১২২ রান করেও রাজশাহীকে জেতাতে পারলেন না সাব্বির!
বোলারদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠা মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আজ রবিবার প্রথমবারের মত দেখা গেল রানউৎসব। বরিশাল বুলসের মুশফিকুর রহীম এবং শাহরিয়ার নাফীসের দুর্দান্ত হাফসেঞ্চুরির জবাবে রাজশাহীর ড্যাশিং ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমানের ব্যাট থেকে আসে ঝলমলে শতরান।
তার এই অসাধারণ ইনিংসটি শেষ পর্যন্ত বৃথা গেল। ৪ রানের দারুণ এক জয় তুলে নিল বরিশাল বুলস!
এর আগে বিপিএল চতুর্থ আসরের সবচেয়ে বেশি স্কোর গড়ে বরিশাল। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপদে পড়ে মুশফিকুর রহিমের দল। ২১ রানের মধ্যে ফিরে যান দুই ওপেনার। এরপর দেখা গেল ব্যাটিং ঝলক। বিপিএলের চতুর্থ আসরে প্রথমবারের মত শতাধিক রানের পার্টনারশিপ দেখা গেলে হোম অব ক্রিকেটে!
বেলা দুইটায় শুরু হওয়া ম্যাচে প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই উমর আকমলের হাতে ধরা পড়েন ওপেনার দিলশান মুনারবীরা (০) । বোলার ফরহাদ রেজা। এরপর ক্রিজে আসেন শাহরিয়ার নাফিস। জুটি জমে না উঠতেই আবারও ফরহাদ রেজার আঘাত। তার দ্বিতীয় শিকার হয়ে নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ দেন আরেক ওপেনার দাওয়িদ মালান (১৩)। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বরিশাল বুলস।
মালানের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। আস্তে আস্তে হাত খুলে মারতে শুরু করেন দুজনেই। প্রথমে ধীরে খেললেও হাফসেঞ্চুরির দৌড়ে এগিয়ে যান শাহরিয়ার নাফীস। ৩৮ বলে হাফসেঞ্চুরি পুরণ করার পর ৪৪ বলে ৬৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে ড্যারেন স্যামির বলে নুরুল হাসানের হাতে ধরা পড়েন। ইনিংসটিতে তিনি ৪টি চার এবং ৪টি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়েছেন।
নাফিসের বিদায়ের পর মুশফিকের সঙ্গী হন থিসারা পেরেরা। মুশফিক তখন ৪৮ রানে অপরাজিত। অতঃপর ধীরে ধীরেই হাফসেঞ্চুরি পুরণ করলেন বরিশাল অধিনায়ক। ৪০ বলে হাফসেঞ্চুরি করার পথে তিনি ৩টি চার এবং ২টি ছক্কা হাঁকান। হাফসেঞ্চুরির পর আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেন মুশফিক। আরও ১টি চার এবং ২টি ছক্কা যুক্ত হয় তার ইনিংসে। শেষ পর্যন্ত ৫২ বলে ৮১ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন মুশফিক। শেষ বলে পেরেরা (১১) রানআউট হয়ে গেলে ২০ ওভার শেষে বরিশালের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১৯২।
উল্লেখ্য, নিজেদের প্রথম ম্যাচেও হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন এই দুজন। তবে দলকে জেতাতে পারেননি। প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ৫০ এবং পরের ম্যাচে ৩৩ রান করেন বরিশাল অধিনায়ক।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১ রানেই ওপেনার রকিবুল হাসানকে হারায় রাজশাহী। তবে অপর ওপেনার মমিনুল হক সাব্বির রহমানকে নিয়ে আক্রমণাত্বক ব্যাটিং শুরু করেন। ১৪ রান করার পর সাব্বির একবার জীবন পান। ব্যক্তিগত ১২ রানে আল-আমিনের বলে থিসারা পেরেরার হাতে ধরা পড়েন মমিনুল। এর আগে জুটিতে আসে ৪৮ রান। পরের বলেই উমর আকমল ফিরে গেলে একটি ছোট্ট ধসের মুখে পড়ে রাজশাহী।
ধস সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ড্যাশিং ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান এবং সামিত প্যাটেল। এর মধ্যে ২৬ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন সাব্বির। ৫০ রানে পৌঁছতে তিনি ৩ চার এবং ৪টি ছক্কা হাঁকান। এরপর থেমে থাকেনি টি-২০ স্পেশালিস্ট। ৫৩ বলে তিন অংকে পৌঁছেন তিনি। বিপিএলের চতুর্থ আসরের প্রথম সেঞ্চুরি আসে তার ব্যাট থেকে। তিন অংকে পৌঁছতে তিনি ৪টি চার এবং ৫টি ছক্কা হাঁকান। তার আগেই অবশ্য ফিরে গেছেন সামিত প্যাটেল (১৫)। সাব্বিরের সঙ্গী হন অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি।
শেষ পর্যন্ত ৬১ বলে ১২২ রান করে থামেন সাব্বির। আল-আমিন হোসেনের বলে দাউইদ মালানের হাতে ধরা পড়েন তিনি। সাব্বিরের স্থলাভিষিক্ত হন নুরুল হাসান। জয় থেকে মাত্র ১০ রান দূরে থাকতে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। ১৮ বলে ৩ চারে ২৭ রান করে তিনি এমরিতের বলে বোল্ড হয়ে যান।
তখনই মূলতঃ শেষ হয়ে যায় রাজশাহীর আশা। নুরুল হাসান এবং আবুল হাসান মিলে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হন। ৪ রানের অসাধারণ এক জয় তুলে নেয় বরিশাল।
আরো পড়ুনঃ– একটু পরে মাহমুদউল্লাহর মুখোমুখি মাশরাফি
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন