আওয়ামী লীগ নেতাদের গণভবনে তলব
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু না হলেও প্রার্থীরা বসে নেই। ভোটের মাঠে চলছে নানা চুলচেরা বিশ্লেষণ। প্রার্থীরা যাচ্ছেন ভোটারদের কাছে। ভোটাররাও তাদের পছন্দের প্রার্থী নিয়ে এখন আলোচনা-সমালোচনায় মুখর। দু’ দলে বিরাজমান কোন্দল নিরসনের চেষ্টা চলছে। দক্ষিণ জেলা ও প্রস্তাবিত মহানগর আওয়ামী লীগে বিরাজমান কোন্দল মিটিয়ে দলীয় প্রার্থী সীমাকে বিজয়ী করতে শিগগিরই গণভবনে কুমিল্লা সদর আসনের এমপি হাজী আ.ক.ম বাহা উদ্দিন বাহার, পরিকল্পনা মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ.হ.ম মুস্তফা কামাল, সাধারণ সম্পাদক রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হকসহ দলের জেলা এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতি সভা করতে যাচ্ছেন দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরই মধ্যে দলের চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম কুমিল্লায় এসে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে কোন্দল নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছেন।
জানা যায়, কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগে আফজল খান ও হাজী বাহারের রাজনৈতিক বিরোধ পুরনো। উভয় একই দলের, তবুও যেন বিপরীত মেরুতে অবস্থান। কখনো দেখা হলেও কথা হয় না। হাজী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার সদর আসনের এমপি। অপরদিকে এ বছর এডভোকেট আফজল খানের কন্যা আঞ্জুম সুলতানা সীমা সিটিতে আওয়ামী লীগের মেয়র পদে মনোনয়ন পেয়েছেন।
অপরদিকে কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের ন্যায় বিএনপিতে রয়েছে সাক্কু ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিনের মাঝে চরম বৈরী ভাব ও গ্রুপিং- দ্বন্দ্ব। সারা বছরজুড়ে এ দুই নেতা দলীয় অভিন্ন কর্মসূচিতে ভিন্ন মেরুতে অবস্থান নিয়েছেন। আলাদা আলাদাভাবে পালিত হয় দলীয় কর্মসূচি। সম্প্রতি এ দুই নেতা নিজেদের স্বার্থেই ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন এবং একসাথে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কাছে গিয়ে নিজেদের মধ্যে আর বিরোধ নেই বলে নেত্রীকে আশ্বস্ত করে সাক্কুর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়। তবে পুরনো বিরোধ মিটিয়ে সাক্কুর জন্য হাজী ইয়াসিনপন্থিরা মাঠে কতটুকু কাজ করে এটাই দেখার বিষয়। নির্বাচনী মাঠের পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে সেনা মোতায়েনের দাবি জানানোর কথা ভাবছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু।
সাক্কু জানান, ‘আমরা আগে পরিবেশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবো, তারপর সেনা মোতায়েন করার দাবির বিষয়টি চিন্তা-ভাবনা করবো। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে আবেদন করবো।’
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রাথী আঞ্জুম সুলতানা সীমা জানান, দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার উপর ভরসা রেখেই নৌকা উপহার দিয়েছেন, আমি বিজয়ী হয়ে তাঁর নিকট যেতে চাই। সীমা বলেন, দলে কার সাথে কার বিরোধ ছিল-আছে তা আমি জানতে চাই না, নেত্রী ও কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে আমি সবার নিকট ছুটে যাছি, আরও যাবো, বারবার যাবো। তিনি বলেন, ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির বিরোধ থাকতে পারে, নৌকার সাথে তো কারও বিরোধ নেই, তাই আমার বিশ্বাস দলের সকল নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমার জন্য মাঠে কাজ করলে ইনশাল্লাহ ৩০শে মার্চ নৌকারই বিজয়ই হবে।-মানবজমিন
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
উপদেষ্টা মাহফুজ: সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন,“গণ-অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থেবিস্তারিত পড়ুন
বড় ব্যবধানে অ্যান্টিগা টেস্টে হারলো বাংলাদেশ
চতুর্থ দিনেই অ্যান্টিগা টেস্টের ফল কোন দিকে গড়াচ্ছে, তা নির্ধারণবিস্তারিত পড়ুন
কিশোরগঞ্জে মা-বাবা ও ২ সন্তানের মরদেহ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় একই পরিবারের চার জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেবিস্তারিত পড়ুন