অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনিদের থেকে ঘুষ নিচ্ছে মিশর!
ইসরাইল ও মিশরের যৌথ অবরোধে বিশ্বের বৃহত্তম কারাগারে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা। দুর্বিষহ এই জীবন থেকে বাঁচতে মরিয়া সেখানকার লোকজন।
তবে গাজাবাসীর এই অসহায়ত্বের পুরো সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছে মিশরের একনায়ক আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি সরকারের কর্মকর্তারা।
কিছু দিনের জন্য গাজা ও মিশর সীমান্তের রাফাহ ক্রসিং খুলে দিয়েছে মিশর সরকার। এ সুযোগে অবরুদ্ধ গাজা থেকে বেরিয়ে আসতে মরিয়া সেখানার লোকজন। কিন্তু মিশরে ঢুকতে তাদের গুণতে হচ্ছে বিপুল অংকের ঘুষ।
বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে ঘুষের পরিমাণ ৩০০০ ডলার বা প্রায় ২ লাখ ৩৬,০০০ টাকা। ব্যক্তি বিশেষ সর্বোচ্চ ১০,০০০ ডলার বা প্রায় ৭ লাখ ৮৬,০০০ টাকা ঘুষ দিতে হয়।
সীমান্ত পারাপারে সমন্বয়কারীদের কয়েকজন নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, তারা ঘুষের ২০ ভাগ নেন। বাকি ৮০ ভাগ মিশরীয় সেনা ও কর্মকর্তাদের দেয়া হয়।
অনেক সময় ‘নিরাপত্তা হুমকি’র কথা বলে ফিলিস্তিনিদের নাম কালো তালিকাভুক্ত করেন মিশরীয় কর্মকর্তারা। কিন্তু ১০,০০০ ডলার ঘুষ দিলে তালিকা থেকে নাম বাদ দেয়া হয়।
কখনো কখনো ঘুষ হিসেবে অর্থের পরিবর্তে পণ্য চান কর্মকর্তারা। তারা আইফোন এবং এমনকি স্বর্ণও দাবি করে থাকেন বলে সমন্বয়কারীদের একজন জানান।
সীমান্ত পারাপারে সহযোগিতার জন্য ‘সীমান্তের রাজা’ নামে গাজাবাসীর কাছে পরিচিত এক সমন্বয়কারী বলেন, ‘আমার মোবাইলফোনের কোনো বিশ্রাম নেই।’
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সাল থেকে ইসরাইলের তিনটি বড় ধরনের সামরিক অভিযানে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় গাজা। এছাড়া ইসরাইল এবং মিশরের যৌথ অবরোধে এটি বিশ্বের বৃহত্তম কারাগারে পরিণত হয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন