ইসলামিক প্রচারক জাকির নায়েকের এনজিও ‘ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন’-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এবার আরও কড়া পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র। এবার জাকির নায়েকের সব ওয়েবসাইটও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, তার সব সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং অ্যাকাউন্টও বন্ধ করা চেষ্টা করা হচ্ছে। এই ব্যাপারে এনআইএ আমেরিকা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

দেশের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল থেকে রেড কর্নার নোটিশ নেওয়ারও চেষ্টা করেছে। যদি জাকির নায়েক আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য ভারতে না আসে তাহলে এনআইএ তার বিরুদ্ধে জামিনঅযোগ্য নোটিশ জারি করবে। ফলে ইন্টারপোলের মাধ্যমে জাকির নায়েককে ভারতে ফিরিয়ে আনতে সৌদি সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে পারবে এনআইএ।

এর আগে একাধিক ধারায় ইসলামিক নেতা জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে NIA. ১৫৩ এ ধারায় ও UAPA আইনে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্য ধর্মের সঙ্গে শত্রুতা ছড়াতে প্ররোচনামূলক প্রচার করা হচ্ছিল বলেই এই মামলা। ‘ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত ১০টি জায়গায় তল্লাশিও চালায় গোয়েন্দারা। এফআইআরে রয়েছে এই সংস্থার নামও। পিস টিভিতে প্রচারিত জাকির নায়েকের ভাষণ খতিয়ে দেখেই এই মামলা করেছে এনআইএ। এই পিস টিভিতেও টাকা ঢালত জাকিরের সংস্থা। বাংলাদেশে গুলশনে জঙ্গি হামলার পরই শিরোনামে উঠে আসে জাকির নায়েকের নামল তার বক্তব্য শুনেই জঙ্গিরা অনুপ্রাণিত হয়েছিল বলে জানতে পারে বাংলাদেশের গোয়েন্দারা। গুলশন হামলায় হত্যা করা হয় ২০ জন নাগরিককে। এরপর বাংলাদেশের গোয়েন্দারা এনআইএ-র আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে। যদিও এনআইএ-র করা এফআইআরে গুলশন হামলার কোনও উল্লেখ নেই।