক অভিযোগ এসেছে। কাউকে ফুলহাতা জামা কেটে হাফ হাতা করে নিতে হয়েছে, কাউকে জুতো খুলে অভিভাবকের চপ্পল পায়ে দিয়ে যেতে হয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যে ওই ছাত্রীটি যে অভিযোগ করেছেন, সেটা মারাত্মক। কান্নুর জেলার একটি কলেজে রবিবার পরীক্ষার সিট পড়েছিল ওই ছাত্রীর। পরে কয়েকজন সাংবাদিককে খবর দিয়ে পরীক্ষার হলের বাইরে দাঁড়িয়ে তিনি জানান যে যখন হলে ঢুকতে যাচ্ছিলেন, তখন মেটাল ডিটেক্টরে ধরা পড়ে যে তার শরীরে কোনও ধাতব জিনিষ রয়েছে।

তিনি পরীক্ষা কেন্দ্রের তদারককারী কর্মীকে জানান যে ওটা তার অন্তর্বাসের সঙ্গে থাকা ধাতব ক্লিপ। তখনই তাকে অন্তর্বাস খুলে ফেলে ভেতরে যেতে বলা হয় বলে ওই ছাত্রীর অভিযোগ। সামনে কোনও টয়লেট না থাকায় এক নারী কর্মীর সামনেই তিনি তাড়াতাড়ি অন্তর্বাস খুলে নেন। স্থানীয় সাংবাদিকদের ওই ছাত্রীর মা বলেছেন, মেয়ে হলের ভেতরে যাওয়ার একটু পরেই দেখি বেরিয়ে এসেছে। তার অন্তর্বাস আমার হাতে দিয়ে আবারও সে হলে গেছে পরীক্ষা দিতে।

ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে উপস্থিত আরেক অভিভাবকও অভিযোগ করেছেন যে তার মেয়ের জিনসের প্যান্টে বড় ধাতব বোতাম থাকায় একটা নতুন প্যান্ট কিনতে ছুটতে হয়েছিল তাকে। অনেক পরীক্ষার্থী, যারা ফুলহাতা জামা পরে গিয়েছিলেন, তাদের দেখা গেছে তড়িঘড়ি কাঁচি দিয়ে জামার হাতা কেটে ফেলতে।

পরীক্ষার নিয়ামক, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারী এডুকেশন বা সিবিএসসি বলছে পরীক্ষার হলে কী কী নিয়ে যাওয়া যাবে, তার স্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল। শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় পরিচয় পত্র ছাড়া আর কিছুই যাতে না রাখতে হয়, সেজন্য পেন-পেন্সিলও কর্তৃপক্ষই সরবরাহ করে।

কিন্তু কেরালার রাজনৈতিক নেতারা বলছেন সেই নিয়ম কার্যকর করতে গিয়ে একটি মেয়েকে অন্তর্বাস খুলে ফেলতে বলা হবে কেন? রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলছেন, এটা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল। সরব হয়েছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনও। তারা সিবিএসসি-র কাছে কৈফিয়ত তলব করেছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছে, ওই ছাত্রীটির ক্ষেত্রে কোনওরকম জোর করা হয় নি। মেটাল ডিকেক্টরের বীপ শব্দ শুনে সে নিজেই অন্তর্বাস খুলে ফেলে।

১০৩টি শহরের ১৯০০ কেন্দ্রে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে এবছর। বহু জায়গা থেকেই অভিযোগ উঠেছে পোশাক-আশাক নিয়ে কড়াকড়ির।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

সাময়িক বরখাস্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনেবিস্তারিত পড়ুন

কমলা হ্যারিসের ভোটের প্রচারণায় বাজবে এ আর রহমানের গান

আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসেরবিস্তারিত পড়ুন

উপদেষ্টা আদিলুর: পূজায় বিশৃঙ্খলাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না

দুর্গাপূজায় বিশৃঙ্খলাকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেবিস্তারিত পড়ুন

  • কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী
  • এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন এমডি আনোয়ার হোসেন চৌধুরী
  • কক্সবাজারে পাহাড় ধসে প্রাণ গেল মসজিদের মোয়াজ্জেম ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর
  • গুরুতর অসুস্থ কে এম সফিউল্লাহ
  • সৌদি আরবে হজ পালনের সময় অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু
  • ঈদযাত্রায় মহাসড়কে  চলছে ধীরগতিতে গাড়ি
  • রাজধানীর পান্হপথে ৮০ কোটি টাকার খাসজমি উদ্ধার
  • বুয়েট পাচ্ছে ১০০ কোটি টাকার ন্যানো ল্যাব  
  • বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এক বাসার রান্নাঘরে বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৪
  • বাজেট হয় কাগজে কলমে, প্রতিফলন নেই সমাজে
  • রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
  • ভেঙে যাচ্ছে সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকা