আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসছে নতুন মুখ
আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনে দলের গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নতুনদেরকে নেতৃত্বে নিয়ে আসতে বাড়ানো হচ্ছে শীর্ষ পর্যায়ে পদের সংখ্য। এরই মধ্যে দলের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সবশেষ জাতীয় সম্মেলন হয়। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বর্তমান কার্যনির্বাহী সংসদের মেয়াদ গত ডিসেম্বরে শেষ হয়েছে। ডিসেম্বরে সম্মেলন করার কথা থাকলেও পৌরসভা নির্বাচনের কারণে তা হয়নি।
দলের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে এবারের সম্মেলনে দলের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন হতে পারে। গঠনতন্ত্রে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সংখ্যা ৭৩ থাকলেও তা বাড়িয়ে এবার ৮১ করা হতে পারে।
বর্তমান গঠনতন্ত্রে সভাপতিম-লীর সদস্য আছেন ১৫ জন। এটা বাড়িয়ে ১৭ বা ১৯ করা হতে পারে। বর্তমানে সম্পাদকম-লীর সদস্য আছেন ৩২ জন। এটা বাড়িয়ে ৩৯ করা হতে পারে।
এর মধ্যে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ সাতটি থেকে বাড়িয়ে ১০টি করা হতে পারে। নতুন সাংগঠনিক সম্পাদক হবে ফরিদপুর, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা বিভাগীয়।
আর সে ক্ষেত্রে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ তিনটি থেকে পাঁচটি করা হতে পারে। নতুন পদ হতে পারে তথ্য ও প্রযুক্তি, সমবায়, প্রকাশনা সম্পাদকের। আর কমবে সভাপতি মনোনীত সদস্যের সংখ্যা।
বর্তমান গঠনতন্ত্রে কোষাধ্যক্ষসহ ২৬টি পদ থাকলেও বেশ কয়েকটি কমানো হতে পারে। এই পদ থাকতে পারে ২১টি। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে সভাপতি শেখ হাসিনার সম্মতির ওপর।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, গত ৯ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী বৈঠকে আগামী কেন্দ্রীয় কমিটির কাঠামো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সংখ্যা বাড়াতে হলে আমাদের কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদন নিতে হয়। গত বৈঠকে এ বিষয়ে কোন আলোচনা হয়নি। সম্মেলনের আগে আরও কার্যনির্বাহী বৈঠক হবে সেখানে হলে হতেও পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সম্পাদকম-লীর একাধিক সদস্য জানান, নতুন সাংগঠনিক জেলাগুলো হবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, ফরিদপুর মহানগর ও ময়মনসিংহ মহানগর।
আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে ১০টি উপকমিটির খসড়া তৈরি করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
তিনি এ খসড়া দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমা দিয়েছেন বলেও জানান।
এসব উপকমিটির খসড়া তালিকা অনুযায়ী সম্মেলন প্রস্তুতি উপকমিটির আহ্বায়ক সভাপতি ও থাকবেন শেখ হাসিনা। কেন্দ্রীয় কমিটির সব সদস্যই সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য হিসাবে থাকবেন।
অভ্যর্থনা উপকমিটির আহ্বায়ক থাকছেন সভাপতিম-লীর সদস্য সাজেদা চৌধুরী, খাদ্য উপকমিটির দায়িত্বে দেয়া হতে পারে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত এম এ আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, দপ্তর উপকমিটির আহ্বায়ক সভাপতিম-লীর সদস্য ওবায়দুল কাদের, সাজসজ্জা উপকমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বে থাকছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রচার-প্রকাশনা উপকমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করবেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এইচ টি ইমাম, মঞ্চ ও শৃঙ্খলা উপকমিটির দায়িত্বে থাকতে পারেন সভাপতিম-লীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম ও সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ।
স্বাস্থ্য উপকমিটির দায়িত্বে থাকবেন মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, গঠনতন্ত্র সংশোধনে কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, ঘোষণাপত্র উপকমিটির দায়িত্বে থাকতে পারেন দপ্তর সম্পাদক আবদুল মান্নান।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সাময়িক বরখাস্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনেবিস্তারিত পড়ুন
কমলা হ্যারিসের ভোটের প্রচারণায় বাজবে এ আর রহমানের গান
আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসেরবিস্তারিত পড়ুন
উপদেষ্টা আদিলুর: পূজায় বিশৃঙ্খলাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না
দুর্গাপূজায় বিশৃঙ্খলাকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেবিস্তারিত পড়ুন