অবশেষে প্রকাশ্যে মঈন খান
প্রায় দুই মাস পর প্রকাশ্যে আসলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। বৃহস্পতিবার রাতে পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের বৈঠককে কেন্দ্র করে তিনি প্রকাশ্যে আসেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে তাকে দেখা যায়। কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে সাংবাদিকদের সঙ্গে সামান্য কুশল বিনিময় করে তিনি সভাস্থলে চলে যান।
এর কিছুক্ষণ আগে বৈঠকে যোগ দিতে বিএনপির বেশকয়েকজন স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও দলের আরও কিছু জ্যেষ্ঠ নেতারা কার্যালয়ে প্রবশে করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ করা বা না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর গুলশানে ইতালির নাগরিক চেজারে তাভেল্লাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই দিন রাতে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে জঙ্গি হুমকি পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট ‘সাইট ইন্টিলিজেন্স গ্রুপ’জানায়।
হত্যার ঘটনা নিয়ে যখন সারাদেশে তোলপাড় তারমধ্যেই পরদিন এ বিষয়ে কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.আবদুল মঈন খান। জাতীয় প্রেস ক্লাবের আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে তিনি বলেন, “সাম্প্রদায়িক জুজুর ভয় দেখিয়ে এদেশে কেউ পার পাবে না। আমরা জানি, পশ্চিমা বিশ্বে এই জুজুর ভয় দেখিয়ে এই সরকার হয়তো অনেক কিছু লুফে নেওয়ার চেষ্টা করছে। হয়তো সাময়িকভাবে তারা লাভবান হতেও পারে। কিন্তু তারা যে সেটা পারবে না,জুজুর শিকার নিজেরাই হবে-তার প্রমাণ ঘটে গেছে গতকাল সন্ধ্যায়।”
ওই সময় জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন সন্ধ্যায় সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে মঈন খানের বক্তব্যকে আমলে নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন,“ঢাকায় বিদেশি হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিএনপির এক নেতার ‘অতিউৎসাহ’ রহস্যজনক। ঢাকায় গিয়ে এ নেতার ‘অতিউৎসাহের’ ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হবে।”
প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর বিভিন্ন মহলে আলোচনায় আসে মঈন খান কি তাহলে গ্রেপ্তার হচ্ছেন? যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সরকারের কাছ থেকে এই ধরণের কোনো নির্দেশনা নেই বলে দাবি করা হয়। তবে নিউইয়র্কে মঈন খানের ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়ার কথা বললেও ঢাকার সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি। এদিকে গ্রেপ্তারের গুঞ্জনের মধ্যেই হঠাৎ লাপাত্তা হয়ে যান সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান। দলের কর্মসূচিতে খুব বেশি পাওয়া না গেলেও এই শীর্ষ নেতা বিএনপির কূটনৈতিক বিষয়গুলোর দেখভাল করতেন। তবে তিনি কোথায় ছিলেন সে বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে ছিল না কোনো সুষ্পষ্ট বক্তব্য। মুখ খুলতেও অপারগতা প্রকাশ করেছেন অনেকে। এ ঘটনার প্রায় দুইমাস পর আজ প্রকাশ্যে দেখা গেল তাকে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন