অফিস শুরুর প্রথম ১০ মিনিটের ভুলগুলো জেনে নিন, এড়িয়ে চলুন
১. বিলম্বে উপস্থিত হওয়া
অফিস শুরুর আগেই আপনার ক্ষতি হয়ে যেতে পারে যদি দেরিতে আসেন। এক গবেষণায় বলা হয়, বসরা খেয়াল করেন কর্মীরা কখন অফিসে আসছেন। দেরিতে এসে দেরিতে গেলেও তাঁদের পারফরম্যান্স ভালো নয় বলেই রেটিং করেন বস। কাজেই প্রতিষ্ঠানের কাছে স্বচ্ছ থাকতে সময়মতো অফিসে আসতে হবে।
২. সহকর্মীদের অভিবাদন না জানানো
প্রতিদিনই অফিসে আসেন। আবার প্রতিদিনই সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা হয়। আর প্রতিদিনই তাঁদের অভিবাদন জানানো উচিত। কর্মক্ষেত্র বিশেষজ্ঞ লিন টেইলের মতে, অফিসে প্রবেশ করে সহকর্মী এবং বসদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে যেকোনো বাজে পরিস্থিতি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। আবার এতে মন ভালো অবস্থায় কাজও শুরু করা যায়।
৩. কফি পান
এই পানীয়টি তাৎক্ষণিকভাবে আপনাকে উদ্দীপ্ত করতে পারে। কিন্তু ঘণ্টা দুয়েক পর অবসাদ ভর করবে আপনার মাঝে। তাই অফিসে এসেই কফি পানের মাধ্যমে কাজ শুরু করা উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সকাল সাড়ে ৯টার পর কফি পান করা উচিত। নয়তো দেহে কর্টিসল নামের হরমোনের ক্ষরণ ঘটে, যা কি না মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। তাই কফি পানের মাধ্যমে অফিস শুরু মানেই পরবর্তী সময়গুলো অলস কাটবে।
৪. সব ই-মেইলের জবাব দেওয়া
ইনবক্স উপচে পড়তে পারে ই-মেইলে। টেবিলে বসেই যদি একের পর এক ই-মেইলের জবাব দিতে থাকেন, তবে মানসিক চাপে পড়ে যাবেন। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস স্পিকার মিকায়েল কের বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ই-মেইলের জবাব দিন। খুব দ্রুত বেশ কিছু ই-মেইল দেখে নেওয়া যায়। কিন্তু সব ই-মেইলের যে জবাব দিতে হবে এমন কোনো কথা নেই।
৫. কর্মতালিকা ছাড়াই কাজ শুরু
অফিসে এসে কী কী কাজ করবেন তা কর্মতালিকায় থাকতে হবে। নয়তো এলোমেলো কাজের মধ্য দিয়ে কর্মদিবসের শুরু হবে। এটা আপনার জন্য মোটেও ভালো হবে না। ভালো হয় যদি আগের দিন যাবতীয় কাজের তালিকা করে রাখেন। গোছালোভাবে কাজ শুরু করতে না পারলে কোনো কাজই হবে না।
৬. প্রথমেই সহজ কাজটি করা
গবেষণায় বলা হয়, শুরুতে কর্মীদের ইচ্ছাশক্তি প্রবল থাকে। মাথাও থাকে ঠাণ্ডা। এ সময় জটিল কাজগুলো অনেক সহজ হয়ে আসে। তাই অফিসে এসে প্রথমেই সহজ কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লে জটিল কাজ নিয়ে ব্যাপক পেরেশানিতে পড়ে যাবেন। প্রথমেই ঝামেলা শেষ করলে পরের কাজগুলো সহজ হয়ে আসবে।
৭. মাল্টিটাস্কিং
একযোগে একাধিক কাজ করতে সক্ষম নয় মানুষের মস্তিষ্ক। প্রথমেই কয়েকটি কাজ একসঙ্গে শুরু করলে মাসুল গুনতে হবে। অফিসের শুরুতে তাই জরুরি কাজটিতেই মন দিন। তা ছাড়া একাধিক কাজ একই সঙ্গে করতে গেলে কোনো কাজই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে না। দিনের বাকি সময়টুকু এভাবেই যাবে। উৎপাদনশীলতা নেমে আসবে শূন্যের কোঠায়।
৮. নেতিবাচক চিন্তায় ডুবে থাকা
যেকোনো ঝামেলা নিয়ে অফিসে আসতেই পারেন। কিন্তু কাজ শুরুর আগে পর্যন্ত এগুলো নিয়ে নেতিবাচক চিন্তায় ডুবে থাকলে দিনটা ভালো যাবে না। ব্যক্তিগত জীবনের ঝামেলা পেশা জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে পারলেই ভালো। তা ছাড়া অফিসের সমস্যা মাথায় থাকলে তা সমাধানের চেষ্টা অফিসে বসেই করুন। অন্যান্য নেতিবাচক চিন্তা নিয়ে অফিসের কাজে ঝাঁপ দেবেন না।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন