অভিযানের পর ৫৮ টাকার চিনি ৫০ টাকা
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান ও জরিমানার পর বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে চিনির পাইকারি মূল্য কেজিপ্রতি ৫৮ টাকা থেকে ৫০ টাকায় নেমে গেছে। এতে চিনির মূল্য কেজিতে কমেছে ৮ টাকা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে খাতুনগঞ্জের মীর গ্রুপ নামের প্রতিষ্ঠান চিনির মূল্য কমাতে বাধ্য হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রামের এস আলম সুগার মিল থেকে ৪৬ টাকা কেজি দরে সব চিনি কিনে মজুদ করে ৫৮ টাকা কেজিতে বিক্রি করছিল গত দু’সপ্তাহ ধরে।
বুধবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমানের নেতৃত্বে মীর গ্রুপে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ওই প্রতিষ্ঠানে চিনি মজুদ ও অতিরিক্ত মূল্যে চিনি বিক্রি করার দায়ে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর পর চিনির গুদাম সিলগালা করে প্রতি কেজি চিনি ৫৮ টাকার পরিবর্তে ৫০ টাকা বিক্রি করবে মর্মে মুচলেকা আদায় করেন। আদালতের নির্দেশনা মতে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মীর গ্রুপ ৫৮ টাকার পরিবর্তে ৫০ টাকা কেজি দরে চিনি বিক্রি শুরু করেছে মীর গ্রুপ। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে পূর্ব পর্যন্ত মীর গ্রুপ চিনির মূল্য কারসাজি করে প্রায় ২৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মীর গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুস সালাম জানান, আমরা ৫০ টাকা কেজি দরে পাইকারি চিনি বিক্রি করছি। ট্রেড লাইসেন্স দেখে প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বস্তা করে চিনি বিক্রি করা হচ্ছে।
ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান জানান, মীর গ্রুপের মেসার্স হাজি মীর আহমেদ সওদাগর নামের প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তারা এস আলম সুগার মিল থেকে থেকে ৪৬ টাকা ৮ পয়সা কেজি দরে চিনি কিনে পাইকারি বাজারে ৫৮ টাকা ২ পয়সায় বিক্রি করছে। প্রতি কেজিতে তারা ১২ টাকা লাভ করছে। এরপর কয়েক হাত ঘুরে খুচরা বাজারে সেই চিনি বিক্রি হচ্ছিল ৬৫ টাকা কেজিতে। চিনি নিয়ে এ ধরনের ইচ্ছাকৃত কারসাজির অভিযোগে মীর গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুস সালাম ও সেলস ম্যানেজার জানে আলমকে ১০ লাখ টাকা করে মোট ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরে তারা দুই টাকা লাভে চিনি বিক্রির মুচলেকা দেন।
উল্লেখ্য, খাতুনগঞ্জের মীর গ্রুপ চট্টগ্রামের পুরো চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণ করছিল। তারা আগামী ২৬ জুন পর্যন্ত এস আলমের চিনি কারখানা থেকে ১০টি লটে ২০ হাজার মেট্রিক টন চিনি কিনে রেখেছে। যার ক্রয়মূল্য প্রতি কেজি ৪৬ টাকা ৮ পয়সা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ১ টাকা কিংবা ২ টাকার বেশি মুনাফা করার সুযোগ নেই। অথচ মীর একটি কারখানার সব চিনি কিনে নিয়ে প্রতি কেজিতে ১২ টাকা মুনাফা নিয়ে বিক্রি করছে। এতে তারা প্রায় ২৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন