অ্যামনেস্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট বলেছে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মানবতাবিরোধী অপরাধীদের মুক্তি ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিচারের দাবি করে বিবৃতি দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে।
সাংস্কৃতিক জোট আরো বলেছে, বিশ্বের বিভিন্ন গণহত্যা ও আমেরিকার সা¤্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নীরব ভূমিকা পালন করে প্রতিষ্ঠানটি মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার ও গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ধৃষ্টতামূলক বক্তব্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি যে অপরাধ করেছে সে জন্য তাদেরকে অবিলম্বে এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা প্রার্থণা করতে হবে। যদি তা না করা হয়, তবে এই প্রতিষ্ঠানকে বহিষ্কার করে দেশে নিষিদ্ধ করতে হবে।
শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কেন্দ্রের (টিএসসি) মূল ভবনের সামনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে সাংস্কৃতিক কর্মীরা সরকারের প্রতি এ দাবি জানান। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বক্তব্যের প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।
সমাবেশে জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে এবং আবৃত্তি শিল্পী রফিকুল ইসলামের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন সেক্টর কমা-ারস ফোরামের সহসভাপতি ম হামিদ, নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ফকির আলমগীর, পথনাটক পরিষদের সভাপতি মান্নান হীরা, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল আকতারুজ্জামান।
সভাপতির বক্তব্যে গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ‘সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করার পর থেকেই দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র আমরা লক্ষ্য করেছি, কখনো গণতন্ত্রের নামে, কখনো ধর্মের নামে, কখনো মানবাধিকারের নামে এই ধরনের ষড়যন্ত্র দেখতে দেখতে আমরা ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে গেছি। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ গত কয়েক বছর ধরে মিথ্যা তথ্য দিয়ে লাগাতারভাবে এই বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য তৎপর রয়েছে। জামায়াতে ইসলাম ও বিএনপি কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিদেশে যেসব লবিস্ট নিয়োগ করেছে তার প্রতিফলন আমরা দেখতে পাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মুক্তিযোদ্ধাদের বিচারের দাবি করে এ দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করেছে এবং ১৯৭১ সালের পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর ভূমিকাকেই সমর্থন করছে।’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে ’ন্যাস্টি ইন্টারন্যাশনাল’ আখ্যায়িত করে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সহসভাপতি ম হামিদ বলেন, ‘যখন আমেরিকা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তখন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল চোখ-কান-মুখ বন্ধ করে বসে থাকে। তখন তাদের মানবাধিকারের চেতনা হারিয়ে যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে যখন লাখ লাখ ইহুদিকে হত্যার জন্য বিচার হয়েছিলো সেদিনও এই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কোনো প্রতিবাদ করেনি। এরকম অসংখ্য নেতিবাচক ভূমিকার জন্য প্রতিষ্ঠানটি চূড়ান্তভাবে প্রশ্নবিদ্ধ।’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিভিন্ন ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সাংস্কৃতিক ও নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশিদ বলেন, ‘আমেরিকার বিভিন্ন অমানবিক কর্মকাণ্ডেচুপ থেকে তারা এখন আইএসের প্রতি সহমর্মিতা দেখাচ্ছে। আল জাজিরা চ্যানেলে লন্ডনে থাকা যুদ্ধাপরাধী মইনুদ্দিনের ইন্টারভিউ প্রকাশ করা হচ্ছে। এ সব কিছুই একই সূত্রে গাঁথা। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় আমেরিকার সাম্রজ্যবাদী শক্তি আমাদের বিরোধীতা করেছিলো এবং এখনও সেই ভূমিকাই পালন করছে।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নুর ইস্যুতে রনি: তারেক রহমানের সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু হবে না
পটুয়াখালী-৩ আসনে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকের নুরকে সাংগঠনিকবিস্তারিত পড়ুন
বুধবার ফের অবরোধের ঘোষণা দিয়ে সড়ক ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা
অধিভুক্তি বাতিল করে আলাদা স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু করতেবিস্তারিত পড়ুন
৩৮তম বিসিএসের ফল কোটামুক্ত প্রকাশ করতে হাইকোর্টের রুল
৩৮তম বিসিএসের ফল কোটামুক্তভাবে পুনর্মূল্যায়ন করে প্রকাশ করতে রুল জারিবিস্তারিত পড়ুন