শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

আওয়ামী লীগের নারীরা

শিক্ষায় পুরুষকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে নারীরা। পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজে কর্মক্ষেত্রেও কি পিছিয়ে তারা? কদিন আগেও ভেবেচিন্তে বলতে হতো, এখন যে কেউ সহজেই বলবেন, ‘না’। তাহলে রাজনীতিতেই বা পিছিয়ে থাকবে কেন? প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোতে আগের তুলনায় বাড়ছে নারীর অংশগ্রহণ। আর আওয়ামী লীগে এই সংখ্যাটা অন্য দলের তুলনায় আরও বেশি।

আওয়ামী লীগের সবশেষ জাতীয় সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আকার ৭৩ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৮১। এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়েছে ৭৪টি নাম। এর মধ্যে ১৫ জনই নারী। শতকরা হিসেবে এটা ২০ শতাংশেরও বেশি। বাংলাদেশে প্রধান আর কোনো রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে এতো বেশি সংখ্যক নারী স্থান পায়নি।

সবার চেয়ে এগিয়ে থাকলেও নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের শর্ত পূরণ থেকে অবশ্য এখনও আওয়ামী লীগ অনেকটাই পিছিয়ে। ২০২০ সালের মধ্যে সব কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারীর অন্তর্ভূক্তি বাধ্যতামূলক। সেই হিসাবে চার বছরের মধ্যে নারীর সংখ্যা দেড় গুণেরও বেশি বাড়াতে হবে।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, চার বছরের মধ্যে আরও বেশি নারী আসবে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে। সভাপতি শেখ হাসিনা এ বিষয়ে খুবই আন্তরিক। এ কারণেই শতকরা হিসাবে নারীর সংখ্যা বেড়েছে ৫০ ভাগেরও বেশি।

২০১২ সালের জাতীয় সম্মেলনে আওয়ামী লীগের ৭৩ সদস্যের কমিটিতে নারী ছিলেন দশজন। তাদের মধ্যে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জোহরা তাজউদ্দিন মারা যান। অর্থাৎ ওই কমিটিতে নারীর সংখ্যা ছিল ১৩ শতাংশের কিছু বেশি। এবার তা বেড়ে ২০ শতাংশ ছাড়িয়েছে।

রাজনীতির ময়দানে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতেও নারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক। সংখ্যায় এগিয়ে থাকলেও শতকরা হিসেবে আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশ পিছিয়ে বিএনপি। সব মিলিয়ে দলটির ৫০২ সদস্যের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে নারীর সংখ্যা ৬৭। যা শতকরা হিসাবে ১৩ দশমিক ৩৪ ভাগ।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি করায় খুশি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী। তবে এখানেই থেমে থাকলে চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। রাশেদা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মতো একটা দলের কাছে আমাদের প্রত্যাশা সব সময় বেশি থাকে। আমরা আশা করি, শুধু কেন্দ্রে নয়, তৃণমূল পর্যায়েও নারীর অংশগ্রহণ আরও বাড়াবে দলটি।’

সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমরা আশা করি নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেয়া সময় ২০২০ সালের মধ্যেই সব কমিটিতে সব রাজনৈতিক দলই ৩৩ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে।’

আওয়ামী লীগের কোন কমিটিতে কত নারী

দলের সর্বোচ্চ পরিষদ সভাপতিমণ্ডলীর ঘোষিত ১৬ জনের মধ্যে নারীর সংখ্যা চার জন। শতকরা হিসাবে তা ২৫ শতাংশ। এরা হলেন শেখ হাসিনা (সভাপতি ), সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী এবং সাহারা খাতুন। এই চারজন আগের কমিটিতেও ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীতে।

চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের মধ্যেও একজন নারী। তিনি হলেন দীপু মণি।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে শতকরা হিসেবে নারীর সংখ্যা সবচেয়ে কম সম্পাদকমণ্ডলীতে। ২৯ সদস্যের এই কমিটির ঘোষিত ২৫ পদের মধ্যে নারীর সংখ্যা চার জন। শতকরা হিসেবে যা ১৬ শতাংশ। এরা হলেন, মহিলা বিষয়ক ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা এবং স্বাস্থ্য ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা।

এদের মধ্যে প্রথম দুই জন আগে থেকেই সম্পাদকমণ্ডলীতে ছিলেন। নতুন যোগ হয়েছেন দুই জন। এদের একজন রোকেয়া সুলতানা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মতো দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদকদণ্ডলীর পদ একটি গুরুদায়িত্ব। কেবল চিকিৎসক নয়, এখন রাজনীতিবিদ হিসেবেও দেশের স্বাস্থ্যখাতে অবদান রাখার চেষ্টা করবো।’ তিনি বলেন, ‘নারীরা যখন সব পেশায় সফল হচ্ছে তখন রাজনীতিতেও ভালো করবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে অধ্যয়নের সময় থেকেই ছাত্ররাজনীতির হাতেখড়ি চাঁপার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুননাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ফেরার সময় তিনি ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটিতেও ছিলেন তিনি। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনেও তার ভূমিকা ছিল।

চাঁপা বলেন, ‘নারী হিসেবে রাজনীতিতে নামাই ছিল চ্যালেঞ্জ। আমি কখনই পিছিয়ে থাকতে রাজি ছিলাম না। ছাত্র জীবনেই স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করেছি, এখন আমাকে নেত্রী যে দায়িত্ব দিয়েছেন, সেটাও পালন করবো।’

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্যের ২৮ জনের মধ্যে নারীর সংখ্যা ছয় জন, শতকরা হিসাবে যা ২১ শতাংশের কিছু বেশি। এই নারী সদস্যরা হলেন, জাতীয় নেতা তাজউদ্দীন আহমেদের মেয়ে সিমিন হোসেন রিমি, খুলনার সংগ্রামী নেত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মারুফা আক্তার পপি, বঙ্গবন্ধুর সহচর মহিউদ্দিন আহমেদের মেয়ে শাম্মী আখতার, আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুজ্জামানের মেয়ে পারভীন জামান কল্পনা এবং বেগম বদরুন্নেছা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মেরিনা জাহান।

চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০২ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের কমিটির সহসভাপতি ছিলেন মারুফা আক্তার পপি। ওই কমিটির সভাপতি লিয়াকত শিকদার একটি মামলায় কারাগারে গেলে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন পপি। তখন রাজনীতির প্রতি নিষ্ঠা, ভদ্র আচরণ এবং সাংগঠনিক দক্ষতায় প্রশংসা কুড়ান পপি। ২০১২ সালের জাতীয় সম্মেলনের পর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রী উপকমিটির সহসম্পাদক ছিলেন তিনি।

পপি বলেন, ‘নারী হওয়ায় রাজনীতিতে আমার আলাদা কোনো সমস্যা হয়নি, সুবিধাও পাইনি। কিছু বাঁধা সব জায়গাতেই থাকে। এখানেও ছিল। জীবনে বহু বাঁধাই জয় করতে হয় আমাদেরকে। রাজনীতিতে নারীর বাঁধাগুলোকে এ রকম একটা ধরলেই তো চলে।’ ঢাকাটাইমস

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক

রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন

জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক

অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন

  • হাসিনার পতনে জাতির মনোজগত পরিবর্তন হয়েছে, নতুন রাজনীতি হতে হবে স্বচ্ছ: আমীর খসরু
  • বগুড়ায় হাসিনা-কাদেরের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা
  • ১৭ বছর পর সচল হলো আবদুল আউয়াল মিন্টুর ব্যাংক হিসাব
  • বিএনপি ও সমমনা দলের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • বিকেলে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
  • খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে : এ্যানী
  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • বিএনপির আন্দোলন ভুয়া, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আতঙ্কিত: ওবায়দুল কাদের
  • খালেদা জিয়ার ৩ রোগ বড় সংকট : চিকিৎসকরা
  • মুক্তিযুদ্ধের নামে বিএনপি ভাওতাবাজি করে : ওবায়দুল কাদের
  • দেশের মানুষ ঈদ করতে পারেননি
  • বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে রদবদল