অভিনব পন্থায় শিশুর চুল কাটলেন নাপিত
বয়স তার ১৮ মাস, নাম ম্যাসন। এই বয়সের শিশুর কাছে চুল কাটানো এক বিভীষিকার নাম। কিছুতেই তারা চুল কাটাতে চায় না। অবশ্য নাপিতও ছাড়ার পাত্র নন। যে কোনো মূল্যে তিনি চুল কাটবেনই।
অবশেষে মেঝেতে পেটের ভরে শুয়েই চললো তার চুল কাটার কাজ। আর এতেই প্রথমবারের মতো সঠিক হেয়ার কাট দেওয়ায় সক্ষম হলেন শিশুটিকে।
১৮ মাসের এ শিশুটি অটিস্টিক। সাউথ-ইস্ট গ্রেট ব্রিটেনের ওয়ালেসের বাসিন্দা ডিনাইন ডেভিস নামের নারীটি কিছুতেই তার ছেলের চুল কাটাতে পারছিলেন না। কেননা চুল কাটানোর চেয়ার দেখলেই ভয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে শিশুটি।
কিন্তু চুলের তো আর লাগাম নেই; যে টেনে ধরবেন। একদিন তিনি ২৬ বছর বয়সী নাপিত জেমস উইলিয়ামের নাম শোনেন। শুনেছিলেন জেমস শিশুদের সঙ্গে খুবই ভালো মিশতে পারে।
ম্যাসনের মা বলেন, ওর চুলগুলো ওকে খুবই কষ্ট দিচ্ছিল। কিন্তু কিছুতেই ওকে নাপিতের কাছে নিতে পারছিলাম না। ভেবেছিলাম নিজেই করবো। কিন্তু আমি তো আর বিউটিশিয়ান নই। কার কাছ থেকে যেন জেমসের কথা শুনেছিলাম। এর আগেও সে এক অটিস্টিক শিশুর চুল কাটার দায়িত্ব পালন করেছে, বাচ্চাদের সঙ্গে ওর খুব সখ্যতা। তাই ওকেই দায়িত্বটা দিলাম। ও কয়েকমাসে কয়েকবার আমাদের বাড়িতে এসেছে যেন ম্যাসন ওর সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। তারপরই চুল কাটতে সক্ষম হয়েছে। আর আমরাও যেন হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছি।
অবশ্য জেমস চুলের দিকে নয় বেশি নজর রাখতে চেয়েছে ম্যাসনের দিকেই। তার মতে, চুলটা কাটতামই কিন্তু চাইছিলাম ম্যাসন যেন খুশি থাকে এবং কান্নাকাটি না করে। সেজন্য সব চেষ্টাই আমি করছিলাম। তবে এমন জায়গায় পেটের ভরে শুয়ে চুল কাটার অভিজ্ঞতা এই প্রথম।
এরই মধ্যে ম্যাসন ও জেমসের ছবিটি ভাইরাল হয়ে উঠেছে পুরো ইন্টারনেট দুনিয়ায়। আর এখন তো আরো অনেক অনেক মা তাদের সন্তানের চুল কাটার দায়িত্ব জেমসকেই দিতে চান।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
কল-কারখানায় কোনো শিশুশ্রম নেই: প্রতিমন্ত্রী
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, প্রতিষ্ঠানিকবিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলের কিশোরী জোনাকির মরদেহ যশোরে উদ্ধার
যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়া মডেল মসজিদের পাশে একটি পুকুর থেকেবিস্তারিত পড়ুন
শিশুর স্কুল থেকে শেখা বদভ্যাস থামাবেন যেভাবে
স্কুল থেকে শিশুরা জীবনের দিকনির্দেশনা পেয়ে থাকে। প্রয়োজনীয় বিভিন্ন নিয়মকানুনবিস্তারিত পড়ুন