বুধবার, অক্টোবর ৩০, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

অবশেষে প্রবাসীর স্ত্রীর পরকীয়া প্রেম নাটকের অবসান

অবশেষে কুয়েতপ্রবাসীর স্ত্রী খাদিজা বেগম অপহরণ নাটকের অবসান ঘটেছে। বেরিয়ে এসেছে পরকীয়া কাহিনী। পুলিশ মোবাইল ‘কল লিস্ট’-এর সূত্র ধরে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে। গত ১১ নভেম্বর ঢাকার নবাবগঞ্জের ‘দেওয়ান ক্লিনিক’ থেকে ঘটনার নায়ক ফারুখ হোসেনকে আটক করে পুলিশ। অভিযানে নেতৃত্ব দেন গোপালপুর থানার দারোগা তোফাজ্জল হোসেন। মামলার সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন সহকারি পুলিশ সুপার (শিক্ষানবীশ) জিন্না আল মামুন।

গোপালপুর থানার ওসি জহিরুল ইসলাম জানান, প্রেমিক ফারুখের বাড়ি বিলডগা গ্রামে। বাবার নাম আব্দুল জলিল। নবাবগঞ্জের ওই ক্লিনিকে ফারুখ চাকরি করেন। ফারুখের আটক হওয়ার খবর শুনে উদ্বিগ্ন খাদিজা গত বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকার নবাবগঞ্জের বান্দুরা বাজারের ভাড়াটে বাসা থেকে গোপালপুরের উদ্দেশে রওনা হয়। বিকেলে সোজা থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর পুলিশের কাছে অদ্ভুত এক দাবি তোলেন খাদিজা। বলেন ‘আমি ফারুককে ভালোবাসি। ওকে পাওয়ার জন্য ঘর ছেড়েছি। আমাকে কেউ অপহরণ করেনি।’ এমনকি জিজ্ঞাসাবাদের সময় খাদিজা পুলিশকে বারংবার বলছিলেন প্রবাসী স্বামী মফিজকে তালাক দিয়ে ফারুখকে তিনি বিয়ে করবেন। কাজেই রিমান্ডে এনে ফারুখকে যেন নির্যাতন না করা হয়।

এর আগে পুলিশ ফারুখকে গ্রেফতার দেখিয়ে গত বৃহস্পতিবার ১২ নভেম্বর সকালে টাঙ্গাইল আদালতে হাজির করে রিমান্ড প্রার্থনা করে। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। গত শুক্রবার ১৩ নভেম্বর খাদিজাকে আটক দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়।
গত শনিবার আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে বাবার হেফাজতে জামিন মঞ্জুর করেন।
বাবার দেয়া তথ্য অনুযায়ী খাদিজার বয়স ১৬-এর বেশি নয়।

ওসি জানান, অর্ন্তধানের পর খাদিজা ঢাকার নবাবগঞ্জের বান্দুরা বাজারে একটি ভাড়া বাসায় থাকতো। খাদিজা নিষিদ্ধ প্রেমের টানের ঘর ছাড়লেও আইনের দৃষ্টিতে অনুকম্পা পাওয়ার সুযোগ পাবে না। মেডিক্যাল পরীক্ষায় ভিক্টিমের বয়স ১৮ এর নিচে হলে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ পোক্ত হতে পারে।

এর আগে গত ৩ অক্টোবর খাদিজা হাদিরা গ্রামের বাসিন্দা কুয়েতপ্রবাসী স্বামী মফিজ ফকিরের বাড়ি থেকে রহস্যজনকভাবে অন্তর্ধান হন। ৫ অক্টোবর তার শাশুড়ি মলিদা বেওয়া পুত্রবধূ নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় গোপালপুর থানায় জিডি দায়ের করেন।

খাদিজার বাবা বিলডগা গ্রামের ইউসুফ আলী বড়ছেলে গোলাফ হোসেনের মোবাইলে আসা একটি রহস্যজনক কলের (০১৬৮৫৫১০২৯৯) প্রসঙ্গ টেনে অভিযোগ করেন তার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। গত ২৩ অক্টোবর ইউসুফ আলী গোপালপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় হাদিরা পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত মোজাফফর হোসেনের পুত্র আব্দুল হামিদ, বাজার হাদিরা গ্রামের জামাল হোসেনের পুত্র সুমন হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা আরো তিনজনকে আাসামী করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ফুঁসলিয়ে খাদিজাকে অপহরণ করেছে। পুলিশ মোবাইল কল লিস্টের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে নামে। মোবাইল কোম্পানির সরবরাহ করা কল লিস্ট যাচাইবাছাই করে ওই সন্ধিগ্ধ নাম্বারে প্রেমিক ফারুখের যোগাযোগ করার সূত্র খুঁজে পায়।

তদন্তকারী দারোগা জানান, ফারুখ ও খাদিজা উভয়েই পরকীয়ার টানে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্বেচ্ছায় স্বীকারুক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। খাদিজার বাবা জানান, ‘বাবা, বড় কষ্টে আছি। মেয়ের সুন্দর ভবিষ্যৎ চিন্তা করে প্রবাসী পাত্রের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। মেয়েটারে ইবলিশে ধরেছে। তাই সবার মুখে সে চুনকালি মেখে দিয়েছে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল

আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন

ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পদ হারালেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি

ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলেরবিস্তারিত পড়ুন

ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে রাজধানীরবিস্তারিত পড়ুন

  • ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
  • ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
  • অবৈধভাবে ভারত যাওয়ার সময় ওএসডি হওয়া যুগ্ম সচিব আটক
  • সারজিস আলম: দেশের সিস্টেমগুলোতে ক্যান্সার ধরেছে
  • জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
  • নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
  • হত্যাকাণ্ডসহ সব অনভিপ্রেত ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে: প্রধানমন্ত্রী
  • রাজধানীর শনির আখড়া ও ধনিয়ায় গুলিবিদ্ধ ৬
  • বিমানের লাগেজ থেকে সাড়ে ৪ কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার
  • মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্রের ছবি তোলায় শিক্ষকের কারাদণ্ড
  • বেনজীরের ঢাবি’র পিএইচডি ডিগ্রি বাতিলের প্রস্তাব
  • মতিউর গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে দেশেই আছেন