আইএস-নিরাপত্তা বাহিনী সবাই ইরাকি হত্যাযজ্ঞে মেতেছে
ইরাকে হত্যা, অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনা ব্যাপক হারে ঘটছে বলে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। আর এ জন্য ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পাশাপাশি দায়ী করা হচ্ছে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীসহ মিলিশিয়া ও কুর্দি পেশমার্গারদেরও।
মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, শুধু গত বছর মে থেকে অক্টোবর্- এই ছয় মাসে অন্তত চার হাজার বেসামরিক লোককে হত্যা করা হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে এসব হত্যা ও নির্যাতনের জন্য আইএসকে দায়ী করে বলা হয়, এগুলো চালানো হচ্ছে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে।
ডাক্তার থেকে শুরু করে আইনজীবী, সাংবাদিক থেকে ধর্মীয় নেতা – যাদেরই বিরোধী বলে মনে করছে, তাদেরই টার্গেট করছে আইএস। তাদের হত্যা করছে অত্যন্ত নিষ্ঠুর উপায়ে- গলা কেটে, উঁচু ভবন থেকে ছুড়ে ফেলে, এমনকি আগুন দিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে।
জাতিসংঘ বলছে, এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতন যুদ্ধাপরাধের সমান হতে পারে। বিশেষ করে যেখানে একটি জাতিগোষ্ঠীকে হামলার লক্ষ্য করা হয়েছে। কোথাও কোথাও গণহত্যাও চালানো হয়েছে।
জাতিসংঘ বলছে, শুধু মসুল শহর থেকেই আইএস ৯০০ শিশুকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে ধর্মীয় শিক্ষা ও সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য।
জাতিসংঘ এও বলছে, যেসব এলাকায় আইএসকে হটিয়ে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে, সেখানেও এ ধরনের হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। যারাই আইএসের সমর্থক বলে সন্দেহ করা হয়, তাদের অপহরণ করে হত্যা করা হচ্ছে।
হত্যা ও নির্যাতন চালাচ্ছে মিলিশিয়া ও কুর্দি পেশমার্গারাও।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার জায়েদ রাদ আল হুসাইন বলছেন, এই রিপোর্ট থেকে এটা স্পষ্ট যে ইরাকি শরণার্থীরা কি ধরনের ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে পালিয়ে ইউরোপে আসার চেষ্টা করছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন