অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দীর্ঘ ১১ বছর পর মাঠেঃ যা বললেন সাকিব
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দীর্ঘ ১১ বছর পর মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২৭ আগস্ট মিরপুরে শুরু হবে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্ট। এই টেস্টকে সামনে রেখে উভয় দল শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছে। অভিজ্ঞতার বিচারে অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়দের চেয়ে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা এগিয়ে। তারপরও অস্ট্রেলিয়া দলকে সমীহ করছেন সাকিব আল হাসান। তবে তিনি জানিয়েছেন সফরকারীদের বিপক্ষে দুটি টেস্টই জেতা সম্ভব।
সাকিব বলেন, ‘আমার তো মনে হয় সম্ভব। সম্ভব না হওয়ার তো কিছু দেখি না। আর প্রত্যাশা, দুটি টেস্ট জেতা। তবে টেস্ট জিততে হলে সব দিকেই ভালো করতে হবে। আমাদের সব কিছুই ভালো করতে হবে। ব্যাটিংও ভালো করতে হবে। বোলিংও ভালো করতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার সামনে যে দল, যে পরিবেশই আসুক, ওরা সব সময়ই কঠিন প্রতিপক্ষ।
বিশ্বের যে কোনো জায়গায় ওরা দ্রুত কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে; এটা ওদের চেয়ে ভালো কেউ পারে না। ওরা তাই আমাদের জন্য কঠিন প্রতিপক্ষ। যদিও ওরা একটু অনভিজ্ঞ এখন। এবং ভারত ও শ্রীলঙ্কায় সাম্প্রতিক সময়ে ওদের পারফর্ম তেমন ভালো নেই। আশা করবো সেটা যাতে এখানেও অব্যাহত থাকে আর আমরা ভালো করতে পারি!’
আমাদের দলের যে অবস্থা, তাতে ওদেরকে হারানোর এখনই কি সেরা সময়? এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘আমি যেটা বললাম যে, ওদের কালচারটা এমন যে ওরা সব কন্ডিশনে মানিয়ে নিতে পারে। হয়তো কষ্ট হয়, হবেও। বৃষ্টি আছে, গরম আছে। তারপরও ওরা মানিয়ে নিবে। আগেও নিয়েছে। ওদেরকে হারাতে তাই আমাদের সেরা ক্রিকেটই খেলতে হবে।
কন্ডিশন বা অন্য কিছুর উপর নির্ভর করে সিরিজ শুরুর চিন্তা করাটা মনে হয় না খুব একটা ভালো হবে। আমাদের চিন্তাই থাকা উচিত যে, আমরা যাতে যে কোনো পরিস্থিতি ওদের চেয়ে ভালোভাবে মোকাবেলা করতে পারি। আমাদের দলের অবস্থা খুব ভালো। কিন্তু এটাই সেরা সুযোগ কিনা তা বলা মুশকিল। কারণ ওদের বিপক্ষে তো খেলিইনি আগে। খেললে আসলে বলতে পারতাম। আগের দলের সঙ্গে বেশি সুযোগ ছিল নাকি এখনকার দলের সঙ্গে বেশি সুযোগ। ভালো-খারাপ বড় কথা নয়। বাংলাদেশ দল জিততে পারলে সেটাই বড় ব্যাপার।’
মিরপুরের মাঠ উভয় দলের জন্যই নতুন। নতুন করে সাজানো হয়েছে মাঠকে। তাই উইকেট কেমন হবে সেটা নিয়ে আগেই কিছু বলা মুশকিল। সাকিব বলেন, ‘উইকেটের উপর তো আমাদের হাত নেই। কিউরেটর হয়তো চেষ্টা করবে। ওটা নিয়ে বেশি চিন্তা করা ঠিক হবে না। আমাদের যে কোনো উইকেটে কিংবা পরিবেশে ওদের চেয়ে ভালো করার চেষ্টা করতে হবে।
যেহেতু আমাদের হোম কন্ডিশন। আমাদের উচিত হবে দ্রুত মানিয়ে নেয়া। উইকেটে যদি স্পিনারদের জন্য সহায়তা থাকে, তবে আমার জন্য ভালো। যেহেতু আমি একজন স্পিনার। একই সঙ্গে আমাদের পেসারদেরও কিন্তু উইকেট নেয়ার ক্ষমতা আছে, তারা দক্ষ। শুধু স্পিনারদের উপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। একটা টাইমে দেখা যায়, বড় জুটি পেসাররা এসে তা ভেঙে দেয়। একজন স্পিনারের চার পাঁচ উইকেটের চেয়ে এটা বড়। এই জিনিসগুলো গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া টেস্ট জেতার জন্য ব্যাটিংটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
দুই দলের স্পিনারদের পার্থক্য করতে গিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের স্পিন অ্যাটাক বেটার ওদের থেকে। সব কন্ডিশনে বলব না। আমাদের দেশে ওদের চেয়ে আমরা ভালো। তাইজুল-মিরাজ অনেক দিন ধরে ভালো বোলিং করছে। এই সিরিজে ওরা দারুণ কিছু করবে বলেই আমরা বিশ্বাস করি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন