‘মাশরাফি অবসর নেবে এই ভেবে চোখে জল এলো’
অবসরের ঘোষণা দেবেন বাঙ্গালীর প্রাণের অধিনায়ক মাশরাফি, ইঙ্গিত পাপনের
ক্যারিয়ারের শেষ টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছেন মাশরাফি? সত্যিই কি তাই। তবে এখনই শুনতে হচ্ছে না বিদায় শব্দটি। দেশে ফিরেই নাকি ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা দেবেন সর্বকালের অন্যতম সেরা টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। এমন ইঙ্গিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের।
খবর শুনে লাখো কণ্ঠ একসাথে আওয়াজ তুলল ‘প্লিজ মাশরাফি, এখনই অবসর নয়।’ ক্রিকেটপাড়ায় ছড়িয়ে পড়ল মাশরাফির অবসরের গুঞ্জন। স্থান করে নিল আলোচনার টেবিলে।
তবে একটা জায়গায় অবাক হবেন অনেকেই। সমর্থকরা এত ভালোবাসে মাশরাফিকে? মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট যতদিন বাঁচবে, ততদিন ভক্তদের হৃদয়ের মণিকোঠায় অমলিন থাকবে মাশরাফির নাম।
কেউ কল্পনাও করতে পারবেন না কতটা ভালোবাসা মাশরাফির জন্য জমিয়ে রেখেছে সমর্থকরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চেয়ে গেছে ম্যাশ বন্দনায়। আকুতি আর অনুরোধের কোনো কমতি নেই মাশরাফির জন্য। বোধ হয় অন্তরের সবটুকু ভালোবাসা আজ মাশরাফির জন্য উজাড় করে দিয়েছেন তারা। প্রতিটি লাইনে ফুটে উঠেছে মাশরাফির প্রতি অজস্র ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা।
আদিবা রহমান নামের এক ভক্ত লিখেছেন, ‘কি করে মেনে নিবো আপনার অবসর। আমি তো কল্পনাই করতে পারছি না। আপনি যে আমাদের দলের প্রেরণা। আপনি যে আমাদের ১৬ কোটি মানুষের ভরসা। আপনাকে আমরা এতো তাড়াতাড়ি হারাতে পারি না। সত্যি এই খবরটা শুনে এতোটা কষ্ট পেয়েছি বলে বুঝাতে পারব না। প্লিজ মাশরাফি ভাই আপনার ভক্তদের কথা চিন্তা করে আরও কয়েকটা দিন থেকে যান আমাদের মাঝে। এটা বলতে পারেন আমাদের ১৬ কোটি মানুষের অনুরোধ।’
ইমরান তাসিন লিখেছেন, ‘সেদিন থেকেই বাংলাদেশের খেলা দেখবো না যেদিন ম্যাশ অবসর নেবে। হোক সেটা কাল, পরশু অথবা ৪০ বছর পর।’
মাশরাফিকে নিয়ে সাইফ লিখেছেন, ‘তুমি রবে নীরবে, মিশে কোটি ক্রিকেট প্রেমীর হৃদয়ে। ভালোবাসা অবিরাম তোমার জন্য। হারিয়ে যেও না। গর্জে ওঠো আবারও কোটি প্রাণের স্পন্দন হয়ে, মাশরাফি।’
রকিবুর রহমান বলেছেন, ‘মাশরাফির দেওয়ার অনেক কিছুই আছে। তাই অবসরে যাওয়ার সময় এটা নয়। আমিও ক্রিকেট খেলি বলতে পারি একজন ক্যাপ্টেন ব্যাটে বলে ব্যর্থ হলেও তাঁর নেতৃত্বগুণে দলকে জেতাতে পারে। তাই নো রিটায়ারমেন্ট।’
শামস উদ্দিন নামের এক মাশরাফি ভক্ত লিখেছেন, ‘মাশরাফি অবসর নেবে এই ভেবে চোখে জল এলো। মাশরাফি সব ক্রিকেটারদের আদর্শ।’
এমন অসংখ্য কাকুতি-মিনতি শুধু যে মাশরাফির জন্য। একজন মহাতারকার জন্য। যিনি প্রায় ১৬টি বছর বাংলাদেশ ক্রিকেটকে দিয়েছেন দুহাত ভরে। বারবার ইনজুরির চোবল খেয়েও উঠে দাঁড়িয়েছেন।
দেশের ক্রিকেট, লক্ষ-কোটি টাইগারভক্তের কথা মাথায় রেখে লাল-সবুজের পতাকা উঁচিয়ে ধরার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন মাশরাফি। জয়-পরাজয়ে সতীর্থদের যোগান সাহস। সেই মাশরাফির অবদান কি করে ভুলবে বাংলাদেশ? তাইতো ক্রিকেটের একটি অধ্যায়কে তাঁর গুড বাই বলার গুঞ্জনে জড়ো হয়েছে লাখো অনুরোধ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন