মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

আংশিক কমিটিতেই বছর পার, জিয়ার সমাধিতেও পড়েনি পা

একবছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি ছাত্রদল। কমিটি ঘোষণার পর পদবঞ্চিতদের বিদ্রোহের পর আর পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার সাহস দেখায়নি ছাত্র সংগঠনটি। এই একবছরে আন্দোলন সংগ্রামে বলার মতো কিছু করে দেখাতে পারেনি বিএনপির সবচেয়ে বড় ভরসার সংগঠনটি। এমনকি রীতি থাকলেও আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতেও পারেনি বর্তমান কমিটি।

সারাদেশে ছাত্রদলের সাংগঠনিক ইউনিট আছে ৯৫টি। প্রায় সবগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও পুনর্গঠন এবং নতুনদের নেতৃত্বে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকাই রাখতে পারেনি কেন্দ্রীয় কমিটি। আর চলতি বছরের শুরুর দিকে বিএনপির অবরোধ বা হরতাল সফল করতেও তেমন সক্রিয় ছিলেন না নেতারা।

সাংগঠনিক জেলাগুলোর কমিটির বেশিরভাগের মেয়াদই এক যুগ পার করেছে। দুই বছর পর পর সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও গত পাঁচ বছরে জেলা সম্মেলনের তথ্য নেই বললেই চলে। নতুন নেতৃত্ব তৈরি না হওয়ায় রাজনীতিতে আগ্রহী বিএনপি মনোভাবাপন্ন ছাত্রদের একটি বড় অংশই সংগঠনে নিজেদেরকে জড়াতে চাইছেন না। আবার কমিটিতে থেকেও রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছেন নেতারা। কেউ কেউ দেশ ছেড়ে প্রবাসে দিন কাটাচ্ছেন। তবে পদ ছাড়ছে না কেউ।

ছাত্র সংগঠনের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে জগন্নাথ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর কমিটি গঠনের কোন দৃশ্যমান প্রক্রিয়া নেই। বেশ কয়েকবার আশ্বাস দিলেও নানা অযুহাতে তা পিছিয়েছে।

এই অবস্থায় ছাত্রদলের পাশাপাশি মূল দল বিএনপির নেতারাও হতাশ। ছাত্রদলের সাবেক এক সভাপতি এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এক বছরে যারা একটি কমিটি গঠনও করতে পারেনি তাদের কাছে আমরা আর কী আশা করবো? তিনি বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে মামলা-হামলার ঘটনা একটি স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু একে সাংগঠনিক কার‌্যক্রম পরিচালনায় অযুহাত হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা দুঃখজনক। মূল দলের এদের নিয়ে ভাবতে হবে’।

বিদ্রোহতেই যাত্রা শুরু, এখনও চাপা ক্ষোভ

২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ২০১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির ১৫৩ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেন। তবে ঘোষণার পরপরই কমিটি বাতিলের দাবিতে বিদ্রোহ করেন পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীরা। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশেপাশে তাদের নানা কর্মসূচির কারণে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় বিএনপির শীর্ষ নেতাদেরকেও। তারা বিদ্রোহীদের দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিলেও কিছুই করতে পারেননি।

পদবঞ্চিতদের অভিযোগ,কমিটি গঠনে বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকুর মতামতকে প্রাধান্য দেয়া হয়। আর তারা তাদের অনুসারীদেরকেই তুলে এনে অন্যদের বঞ্চিত করেছেন। এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে এই দুই নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তারা কথা বলেননি।

এই কমিটির এক বছর পূর্তিতে আবার বিক্ষোভে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিল পদবঞ্চিতরা। তবে নানা বিবেচনায় সে পথ থেকে সরেও এসেছেন তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পদবঞ্চিত এক নেতা এই প্রতিবেদককে বলেন,‘এক বছরের মধ্যে তারা (কমিটির নেতারা) জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে পারেনি। কালকেই আমরা আবারো আন্দোলন শুরু করতে পারতাম কিন্তু ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) কাছে ভুল ম্যাসেজ যাবে তাই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছি’।

শুরুর দিকেই পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ সামাল দিতে গিয়েই হয়রান হতে হয়েছে নেতাদেরকে। এর পাশাপাশি নাশকতার মামলায় নেতাকর্মীদের জেল-জুলুমের ধকলও পোহাতে হচ্ছে। গুমের শিকারও হয়েছেন বহু নেতাকর্মী।

এদিকে সম্প্রতি সংগঠন পুনর্গঠনের ঘোষণার পর কিছু কিছু জেলায় তৎপর হয়েছেন শীর্ষ নেতারা। তবে এই পুনর্গঠন নিয়ে আবার উঠেছে নানা অভিযোগ। টাকার বিনিময়ে কাউকে কাউকে নেতৃত্বে নিয়ে আসার অভিযোগ তুলছেন পদবঞ্চিতরা।

তবে বর্তমান কমিটির নেতাদের কেউ কেউ বলছেন, যে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে তাদের বছর পার করতে হয়েছে তা বিবেচনায় না এনে সমালোচনা করছেন কেউ কেউ। বিরুদ্ধ পরিবেশে যতটা সম্ভব চেষ্টা করেছে সংগঠন-এর স্বীকৃতি দিতে হবে।

ছাত্রদলের সহসভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, ‘কমিটি ঘোষণার পর থেকেই আমাদের রাজপথে থাকতে হয়েছে। সরকারের কঠোর মনোভাবের মধ্যেও আমরা কর্মসূচি সফল করতে কাজ করছি। কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সংগঠন গোছানোর কাজ করছি। চেয়ারপারসন দেশে ফিরলে গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট কমিটি দেয়া হতে পারে’। ঢাকাটাইমস

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

হাসিনার পতনে জাতির মনোজগত পরিবর্তন হয়েছে, নতুন রাজনীতি হতে হবে স্বচ্ছ: আমীর খসরু

দেশের মানুষের মনোবাসনা বুঝে স্বচ্ছ রাজনীতির আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ীবিস্তারিত পড়ুন

বগুড়ায় হাসিনা-কাদেরের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা

বগুড়ায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৭ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাতে বগুড়া সদর থানায় গাবতলীর নিহত বিএনপি নেতা জিল্লুর রহমানের স্ত্রী খাদিজা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে গিয়ে সংঘর্ষের সময় শহরের ঝাউতলা এলাকায় নিহত হনবিস্তারিত পড়ুন

১৭ বছর পর সচল হলো আবদুল আউয়াল মিন্টুর ব্যাংক হিসাব

১৭ বছর পর খুলে দেওয়া হলো বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ওবিস্তারিত পড়ুন

  • বিএনপি ও সমমনা দলের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • বিকেলে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
  • খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে : এ্যানী
  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • বিএনপির আন্দোলন ভুয়া, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আতঙ্কিত: ওবায়দুল কাদের
  • খালেদা জিয়ার ৩ রোগ বড় সংকট : চিকিৎসকরা
  • মুক্তিযুদ্ধের নামে বিএনপি ভাওতাবাজি করে : ওবায়দুল কাদের
  • দেশের মানুষ ঈদ করতে পারেননি
  • বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে রদবদল
  • বিএনপির টপ টু বটম দুর্নীতিতে জড়িত: কাদের
  • চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস
  • চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস