অসমাপ্ত বক্তব্য দিতে আদালতে খালেদা
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য দিতে বিশেষ আদালতে হাজির হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দারের আদালতে আজ বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে তিনি উপস্থিত হয়েছেন। এদিন জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলার আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য দেয়ার দিন ধার্য রয়েছে এবং জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করার দিনও ধার্য রয়েছে।
এর আগে, ১ ডিসেম্বর ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দারের আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে বেগম খালেদা জিয়া উপস্থিত হন। এসময় বিচারক তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ও ৩২ সাক্ষীর জবানবন্দি পড়ে শোনান।
বিচারক বেগম খালেদা জিয়াকে সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
বিচারক বেগম খালেদা জিয়াকে সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি (খালেদা) নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
বিচারক তখন খালেদা জিয়ার কাছে মামলায় সাফাই সাক্ষীর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলায় সাফাই সাক্ষী দেয়া হবে। পরে বিচারক আরও বলেন, আপনি (খালেদা) কী এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেবেন?
উত্তরে খালেদা জিয়া বলেন, হ্যাঁ, আমি বক্তব্য দেব। পরে বেগম খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে বলেন, দেশকে আজ কারাগার বানানো হয়েছে। সবখানে চলছে অস্থিরতা। মিথ্যা ও সাজানো মামলায় বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী এ মুহূর্তে কারাগারে বন্দি। বিএনপির প্রায় ৭৫ হাজার নেতাকর্মী বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করছেন। দলের চার লাখের বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ২৫ হাজারের মত মামলা করা হয়েছে।
নির্যাতন, হয়রানি ও গ্রেফতারের ভয়ে বহু নেতাকর্মী ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। গুম, খুন, অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বিরোধী দলের অসংখ্য নেতাকর্মী।
এখন সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বড় বেশি বলা হয়। কিন্তু কোথায় আজ সাংবিধানিক শাসন। সংবিধান নাগরিকদের যে অধিকার দিয়েছে কোথায় আজ সে অধিকার। কোথায় আজ সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার।
বক্তব্যের পর বেগম খালেদা জিয়া বিচারকে উদ্দেশ করে বলেন, আজ আর বক্তব্য দিতে চাই না। আত্মপক্ষ সমর্থনের কপিটা চাই। তখন বিচারক খালেদা জিয়ার আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী বক্তব্যের জন্য ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। মামলায় বিভিন্ন সময়ে ৩২ জন সাক্ষ্য দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলা তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন