শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

অভিনয়ের তিন নক্ষত্র

আফজাল হোসেন, হুমায়ূন ফরিদী ও রাইসুল ইসলাম আসাদ। এই তিনজনই বাংলাদেশের অভিনয় জগতের প্রাণ পুরুষ। এখন যারা মঞ্চে কিংবা পর্দার সামনে পা রাখতে চান তাদের সামনে এই তিনজনকে অনুসরণ করার প্রবণতা থাকেই।

আফজাল হোসেন বাংলাদেশের একজন অভিনেতা, পরিচালক, চিত্রশিল্পী এবং বিজ্ঞাপন নির্মাতা। তিনি ১৯৫৪ সালের ১৯শে জুলাই সাতক্ষীরার পারুলিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও সনদ অণুযায়ী তাঁর জন্মদিন ২৭ মার্চ।

আফজাল হোসেন তৎকালীন পূর্ববাংলার সাতক্ষীরার পারুলিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা আলি আশরাফ হোসেন ছিলেন একজন মেডিকেল অফিসার। তাঁর ভাইয়ের নাম আলফাজ হোসেন এবং বোন রুমানা আফরোজ। [৪] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্ট কলেজে পড়েছিলেন।

আফজাল হোসেন সত্তর দশকের মাঝামাঝি থিয়েটারে অভিনয়ের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে তালিকাভুক্ত হন এবং বিটিভি এর প্রযোজনায় নাটকে অভিনয় করেন। এছাড়া তিনি বক্স-অফিস হিট করা “দুই জীবন”, “নতুন বউ” এবং “পালাবি কোথায়” সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ১৯৮৪ সাল থেকে তিনি বিজ্ঞাপন নির্মাণ করেন। বাংলাদেশের মডেলিং জগৎ কে প্রতিষ্ঠিত করার ব্যাপারে তার অবদান অনস্বীকার্য। ২০১১ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘শুধু একটাই পা’।এছাড়া তিনি ছবিও আঁকেন। বর্তমানে তিনি নাট্য পরিচালক হিসেবেও কাজ করছেন।

১৯৮০-র দশকে বাংলাদেশের নাটকে সুবর্ণা-আফজাল জুটি বিশেষ দর্শকপ্রিয়তা লাভ করে। তাঁদের অভিনিত দর্শকপ্রিয় নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে “কুল নাই কিনার নাই”, “পারলে না রুমালি”, “জোহরা”, “ওহ দেবদুত”, “রক্তের আঙ্গুরলতা”, ইত্যাদি। ঢাকা থিয়েটারের হয়ে মঞ্চেও তাঁরা জুটি হিসেবে দর্শকদের মন জয় করতে সক্ষম হন। তাঁদেরকে ছোট পর্দার চিরসবুজ জুটি বলা হয়। আফজাল হোসেন তানজিন হালিম মনাকে বিয়ে করেন।[১] তাঁর দুইটি পুত্র সন্তান রয়েছে।

হুমায়ুন ফরিদী মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছেন। এবং বাংলা চলচ্চিত্রের একজন কিংবদন্তি অভিনেতা। হুমায়ুন ফরীদি ঢাকার নারিন্দায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম এটিএম নূরুল ইসলাম ও মা বেগম ফরিদা ইসলাম। চার ভাই-বোনের মধ্যে তাঁর অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। ইউনাইটেড ইসলামিয়া গভর্নমেন্ট হাই স্কুলের ছাত্র ছিলেন তিনি। মাধ্যমিক স্তর উত্তীর্ণের পর চাঁদপুর সরকারি কলেজে পড়াশোনা করেন। এরপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনান্তে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি আল-বেরুনী হলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তিনি বিশিষ্ট নাট্যকার সেলিম আল-দীনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। এখন তারা দুজনের কেউই নেই। ১৯৭৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত নাট্য উৎসবে তিনি অন্যতম সংগঠক ছিলেন। মূলতঃ এ উৎসবের মাধ্যমেই তিনি নাট্যাঙ্গনে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থাতেই তিনি ঢাকা থিয়েটারের সদস্যপদ লাভ করেন।

১৯৯০-এর দশকে হুমায়ুন ফরীদি চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। সেখানেও তিনি বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেন। বলা হয়ে থাকে যে, স্যুটিংস্থলে অভিনেতার তুলনায় দর্শকেরা হুমায়ুন ফরীদির দিকেই আকর্ষিত হতো বেশি।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] বাংলাদেশের নাট্য ও সিনেমা জগতে তিনি অসাধারণ ও অবিসংবাদিত চরিত্রে অভিনয়ের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন। অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত বিখ্যাত সংশপ্তক নাটকে ‘কানকাটা রমজান’ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত হয়েছিলেন। ব্যক্তজীবনে ফরিদী বিয়ে করেন অভিনেত্রী সুবর্ণা মোস্তফাকে। কিন্তু ফরিদীর মৃত্যুর কিছুদিন আগে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।

রাইসুল ইসলাম আসাদ একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বাংলাদেশী অভিনেতা যিনি বেতার, মঞ্চ, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাঁর অভিনয় ও তার অভিনীত চলচ্চিত্র বাপক প্রশংসিত হয়েছে। গৌতম ঘোষ এবং তানভীর মোকাম্মেলের মতো পরিচালকের সাথে তিনি কাজ করেছেন। একাধিক জাতীয় পদকজয়ী ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল-র এই প্রাক্তন ছাত্র ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন । ১৯৭২ সালে রাইসুল ইসলাম আসাদ প্রথম মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন। আমি রাজা হব না এবং সর্পবিষয়ক গল্প নামের ২টি নাটক যার মাঝে বিরতি ছিল। তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র ১৯৭৩ সালে মুক্তি পাওয়া আবার তোরা মানুষ হ।

১৯৭১ সালে রাইসুল ইসলাম আসাদ ঢাকাতে গেরিলা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। যুদ্ধ থেকে পাওয়া না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে তিনি বলেন,না, আমার কখনও আক্ষেপ হয় না। এই যে আপনি এ আক্ষেপ করার ভাবনাটা একটি স্বাধীন দেশে বসে করতে পারছেন—এটাই তো অনেক বড় পাওয়া। সবার আগে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কি হতে পারে?’ মানুষের মুক্তির জন্য; ক্ষুধা, দৈন্য, দুঃখ আর পরাধীনতা থেকে মুক্তির জন্য তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি মনে করেন যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁরা বোধহয় বেঁচে গিয়েছেন, নিজেরা যা দেখছেন তা তো আর তাঁদের দেখতে হয়নি।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা

শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন

শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে

আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন

আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?

গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন

  • বাবা দিবসে কাজলের মেয়ে শৈশবের ছবি পোস্ট করলেন
  • চলে গেলেন অভিনেত্রী সীমানা
  • শাকিবের সঙ্গে আমার বিয়ের সম্ভাবনা থাকতেই পারে: মিষ্টি জান্নাত
  • এবার পরিবারের পছন্দে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন শাকিব খান
  • বুবলী আগে থেকেই বিবাহিত, সেখানে একটি মেয়েও আছে: সুরুজ বাঙালি
  • এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা
  • অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি মারা গেছেন
  • এক রোমাঞ্চকর অসমাপ্ত ভ্রমণ গল্প
  • পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন
  • শাকিব ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পুরুষের জায়গা নেই: বুবলী
  • সিনেমা মুক্তি দিতে হল না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন নায়ক
  • বিশাখাপত্তনমে কয়েকদিন