আওয়ামী লীগ বা বিএনপি বুঝি না, যেই দলেরই হোক, আমি কোনো হত্যা চাই না
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, নতুন বছরে হত্যা-গুম বন্ধ করতে হবে। আমি আওয়ামী লীগ বা বিএনপি বুঝি না, যেই দলেরই হোক, আমি কোনো হত্যা চাই না।
গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটনকে গুলি করে হত্যা প্রসঙ্গে রোববার সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ছাত্রদলের এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সাঁওতাল সম্প্রদায়ের বাড়িঘর এবং বিএনপির আন্দোলন চলাকালে পুলিশ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসন এবং গোয়েন্দা বাহিনীতে ভিনদেশি রয়েছে।
নিজেকে ছাত্রদলের মা উল্লেখ করে সংগঠনের নেতাকর্মীদের নানা নির্দেশনা দেন খালেদা। রাষ্ট্রপতির প্রস্তাব নিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘তোমরা কি এই প্রস্তাবনা পড়েছ, পড়নি। না পড়লে কিসের ছাত্রদল কিসের যুবদল করো তোমরা।’
রাষ্ট্রপতির আলোচনা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে খালেদা জিয়া বলেন, রাষ্ট্রপতি যতবার ডাকবেন ততবার যাবো।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আগে ছাত্রদল নেতারা স্লোগান তৈরি করতো এখন সেই স্লোগান নেই কেন? ছাত্রদল থেকে যারা এখন বিএনপিতে আছেন তাদের সাচ্ছা আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, যারা এদিক সেদিক ঘুরে এসেছেন তাদের মধ্যে ক্ষমতার লোভ রয়েছে।
বিএনপির সঙ্গে নামসর্বস্ব দলের জোট থাকলেও আওয়ামী নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সমালোচনা করেন খালেদা। বলেন, আওয়ামী লীগে অনেক ভালো নেতা রয়েছেন। কিন্তু মহাজোটে এমন কিছু দল রয়েছে, যারা কখনও নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসতে পারেনি- তাই উল্টাপাল্টা বুদ্ধি দিয়ে ভালো নেতাদের সুযোগ দেয়া হচ্ছে না।
ব্যাংক কেলেঙ্কারি, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন খালেদা। বিএনপির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে তা নিয়েও কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে আওয়ামী লীগ প্রতিনিয়ত নতুন নতুন আইন পাস করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের আইন পাসের কোনো অধিকার নেই। কারণ তারা বিনা ভোটে নির্বাচিত।
কারো নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, জিয়া পরিবার নিয়ে নোংরা কথা বলা হচ্ছে। তাতে আমার কিছু আসে যায় না। মানুষ বুঝবে তারা কেমন।
খালেদা জিয়া বলেন, দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তা ঠেকাতে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন তিনি। আমি কথা বললে সব শেয়াল ঘেউ ঘেউ করে উঠে আর সীমান্তে হত্যা হলে শেয়ালরা নিশ্চুপ থাকে। চিন্তাভাবনা করে কথা বলতে হবে, কর্মসূচি দিতে হবে। কারণ খুনি সরকার ক্ষমতায় বসে আছে।
ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন