বুধবার, জুলাই ২, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

অবশেষে পাওয়া গেল সেই শিশুটির পরিচয়

দুই সন্তান ও স্ত্রীকে সাথে নিয়ে আশ্রয়ের সন্ধানে নৌকায় চড়েছিলেন যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল কুরদি। বুধবার তুরস্ক উপকূলে এসে ডুবে যায় তাঁদের নৌকাটি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধারের পর বুধবার আবদুল্লাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার জ্ঞান ফিরে হাসপাতালের টিভিতে তিনি প্রথম ছোট ছেলে আইলানের মৃত্যুর খবর দেখেন। এরপর জানতে পারেন তাঁর স্ত্রী ও বড় ছেলেও বেঁচে নেই। মৃত্যু হয়েছে পরিবারের মোট ১২ জন সদস্যের। সব হারিয়ে আবদুল্লাহর এখন একটাই আকুতি- ‘আমাকেও সন্তানদের সাথে কবর দাও।’

রয়টার্স জানিয়েছে, বাবা আবদুল্লাহই প্রথম সংবাদমাধ্যমকে ‘তুরস্কের সৈকতে পাওয়া অজানা শিশুর লাশের’ পরিচয় জানান। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, এটা তাঁর তিন বছরের ছেলে আয়লান আল কুরদি। যে জামা, যে জুতা পরে সে নিথর হয়ে বালিতে শুয়ে ছিল- মঙ্গলবার তিনি নিজ হাতে তাকে ওই পোশাক পরিয়েছিলেন। আরো জানান ওই নৌকায় তার স্ত্রী রাইহান ও পাঁচ বছর বয়সী ছেলে গালিপও ছিল। এরপর দিনের বিভিন্ন সময়ে মা-ছেলেসহ আরো এগারোজনের লাশ উদ্ধার করে তুরস্কের পুলিশ।

রয়টার্স জানায়, একের পর এক লাশের সন্ধান আসছিল আর উন্মাদের মতো আচরণ করছিলেন আবদুল্লাহ। এক সময় তিনি সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। বিকেলের দিকে জ্ঞান ফিরে পেয়ে তিনি বারবার বলতে থাকেন, ‘আমাকেও সন্তানদের সাথে কবর দাও।’ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আবদুল্লাহ তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে সিরিয়ায় নিজের যুদ্ধবিধ্বস্ত শহর কোবানিতে ফিরতে চান। কাদের জন্য আর ‘নিরাপদে’ থাকার জন্য ঝুঁকি নেবেন তিনি!

উবু হয়ে তুরষ্কের সৈকতে পড়ে থাকা উজ্জ্বল লাল টি-শার্টের সাথে নীল হাফপ্যান্ট পরা আইলানের প্রাণহীন দেহ ইউরোপসহ সমগ্র বিশ্বে গভীর আবেগের জন্ম দিয়েছে। সারা বিশ্বের সামাজিক মাধ্যমে অসংখ্যবার ছবিটি দেখেছে মানুষ। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশের সংবাদমাধ্যম সৈকতে উবু হয়ে পড়ে থাকা মৃত শিশুটির ছবি প্রথম পৃষ্ঠার একটি বড় অংশজুড়ে ছাপিয়েছে।

সবারই অভিমত, এ একটি ছবিই বলে দিচ্ছে ইউরোপজুড়ে অভিবাসন সংকট কতটা চরমে পৌঁছেছে। বিশ্বজুড়ে মানুষের বেদনার কারণ হয়েছে প্রাণহীন এই শিশু। নিজের প্রাণ দিয়ে হলেও শিশুটি বিশ্ববাসীকে অভিবাসীদের সত্যিকার অবস্থা এবং তাদের ভবিষ্যৎ বিষয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে। নিউইয়র্কের টাইমসের সম্পাদকীয়ের শিরোনামটি হলো- ‘জীবন দিয়ে কঠোর ইউরোপীয়দের ভবিষ্যৎ বুঝিয়ে গেছে ছোট্ট আইলান।’

এখন আইলানের এই হৃদয়বিদারক শেষ ছবিটির দর্শক, মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক সবাই পীড়াদায়ক ছবিটি অন্য সবাইকে দেখাতে চান; যাতে এটা সিরিয়ায় যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন তৈরি করতে পারে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সবাইকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত

ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেবিস্তারিত পড়ুন

সংঘাতের মাঝেও তেহরানের বায়ুমান ঢাকার চেয়ে ভালো

সোমবার রাত থেকেই দফায় দফায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়।বিস্তারিত পড়ুন

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেবিস্তারিত পড়ুন

  • নেতানিয়াহু: তেহরানের আকাশ দখলে, জয়ের পথে ইসরায়েল
  • অবিলম্বে তেহরান খালি করার আহ্বান ট্রাম্পের
  • ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে স্বৈরাচারী শাসক বললেন ট্রাম্প
  • ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
  • মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
  • ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
  • বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
  • একদিনে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫৭ ফিলিস্তিনি 
  • কানে ব্যান্ডেজ নিয়ে সম্মেলনে ট্রাম্প
  • ওমানে বন্দুকধারীর হামলায় মসজিদের কাছে   ৪জন নিহত
  • ট্রাম্পকে গুলি করা ব্যক্তি দলের নিবন্ধিত ভোটার
  • প্রেসিডেন্ট মাসুদকে সতর্কতা ইরানিদের