অবাক হলেও সত্য, মাএ কয়েক মিনিটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম!
এবার দুই ঘণ্টায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়া যাবে। বাংলাদেশ রেলওয়ের হাইস্পিড ট্রেন বুলেটে তা সম্ভব। ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে চলবে নতুন এই ট্রেন। উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে রেলপথে ঢাকা-চট্টগ্রামের দূরত্ব কমবে ৯০ কিলোমিটার। বুলেট ট্রেন চলাচলের জন্য রেলপথের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিশদ ডিজাইনের লক্ষ্যে এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
কয়েক দিন আগে প্রস্তাবটি পাঠানো হয়। অনুমোদন মিললে প্রায় ১১০ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ের প্রকল্পটির কাজ শুরু হবে চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে। দুই বছর মেয়াদে ২০১৯ সালের ৩০ জুনের মধ্যে সমীক্ষা ও বিশদ ডিজাইনের কাজ শেষ করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রকল্পটি সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থায়ন করা হবে। বুলেট ট্রেনের লাইন নির্মাণে চীনের সঙ্গে জি-টু-জি ভিত্তিতে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ ধরনের রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগ বাংলাদেশে প্রথম। যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন জরুরি বলেও মনে করেন তারা। যোগাযোগ খাতে এই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জিং। জাপানের কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে বিকল্প হিসেবেও একাধিক দেশ ও দাতা সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চলছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল করিডর ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে সব দিক বিবেচনায় খুব গুরুত্বপূর্ণ। মহেশখালী
ঘিরে জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ হাব গড়ে তোলা হচ্ছে। এ কারণে প্রচুর দেশি-বিদেশি নিয়মিত ঢাকা-চট্টগ্রামে যাতায়াত করবে। এর ওপর এ রুটে যাত্রীর চাপ বাড়ছে দ্রুত গতিতে।
সূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সফলভাবে বুলেট ট্রেন চালু করতে পারলে এটিকে কক্সবাজার পর্যন্ত সম্প্রসারণে সুযোগ থাকবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে উচ্চগতির ট্রেন চললে সম্ভাব্য যাত্রীর সংখ্যা আরও বাড়বে। এতে পর্যটন খাত দ্রুত প্রসার লাভ করবে। সূত্র আরও জানায়, প্রথমে লাকসাম হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বুলেট ট্রেন চালু হবে। অর্থের নিশ্চয়তা পাওয়ার পরই বুলেট ট্রেনের রেলপথ নির্মাণের গতি বাড়বে। সূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুট হচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ রুটের দৈর্ঘ্য ৩২০ দশমিক ৭৯ কিলোমিটার। বর্তমানে এ রুটের ট্রেন ঢাকা থেকে টঙ্গী- ভৈরব বাজার-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা হয়ে চট্টগ্রাম পৌঁছায়। ফলে রেল ভ্রমণে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা সময় লাগছে।
ঢাকা থেকে কুমিল্লার লাকসাম হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত হাইস্পিড ট্রেন লাইন নির্মিত হলে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরত্ব ও সময় প্রায় তিন ঘণ্টা কমবে। তখন ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব দাঁড়াবে ২৩০ কিলোমিটার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে রেলপথ মন্ত্রণালয় পরিদর্শনের সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে হাইস্পিড রেলপথ নির্মাণের নির্দেশ দেন। তখন থেকেই প্রকল্পের ডিপিপি (ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোপোজাল) তৈরির কাজ শুরু করে মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে কয়েক দফা পিইসির (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) সভাও হয়েছে। বুলেট রেলপথটি এক্সপ্রেসওয়ের পাশ দিয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তিনটি সম্ভাব্য রুট নির্ধারণ করা হয়েছে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য।
এর মধ্যে মদনপুর (ঢাকা)-দাউদকান্দি-কুমিল্লা-ফেনী হয়ে চট্টগ্রাম রুটের দৈর্ঘ্য ২১৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার। মদনপুর (ঢাকা)-দাউদকান্দি-বরুড়া-ফেনী হয়ে চট্টগ্রাম রুটের দৈর্ঘ্য ২০৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার এবং মদনপুর (ঢাকা)-দাউদকান্দি-চাঁদপুর-ফেনী হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত এই রুটের দৈর্ঘ্য ২৮০ কিলোমিটার। এ তিনটি রুটের মধ্যে দূরত্ব কম হওয়ায় মদনপুর (ঢাকা) দাউদকান্দি-বরুড়া- ফেনী হয়ে চট্টগ্রাম রুটে হাইস্পিড রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান রেলমন্ত্রী।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ রেলপথকে গুরুত্ব দিয়ে আলাদা মন্ত্রণালয় করে দিয়েছেন। শিগগিরই আমরা চালু করব বুলেট ট্রেন সার্ভিস। সড়ক নিরাপত্তা ও সাশ্রয়ী বিবেচনায় মানুষ দিন দিন ট্রেন ভ্রমণ বাড়িয়ে দিচ্ছেন। প্রতিদিনই রেলপথে যাত্রী বাড়ছে। দায়িত্ব গ্রহণের সময় রেলপথে প্রতিদিন এক লাখ ৬০ হাজার থেকে এক লাখ ৭০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা হতো। বর্তমানে আড়াই লাখ যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। রেলপথের সমস্যা অনেক কমে এসেছে। -বিডি প্রতিদিন
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন