অন্য দেশের সীমান্তে প্রবেশ করে জঙ্গি নিধনে বাংলাদেশের সমর্থন নেই
অন্য দেশের সীমান্তে প্রবেশ করে জঙ্গি নিধনের মূলনীতি বাংলাদেশ সমর্থন করে কিনা, দ্য হিন্দুর সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ সীমান্ত-রেখা লঙ্ঘনের বিরোধী। মিয়ানমারের সীমান্তে প্রবেশ করে ভারতের গত বছরের জঙ্গিবিরোধী অভিযান বাংলাদেশ সমর্থন করে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা ওই সাংবাদিককে তার নিজ দেশের সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই প্রশ্ন করতে বলেন।
তিনি বলেন, ‘এই প্রশ্নগুলো তোমার দেশের সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে করা উচিৎ।’
২৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) রাতে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতের সেনারা সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলোতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর দাবি করে। ওই অভিযানে ৯ পাকিস্তানি সেনা ও ৩৫ থেকে ৪০ জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়। ঘটনার পর থেকে দুই সেনা সদস্য নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে পাকিস্তান দাবি করে আসছে এটি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ছিল না, সীমান্ত সংঘর্ষ বা আন্তঃসীমান্ত গোলাগুলির ঘটনা ছিল। সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাকিস্তানে পরিচালিত কথিত এই অভিযান বাংলাদেশ সমর্থন করে কিনা, দ্য হিন্দুর এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি মনে করি, দুই দেশের উভয়েরই নিয়ন্ত্রণরেখার সীমার ভেতরে থাকা উচিত। আর এতেই কেবল শান্তি আসতে পারে।’
সে সময় শেখ হাসিনাকে পাকিস্তানের প্রসঙ্গ উহ্য রেখে আবারও প্রশ্ন করা হয়, অন্য দেশের সীমান্তে প্রবেশ করে জঙ্গি নিধনের মূলনীতি বাংলাদেশ সমর্থন করে কিনা। জানতে চাওয়া হয়, মিয়ানমারের সীমান্তে প্রবেশ করে ভারতের গত বছরের জঙ্গিবিরোধী অভিযান বাংলাদেশ সমর্থন করে কিনা। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে মনে করি, এই প্রশ্নটি তোমার দেশের সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে করা উচিত। আমরা মনে করি, সীমান্ত ও এর নিয়ন্ত্রণরেখা পুরোপুরি মেনে চলা উচিৎ।’
পাঠানকোটের সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলা এবং পরবর্তীতে হিজবুল নেতা বুরহান ওয়ানিকে কথিত এনকাউন্টারে হত্যার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বারামুল্লাহ জেলারই উরি সেনাঘাঁটিতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর জঙ্গি হামলায় ১৯ ভারতীয় সেনা নিহত হন। হামলার পর পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জয়েশ ই মোহাম্মদের সংশ্লিষ্টতার প্রসঙ্গ তুলে ইসলামাবাদকে দায়ী করতে শুরু করে ভারত।
৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) রাতে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতের সেনারা সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলোতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর দাবি করে। ওই অভিযানে ৯ পাকিস্তানি সেনা ও ৩৫ থেকে ৪০ জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়। ঘটনার পর থেকে দুই সেনা সদস্য নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে পাকিস্তান দাবি করে আসছে এটি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ছিল না, সীমান্ত সংঘর্ষ বা আন্তঃসীমান্ত গোলাগুলির ঘটনা ছিল। ঘটনাকে ভারতের দিক থেকে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ প্রমাণ করে তাদের সামরিক শক্তি জানান দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দাবিটি একটি ভ্রম। মিথ্যে প্রভাব তৈরির জন্য ভারতীয়রা ইচ্ছে করে এমনটা করছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
আড়াই বছর পর কারাগার থেকে বের হলেন পি কে হালদার
বাংলাদেশে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার ভারতেরবিস্তারিত পড়ুন
আয়কর রিটার্ন জমার সময় আবারও এক মাস বাড়লো
ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের ২০২৪-২৫ করবর্ষেরর আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় আরওবিস্তারিত পড়ুন
বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হলো বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক মইনুলকে
বিদেশে যাওয়ার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস-বিডিআরেরবিস্তারিত পড়ুন