অস্ট্রেলিয়ার লজ্জার রেকর্ড
যে টেস্ট নিশ্চিত জিতে যাচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া, যে টেস্টে মাঠে নামার আগে ইতিহাস এবং পরিস্থিতি কোনভাবেই শ্রীলংকার পক্ষে কথা বলছিল না, সেই টেস্টই কি না অবিশ্বাস্যভাবে চলে গেলো পঞ্চম দিনে এবং আরও অবিশ্বাস্যভাবে টেস্টটা জিতে নিল শ্রীলংকা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় টেস্ট জিতলো লংকানরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬৮ রান করা হয়তো অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সম্ভব হবে না। লংকান স্পিনারদের মায়াবী ঘূর্ণি ফাঁদে পড়ে একের পর এক উইকেট হারানোর কারণে যখন নিশ্চিত পরাজয়ের সামনে দাঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়া, তখন পিটার নেভিল আর স্টিভেন ও’কেফি চিন্তা করলেন টেস্টটা বাঁচানোর একটা চেষ্টা করা যেতে পারে। সুতরাং, যে ভাবা সে কাজ। দু’জন মিলে শুরু করলেন উইকেট কামড়ে পড়ে থাকা।
পিটার নেভিল আর স্টিভেন ও’কেফি মিলে অবশেষে জন্ম দিলেন এক লজ্জার রেকর্ড। ১৫৪ বলে একটি রানও করতে পারেনি এ দু’জন। টেস্ট ইতিহাসে ১০০ বা এর বেশি বল খেলে কোন রান করতে না পারার রেকর্ড গড়লো অস্ট্রেলিয়া। এর আগে ১৯৫০ সালে সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৯২ বল খেলে কোন রান করতে পারেনি ইংল্যান্ড।
* কমপক্ষে ১০০ বল খেলা একটি জুটির ক্ষেত্রে সবচেয়ে কম রান করার রেকর্ড গড়লো স্টিভেন ও`কেফি এবং পিটার নেভিল। এ দু’জন মিলে সর্বমোট ১৭৮ বলে মাত্র ৪ রানের জুটি গড়ছে তারা দু’জন। এরআগে ২৫৩ বলে আমলা এবং ডি ভিলিয়ার্স ২৭ রান করেছিলেন। যেখানে রান রেট ছিল মাত্র ০.৬৪!
* কোন দলকে টেস্টে ১২০ রানের নিচে আটকে রেখেও সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। তারা হেরে ৫ ম্যাচ। ইংল্যান্ড হেরেছে ৪টিতে।
* টানা ৯০ বল কোন রান না করে ছিলেন পিটার নেভিল। যা টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয়। ১৯৩১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার মিচেল ৯৫ বল খেলেছিলেন কোন রান করা ছাড়াই।
* টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ওভার ব্যাটিং করে কোন রান না করার রেকর্ড গড়লো অস্ট্রেলিয়া। ২৫.৪ ওভার ব্যাটিং করে ১টি রানও করেনি তারা। এর ভেতর ২৫টি ওভারই ছিল মেডেন। যেটিও একটানা সবচেয়ে বেশি মেডেনের রেকর্ড।
* পালেকেল্লে টেস্টে ১৫টি এলবিডব্লিউর ঘটনা ঘটেছে। শ্রীলংকার মাটিতে যা এক ম্যাচে সর্বোচ্চ। ১৬, ১৭ এমনকি এক ম্যাচে ২০টি এলবিডাব্লিউর ঘটনাও ঘটেছে টেস্ট ক্রিকেটে।
* টেস্টের গত ১০০ বছরের ইতিহাসে প্রথম ইনিংসে ১১৭ রানের কম রান করে টেস্ট জিততে পেরেছে মাত্র ৫টি দল।
* এশিয়ার মাটিতে নিজেদের শেষ সাতটি টেস্ট ম্যাচই হেরেছে বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট দল অস্ট্রেলিয়া। যেখানে স্টিভেন স্মিথ এই ম্যাচে পেয়েছেন অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্ট পরাজয়ের স্বাদ।
* টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে অসিদের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় জয়টি পেল শ্রীলংকা। ১৯৯৯ সালে প্রথম টেস্ট জয়ের পর ২০১৬ সালে অসিদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট জিতলো। মাঝে ব্যবধান ১৭ বছর।
* চতুর্থ ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রে মুরালি এবং শেন ওয়ার্নকে ধরে ফেলেছেন রঙ্গনা হেরাথ। তিনজনই চতুর্থ ইনিংসে নিয়েছেন ৭বার করে ৫টি করে উইকেট।
* রঙ্গনা হেরাথ বর্তমান সময়ের একমাত্র ক্রিকেটার যিনি ২০০০ সালের আগে টেস্ট ক্রিকেট খেলেছিলেন। শুধু তাই নয়, ১৯৯৯ সালে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম হারানোর সিরিজেই অভিষেক ঘটেছিল রঙ্গনা হেরাথের। এখন তার বয়স ৩৮ বছর।
* চতুর্থ ইনিংসে বোলিং গড়ের দিক দিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে আসলেন রঙ্গনা হেরাথ। কোর্টনি ওয়ালস ১৯.০৭, ম্যাকগ্রা ১৯.৪৯ এবং মুরালিই ২১.০১ শুধু তার ওপর রয়েছেন। হেরাথের গড় ২১.৮৭।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন