আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দূত পাঠাচ্ছেন মমতা

আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় পরিষদ সম্মেলনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দূত হিসেবে পাঠাচ্ছেন ভারতের তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপধ্যায়। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতাকেই চেয়েছিলেন। কিন্তু ওই সময় পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় তিনি আসতে পারছেন না।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর দূত হিসেবে যাচ্ছি। তার বার্তাই পৌঁছে দেবো সেখানে। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানেই যে উন্নয়ন সম্ভব, সে কথাই ওপার বাংলায় বলে আসবো। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক সংগ্রামের কথাও জানাবো।’
এদিকে তিস্তা নিয়ে বিতর্কের জেরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে ঢাকা যেতে রাজি হননি মমতা। যদিও মুখ্যমন্ত্রী তার ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়ে রেখেছেন, হাসিনার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে তার মধুর সম্পর্ক। তাই এর সঙ্গে তিস্তা চুক্তিকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়। কিন্তু রাজ্যের স্বার্থের পরিপন্থি কোনো চুক্তি যে তিনি মানবেন না, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
জানা গেছে, তিস্তা নিয়ে কোনো রকম নরম মনোভাব দেখাতে রাজি নন মমতা। রাজ্যের উত্তরবঙ্গকে শুকনা রেখে দিল্লি-ঢাকা একতরফা কোনো চুক্তি করলে তিনি ফের রুখে দাঁড়াবেন বলেও স্পষ্ট বার্তা দিয়ে রেখেছেন।
তারপরও দ্বিতীয়বার জিতে রেড রোডে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মমতা। সে দিন নিজে না থাকলেও দূত হিসেবে বাণিজ্যমন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে পাঠিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। আর মুখ্যমন্ত্রীর জন্য ঢাকা থেকে পাঠানো হয়েছিল ২০ কেজি পদ্মার ইলিশ।
শুধু তাই নয়, ঢাকার গুলশনে ‘হোলি আর্টিসান বেকারি’তে জঙ্গি হানার পর শেখ হাসিনাকে ফোন করে পাশে থাকার কথাও জানিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। ওই ঘটনায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার কথা ভেবে তিনি যে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন, সে কথাও জানাতে ভোলেননি মমতা। পরে নবান্নে পাঠানো এক চিঠিতে এ নিয়ে নিজের কৃ়ত়জ্ঞতার কথা জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা। পূজার আগেও দু’পক্ষের মধ্যে ইলিশ বিনিময় হয়েছে।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, শেখ হাসিনা চেয়েছিলেন- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে সব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হলেন, সেই রাজনৈতিক সংগ্রামের কথা নিজের মুখেই আওয়ামী প্রতিনিধিদের বলুন। সেই কারণেই আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সম্মেলনে তাকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন হাসিনা।
আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় পরিষদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৭ হাজার প্রতিনিধি অংশ নেবে। ২২-২৩ অক্টোবরের সম্মেলনকে ঘিরে এখন থেকেই সেজে উঠেছে রাজধানী। এর আগে দলটির জাতীয় সম্মেলন হয়েছিল ২০১২ সালের ডিসেম্বরে। সেই সম্মেলন থেকেই শেখ হাসিনা আরো ৩ বছরের জন্য আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নির্বাচিত হন।
এস
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদবিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকবির ম্যুরাল থেকে কালি মুছে দিল উপজেলা প্রশাসন
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি দিয়ে মুখবিস্তারিত পড়ুন

ফখরুল: ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন