ঢাকায় নিরাপত্তা সংলাপ
আইএসের অভিন্ন হুমকির কথা বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকার
বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ হিসাবে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসের অভিন্ন হুমকির কথা স্বীকার করেছে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
দুদেশের মধ্যে নিরাপত্তা সংলাপে উভয় দেশ এ ব্যাপারে একমতে পৌঁছেছে বলে সংলাপ শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয় যে, আগামী বছরগুলোতে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা সহযোগিতা গড়ে তোলার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছে দুই দেশ।
বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পঞ্চম নিরাপত্তা সংলাপ রোববার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব (দ্বিপক্ষীয় ও কনস্যুলার) কামরুল আহসান। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরসমূহের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম মোনাহান যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ও প্রতিরক্ষা দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংলাপে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাট ও মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারাও অংশ নেন।
বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে নিয়মিত নিরাপত্তা সংলাপ আয়োজন করে আসছে।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই সংলাপে দুদেশের মধ্যে নিরাপত্তা ও অংশীদারিত্ব সংক্রান্ত বিস্তৃত ইস্যুতে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এসব ইস্যুর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- কৌশলগত অগ্রাধিকার ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যু, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, বেসামরিক নিরাপত্তা সহযোগিতা, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম এবং সন্ত্রাস দমন ও সহিংস উগ্রবাদ দমনের ইস্যু।
নিরাপত্তা সম্পর্কিত পারস্পরিক উদ্বেগ নিরসনে গভীর ও জোরালো অংশীদারিত্বের বিষয়ে উভয় দেশ একমত হয়েছে। একই সঙ্গে তারা মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা সংক্রান্ত নীতিমালাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে একমত হয়।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ হিসাবে আইসিস/দায়েসের অভিন্ন হুমকির কথা স্বীকার করেছে। সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স এবং অন্য দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহারের জন্যে নিজ দেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে না দেয়ার নীতিকে স্বাগত জানায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল।
তারা হলি আর্টিজানে হামলার পর সকল সংশ্লিষ্ট এজেন্সির সমন্বয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতায় ‘কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম’ (সিটিটিসি) ইউনিট গঠনের প্রশংসা করেন।
মার্কিন প্রতিনিধিদল জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে ‘গ্লোবাল পিস অপারেশন ইনিশিয়েটিভ’ কার্যক্রমে অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তায় বাংলাদেশের অবদানের প্রশংসা করেছে।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ‘জয়েন্ট ডিজাস্টার রেসপন্স এক্সারসাইজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ’ (ডিআরইই) এর মাধ্যমে বাংলাদেশে দুর্যোগ প্রস্তুতি ও সাড়া দেয়ার বিষয়ে সামর্থ বৃদ্ধি করা, উপকূলীয় অঞ্চলে ৬০০ বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ এবং বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে দ্রুতগামী নৌকা প্রদানের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ও সমর্থনকে স্বাগত জানিয়েছে। এসব নৌকার কারণে সমুদ্রসীমায় সশস্ত্র ডাকাতি প্রতিরোধে সাড়া দেয়ার সময় কমিয়ে আনতে সহায়ক হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল সন্ত্রাস দমন, সহিংস জঙ্গিবাদ দমন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা জোরদার করার জন্যে আহ্বান জানিয়েছে।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী বছরগুলোতে বর্তমান ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা সহায়তা গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে সংলাপটি শেষ হয়। আগামী বছর ওয়াশিংটনে ষষ্ঠ নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
উত্তর প্রদেশে মাদ্রাসা চালু রাখতে বাধা কেটে গেল
ভারতের উত্তর প্রদেশে ২০০৪ সালে তৎকালীন রাজ্য সরকারের তৈরি মাদ্রাসাবিস্তারিত পড়ুন
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে মাজারে হামলা, দানবাক্স উধাও
ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশের হয়রত হাজী খাজা শাহবাজ (রাহ:) এরবিস্তারিত পড়ুন
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ৯ নির্দেশনা
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সরকারি কর্মচারীদের বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্কবিস্তারিত পড়ুন