ঘটনার সূত্রপাত জিতু নামের এক ব্যক্তির দেয়া ফেসবুক পোস্ট থেকে। সেই পোস্টে বলা হয়, আজ রাতে অপু বিশ্বাস বিয়ে করতে যাচ্ছেন! রাজধানী ঢাকার উত্তরার একটি কমিউনিটি সেন্টারে পারিবারিক আয়োজনে ঘরোয়া পরিবেশে বিয়ে হচ্ছে।

পাত্র যশোরের ছেলে তন্ময় বিশ্বাস। তিনি পেশায় আইটি বিশেষজ্ঞ। স্বনামধন্য একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আইটি ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নিখোঁজ অপুর বিয়ের খবর পেয়ে গণমাধ্যমে যেন খরার মাঝে এক পশলা স্বস্তির বৃষ্টি খুঁজে পায়। এরপর যে আইডি থেকে অপুর বিয়ের পোস্ট দেয়া হয় সেই আইডির মালিক জিতুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি শতভাগ গ্যারান্টি দিয়ে জানিয়েছিলেন রাতেই তন্ময়ের সঙ্গে অপুর বিয়ে! আর গ্যারান্টি দিয়ে খবরটি ছড়ায় তন্ময়ের বন্ধু জিতু। নিশ্চিত হতে দিনভর নানা সূত্রে যোগাযোগ করেও কোনো নিশ্চয়তা মেলেনি। এমনকি অপু বিশ্বাসের নানাবাড়ি যোগাযোগ করেও এ বিষয়ে সত্যতা পাওয়া যায়নি। তারা বিষয়টিকে মিথ্যা বলেও নিশ্চয়তা দিতে পারেননি। অবশেষে সন্ধ্যায় তন্ময় বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায় খবরটি সত্য নয়।

তন্ময় বলেন, ‘আমি অপু বিশ্বাসের একজন ভক্ত। তার সঙ্গে বিয়ের কোনো ঘটনা ঘটছে না। অনেকদিন ধরে তিনি নিরুদ্দেশ তাই দুই বন্ধু মিলে মজা করেছিলাম। পরে ব্যাপারটা ভাইরাল হবে বুঝতে পারিনি। আমি নিজেই এজন্য আপনাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। সত্যিই আন্তরিকভাবে দুঃখিত।`

কিন্তু জিতু একজন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি হয়ে এমন খবর কেন ছড়ালেন? এ প্রশ্নের জবাবে তন্ময় বলেন, `সে আমার বন্ধু, মজা করে ফেসবুকে বিষয়টি দিয়েছিল। পরে অবশ্য পোস্টটি সরিয়েও নেয়। আর ওর মাথায় কিছু সমস্যা আছে। সেজন্য সাংবাদিকদের সঙ্গেও মিথ্যা কথা বলেছে। পরে বিষয়টি সিরিয়াসলি গণমাধ্যমে আসলে সে মোবাইল বন্ধ করে দেয়। আমি পুরো ব্যাপারটি নিয়ে লজ্জিত। প্লিজ কিছু মনে করবেন না।`

এদিকে আজ বুধবার বিকেলে অপু নিরুদ্দেশ থাকায় তার মামা স্বপন কুমার সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি অপুর বিয়ের খবর উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, তার ভাগ্নির বিয়ের খবর ভিত্তিহীন। এমন কিছুই তারা শোনেননি।

এই মুহূর্তে অপু বিশ্বাস কোথায় আছেন জানতে চাইলে স্বপন সাহা জানান, সে এখনো ভারতের শিলিগুড়িতে। সেখানে মায়ের সঙ্গে নিজের মতো করে থাকতে চায় অপু। আর তাই পরিবারের সদস্য ছাড়া কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইছে না।