অপরাধে জড়িত পুলিশের শাস্তি নিশ্চিত করার সুপারিশ
পুলিশের ব্যক্তিগত অপরাধের দায় নেবে না সংসদীয় কমিটি। যেসব পুলিশ সদস্য অপরাধে জাড়িয়ে পড়ছে, তাদের আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
পাশাপাশি পুলিশের দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব বাড়াতে কাউন্সিলিং করারও সুপারিশ করা হয়েছে। এ সময় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশের ইতিবাচক ভূমিকারও প্রশংসা করে সংসদীয় কমিটি।
বুধবার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র রাইজিংবিডকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে কোনো পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত অপরাধের দায় বাহিনী নেবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
গত ১৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ডিএমপি কমিশনার কার্যালয়ে মাসিক অপরাধ সভায় ঢাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কারও ব্যক্তিগত অপরাধের দায় পুলিশ বাহিনী নেবে না। অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। অপরাধ দমনে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে।
প্রসঙ্গত, মোহাম্মাদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ শিকদার জেনেভা ক্যাম্পের কাছে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা গোলাম রাব্বীকে আটকে মাদকসেবী বানানোর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলে দেশব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে।
সংসদীয় কমিটির সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, পুলিশ বাহিনী অনেক ভালো কাজ করছে। তবে দুই-চার জন সদস্য অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের শাস্তি নিশ্চিত ও দৃশ্যমান করার সুপারিশ করা হয়েছে। পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি (ইমেজ) নষ্ট করার একটা প্রচেষ্টা চলছে। এজন্য পুলিশ বাহিনীকে আরো বেশি সতর্ক হওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
কমিটির অপর সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, তল্লাশির ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের যাতে হয়রানি করা না হয়, এ জন্য আরো সুষ্ঠুভাবে তল্লাশি করার জন্য পুলিশ বাহিনীকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সাম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এক কর্মকর্তা এবং অতি সম্প্রতি এক ছাত্রী হয়রানির বিষয়টি সামনে এনে কমিটিতে আলোচনা হয়। এ ধরনের ঘটনা পুলিশ বাহিনীর ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এই দুই-একজনের দায় পুরো পুলিশ বাহিনী নিতে পারে না বলে কমিটিকে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। যেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অভিযুক্ত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে কমিটিকে জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
এছাড়াও ঢাকা- চট্টগ্রাম হাইওয়ে রোডের নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি পরিবহন মালিক কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার এবং গাড়ির চালক নিয়োগে পুলিশের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণের সুপারিশ করা হয়।
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বিল, ২০১৬ এর ওপর আলোচনা, বিলটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় সংশোধন ও সংযোজনসহ সংসদে উপস্থাপনের জন্য প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়।
কমিটির সভাপতি টিপু মুন্সির সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটি সদস্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, মো. শামসুল হক টুকু, মো. ফরিদুল হক খান, আবুল কালাম আজাদ, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ফখরুল ইমাম ও কামরুন নাহার চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বৈঠকে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে স্বাগতিক ওয়েস্টবিস্তারিত পড়ুন
রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
যমুনা ফিউচার পার্কে মোবাইলের দোকানে চুরির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভবিস্তারিত পড়ুন
যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদেরবিস্তারিত পড়ুন