অ্যান্টাসিড সেবনে সতর্ক হোন
অনেকেই প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে একটি অ্যান্টাসিড মুখে দিয়ে বিছানায় যান। তবে আসলে কি অতিরিক্ত অ্যান্টাসিড খাওয়া ভালো? অবশ্যই নয়। কারণ, মিল্ক অব ম্যাগনেশিয়া (অ্যান্টাসিড) পাকস্থলীর পীড়া ও হার্টবার্ন, অর্থাৎ বুক জ্বালাপোড়াকে কিছু সময়ের জন্য স্বস্তি প্রদান করলেও পাকস্থলীতে এর ভাঙনের ফলে যে বুদবুদযুক্ত তরল তৈরি হয়, সেটি খুবই বিপজ্জনক। সম্প্রতি আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।
সত্যি বলতে কি, অতিরিক্ত মাত্রার অ্যান্টাসিড ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ওষুধ ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ। বদহজম এবং পাকস্থলীর এসিড প্রশমিত করার জন্য অ্যান্টাসিডের কার্যকর উপাদান তখনই ফলপ্রসূ এবং নিরাপদ, যখন তা কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বেশি পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম জাতীয় ওষুধ সেবনের ফলে অতিরিক্ত মাত্রার ঢেঁকুর, হার্টের কাজের ব্যাঘাত ও কিডনিতে ফসফেটজাতীয় পাথর জমা হয় এবং পরবর্তীকালে কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে।
অ্যান্টাসিডের বেশি ডোজের প্রারম্ভিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভাব, ঝিমানো এবং বমি বমি ভাব, সাধারণত বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বয়স্ক মানুষ এবং যাঁদের কিডনি রোগ রয়েছে। এ ছাড়া যখন-তখন ব্যবহারও একটা বদ অভ্যাস বলে গবেষকরা মনে করেন। দীর্ঘদিন ধরে বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য কোনো জটিল রোগের উপসর্গ হতে পারে। যদি আপনার এ ধরনের কোনো উপসর্গ দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ করেন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে নিজে নিজে ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা বাদ দিয়ে একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। প্রতিদিন অন্ততপক্ষে এক হাজার মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ।
আগে মনে করা হতো যে খাদ্যে অতিরিক্ত ‘ক্যালসিয়াম’ গ্রহণের ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে বর্তমানে এ ধারণা পাল্টেছে। বোস্টনের ‘ব্রিগহাম অ্যান্ড ওমেন্স’ হসপিটালের এক নতুন গবেষণা অনুযায়ী দেখা গেছে, সরাসরি ক্যালসিয়াম গ্রহণের ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেলেও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার প্রকৃতপক্ষে এই ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে আনে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
রেড মিট খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন
কোরবানি ঈদে বেশ কয়েকদিন টানা খাওয়া হয় গরু বা খাসিরবিস্তারিত পড়ুন
জাপান ও ইউরোপে বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ
জাপানে, একটি বিরল “মাংস খাওয়া ব্যাকটেরিয়া” এর কারণে এক রোগবিস্তারিত পড়ুন