অন্তসত্ত্বা গৃহবধুর পেটে ছুরিকাঘাত শেষে গলাকেটে হত্যা!
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ছয় মাসের অন্তসত্ত্বা গৃহবধু খালেদা আক্তারকে (৩২) গলা কেটে ও পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। সোমবার সকালে উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের বাড়ির শোয়ার ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে ওই গ্রামের আজাহারুল ইসলামের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, খালেদা আক্তারের স্বামী আজাহারুল ইসলাম রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী পশ্চিমপাড়া কচুয়া জামে মসজিদের ঈমাম। ঘটনার রাতে তিনি তার কর্মস্থলে ছিলেন। গৃহবধুর দুই মেয়ে এক ছেলে রয়েছে। বড় মেয়ে রুবাইয়া আক্তার (১২) নীলফামারী শহরের ঢাকাইয়া পাড়ায় খালার বাড়িতে এবং দ্বিতীয় মেয়ে মাহফুজা আক্তার (১০) কিশোরগঞ্জ উপজেলা সদরের ছিটরাজিব গ্রামে নানা জাহিদুল ইসলামের বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করছে। সাড়ে পাঁচ বছরের ছেলে খালেদ সাইফুল্লাহ তার মায়ের সঙ্গে থাকতো।
এলাকাবাসী জানায়, সোমবার ভোরে ওই নিহত গৃহবধুর ছেলে খালেদ সাইফুল্লাহর কান্নাকাটি শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। ঘরের দরজা খোলা পেয়ে তারা ভেতরে প্রবেশ করে খালেদা আক্তারের গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় জবাই করা লাশ বিছানার উপর দেখতে পায়। এরপর কিশোরগঞ্জ থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এলাকাবাসীর ধারণা গত রবিবার রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা খালেদাকে পেটে ছুরিকাঘাত ও জবাই করে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।
পুলিশ জানায়, শিশু খালেদ সাইফুল্লাহ এ ঘটনার বিষয়ে কিছুই বলতে পারেনি। শুধু জানায়, রাতে ভাত খাওয়ার পর সে তার মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ে। ভোরে ঘুম থেকে উঠে বিছানায় রক্ত দেখতে পেয়ে মাকে ডাকাডাকি করে। কোনো সাড়া না পেয়ে সে চিৎকার করে কাঁদতে থাকে।
স্ত্রী হত্যার খবর পেরে কর্মস্থল থেকে বাড়িতে আসেন নিহত খালেদা আক্তারের স্বামী আজাহারুল ইসলাম। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, দুই মেয়ের লেখাপড়ার কারণে অন্যত্র থাকে। এক ছেলেকে নিয়ে তার স্ত্রী বাড়িতে থাকেন। মাঝেমধ্যে বাড়িতে এসে তিনি স্ত্রী সন্তানের খবর নেন। বর্তমানে তার স্ত্রী ৬ মাসের অন্তসত্ত্বা।
তিনি বলেন, ‘গত শুক্রবার (২৯ জুলাই) বিকেলে বাড়ি এসে রাত থাকি। শনিবার সকালে কর্মস্থলে ফিরে যাই। স্ত্রীর সঙ্গে মুঠোফোনে প্রতিদিন কথা হয়। ঘটনার রাতেও কথা হয়েছে।’
কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বজলুর রশিদ বলেন, ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। গৃহবধুকে পেটে ছুরিকাঘাত ও জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তদন্ত চলছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নাতনিকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দাদা আটক নীলফামারীতে
নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ৬০ বছর বয়সীবিস্তারিত পড়ুন
নীলফামারীর জলঢাকায় ট্রাক চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মর্মান্তিক মৃত্যু !
এম ইসলাম সুজন,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ- নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ডোমার সড়কের দুন্দিবাড়িবিস্তারিত পড়ুন
নীলফামারীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ইটবোঝাই ট্রলির সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে নিহতবিস্তারিত পড়ুন